ডুয়েল লড়ছিলেন স্ত্রীর সঙ্গে, স্বপ্নে। হঠাৎ মাথার বালিশে টান পড়ায় স্বপ্নের সঙ্গে ঘুমটাও চটকে গেল হরনাথের। চোখ মেলে দেখলেন মুখোশ-পরা একটা মুখ তার মুখের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে! দুবলা পাতলা মানুষ হলেও তেজি বুড়ো হিসেবে এলাকায় হরনাথের বেশ নামডাক। তুরন্ত সামলে নিলেন। কিন্তু উঠে বসবার উপক্রম করতেই সজোরে তাকে চেপে ধরল মুখোশধারী। হিসহিস করে বলল, “টুঁ শব্দ করেছিস কি একদম জানে মেরে দেব বুড়ো! এই আলমারির চাবি চাই। জলদি বের কর।”
লোকটার গায়ে অসুরের শক্তি। তার উপর শুরুতেই তুই-তোকারি। ঘাবড়ালেও বুদ্ধি খোয়ালেন না হরনাথ। ঢোক গিলে বললেন, “চাবি তো আমার কাছে নেই বাবা। ওটা আছে নীচে বুড়ির কাছে।”
গত মাসেই চুয়াত্তরে পা দিয়েছেন। স্ত্রী পার্বতীও আটষট্টি ছুঁই-ছুঁই। মিলমিশের সময়টায় দুজনে এমনিতে নীচের তলাতেই থাকেন। কিন্তু ঝগড়া হলেই অন্য চিত্র। তখন স্ত্রীর সংস্রব এড়াতে দোতলায় ছেলের ঘরে এসে বডি ফেলেন হরনাথ। ছেলে অর্ণব আজ ষোলো বছর আমেরিকায়। সেখানেই বিয়ে। বছর চারেক আগে। ষোলো বছরে মাত্র চার বার সে বাড়ি এসেছে। তবু তার জন্য দোতলার দক্ষিণ দিকের এই ঘরটা টিপটপ করে সাজিয়ে রেখেছেন হরনাথ। দাম্পত্য কলহে যা কিনা তার পালানোর জায়গা। তার গোঁসাঘর!
রাত এখন ঠিক কত কে জানে! হরনাথের কথায় মশারির বাইরে বেরিয়ে গেল মুখোশধারী। বাইরে বেরিয়ে কর্কশ স্বরে বলল, “নীচে যাচ্ছি চাবি আনতে। তবে সাবধান কিন্তু, কোনও রকম চালাকি করেছিস কি নীচে বুড়িকে সিধা মায়ের ভোগে পাঠিয়ে দেব!”
বুড়ির জন্যই প্রাণ ওষ্ঠাগত হরনাথের। অনিচ্ছের এই নির্জনবাস। অস্ফুটে তাই বললেন, “দে না পাঠিয়ে… দিলে তো বাঁচি আমি!”
খানিক বাদেই ফিরে এল মুখোশধারী। রাগত স্বরে বলল, “বুড়ি বলল চাবি আছে তোর কাছে। ভাল চাস তো মালটা বের কর শিগ্গির।”
সত্যি কথাটা হল, চাবির জিম্মাদার হরনাথই। কিন্তু সন্ধেবেলায় সেটিকে ভুল করে দোতলার বাথরুমের মধ্যে ফেলে এসেছেন তিনি। কিন্তু গয়নাগাটি টাকাপয়সা যা আছে সব তো নীচের আলমারিতে। উপরেরটিতে তো কেবল ফাইলের ঢিবি। তবু এর চাবির জন্য এমন হেদিয়ে মরছে কেন মুখোশধারী! রহস্যটা কী?
প্রতিবেশী সমরবাবু রাত্তিরে একাধিক বার বাথরুমে যান। ভদ্রলোক ঘরের লাইট জ্বালালেই তার আলো জানলা দিয়ে হরনাথের ঘরে এসে ঢোকে। হরনাথ তাই কালক্ষেপের ছক কষলেন। দু’-চার মিনিটের মধ্যেই পাশের বাড়িতে যদি আলো জ্বলে ওঠে তা হলে চিৎকারে বাড়ি ফাটাবেন! ভাবনা মোতাবেক বললেন, “বেমালুম মিথ্যে বলেছে বুড়ি! চাবি আছে ওর জিম্মাতেই!”
শুনেই খিঁচিয়ে উঠল মুখোশধারী, “এই শেষ বার! এর পর আমার সঙ্গে গেম খেললে আমি কিন্তু ছাড়ব না। একদম ফুট্টুস করে দেব!”
লোকটা চলে যেতেই ‘ফুট্টুস’ শব্দটা হরনাথকে ভাবিয়ে তুলল। শব্দটা তো প্রোমোটার অক্ষয়ের চ্যালা ছানু মণ্ডলের মুখে ক’দিন আগেই শোনা! তবে কী… এ বাড়ির ইন্তেকাল ঘটিয়ে এখানে অ্যাপার্টমেন্ট তৈরির মতলবে দীর্ঘ দিন ঘুরঘুর করছে অক্ষয়। হুটহাট চলেও আসে। এসে নানা রকম ভ্যানতাড়ার শেষে বলে, “এত বড় বাড়িতে দুজন মাত্র প্রাণী। ভেরি ব্যাড! অর্ণব যে আর ফিরবে না, সে আপনি ভালই জানেন। তবু জেদ করছেন! আপনার রায় ভিলা এক দিন না ভূতের বাড়ি হয়ে যায়…”
প্রতিক্রিয়ায় চোয়াল শক্ত করেন হরনাথ, “আমার জীবদ্দশায় রায় ভিলাতে আমি হম্বর চালাতে দেব না অক্ষয়। ভূতের বাড়ি হবে কেন, অর্ণব না এলে ভাগ্নে অরুণ তো আছে। সে ঠিক এ বাড়ির দেখভাল করবে।”
তা লাগাতার ব্যর্থ হয়ে সে মক্কেল এখন তার স্যাঙাতটিকে পাঠিয়েছে। দুঃসাহস আর কাকে বলে! কিন্তু আলমারি খুলে কী হাতাতে চায় ছানু? কোন মহার্ঘ জিনিস?
“এই যে বজ্জাত বুড়ো। বুড়ি এ বারও কিন্তু একই গাওনা গাইল! শেষ বারের মতো বলছি চাবিটা বের কর।” ফিরে এসেই ছানুর গলায়
আগুনের তাপ।
সহসা কী যে হল! মটকা গরম হয়ে গেল হরনাথের। ফস করে বলে উঠলেন, “অনেক ক্ষণ ধরে তুই-তোকারি শুনছি। তোকে আমি চিনতে পেরে গেছি রে হারামজাদা। তুই ছানু… ছানু মণ্ডল! অক্ষয়ের চামচা!”
ব্যস, শুনেই আগুনে ঘি পড়ল যেন। মশারির সব ক’টা দড়ি একটানে ছিঁড়ে ছানু ঝাঁপিয়ে পড়ল হরনাথের উপরে! তার পর কিছু ক্ষণ তাণ্ডব চালিয়ে একেবারে পগার পার!
**
নীচে ডোরবেলটা বেজেই চলেছে। শব্দের তাড়নায় জেগে উঠে বিরক্তিতে ভুরু কোঁচকালেন হরনাথ। দেওয়ালঘড়িতে আটটা বাজে। তার মানে কাজের মেয়েটিই এসেছে। কিন্তু কাছে থেকেও সাড়া দিচ্ছে না কেন পার্বতী! দজ্জাল বুড়ি! রাগে ব্রহ্মতালু জ্বললেও শেষমেশ অবশ্য উঠতেই হল হরনাথকে। নীচে নেমে দেখলেন পার্বতী দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। মুখখানা কাঁচুমাচু! দিনদশেক হল স্ত্রীর সঙ্গে বাক্যালাপ নেই। তা সত্ত্বেও বললেন, “ন্যাকামি হচ্ছে! দরজাটা না খুলে সঙের মতো দাঁড়িয়ে থাকার মানেটা কী?”
পার্বতীর চোখে ফ্যালফেলে দৃষ্টি, “ছিটকিনিগুলো খুলতেই পারছি না যে! বার বার হাত ফস্কে যাচ্ছে!”
“রাতদিন এক জন বুড়ো মানুষের পেছনে লেগে থাকলে এ রকমই হয়!” ব্যঙ্গের ছোঁয়া হরনাথের গলায়, “ভগবানের মার!”
রাগলেন না পার্বতী, বললেন, “বিশ্বাস করো…অদ্ভুত ব্যাপার!”
ব্যাপারটা যাচাই করতে গিয়ে ফাঁসলেন হরনাথও। বেশ কিছু ক্ষণ চেষ্টার পর তিনিও হতাশ, “আশ্চর্য ব্যাপার তো! এ সবের মানেটা কী?”
ও দিকে বাইরে হুলস্থুল কাণ্ড। দরজা খোলা যাচ্ছে না দেখে কাজের মেয়েটির সঙ্গে ভাগ্নে অরুণও চিলচিৎকার জুড়ে দিয়েছে। পাশের পাড়াতেই থাকে অরুণ। মর্নিংওয়াক সেরে ফেরার পথে মাঝে-মাঝেই মামার বাড়িতে এসে চা খেয়ে যায়। এ বার তার গলা পেয়ে ভরসা পেলেন হরনাথ। ভেতর থেকে গলা চড়িয়ে বললেন, “দরজাটা যে আমরা খুলতেই পারছি না রে অরুণ। তুই একটা কিছু কর বাবা।”
মিনিট পনেরো বাদেই অরুণের নেতৃত্বে এক দল মানুষ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়লে এগিয়ে গেলেন হরনাথ। ভাগ্নেকে বললেন, “বিশ্বাস কর, এমন অভিজ্ঞতা আমার জীবনে হয়নি! ছিটকিনিগুলো যত বার ধরতে যাচ্ছি তত বারই…”
ওর কথায় কোনও পাত্তা না দিয়ে পুরো ভিড়টাকে নিয়ে অরুণ শোবার ঘরটায় গিয়ে ঢুকলে রীতিমতো হকচকিয়ে গেলেন হরনাথ। স্ত্রীকে বললেন, “চলো তো দেখি।”
ঘরে ঢুকেই আঁতকে উঠলেন পার্বতী, “বিছানায় শুয়ে থাকা মহিলাটি তো অবিকল আমি!”
হরনাথও হতভম্ব, “তাই তো!”
কয়েক মুহূর্তের দর্শন। এর পরই অরুণ হঠাৎ উদ্ভ্রান্তের মতো দোতলার দিকে দৌড় লাগালে জনতার সঙ্গে সঙ্গে সস্ত্রীক হরনাথও ওর পিছু নিলেন। দোতলার ঘরে ওলটপালট বিছানায় নিথর হয়ে পড়ে আছেন হরনাথ। মুখের ওপর বালিশ চাপা! এ বার সবটা বোধগম্য হল হরনাথের। ডুকরে উঠে স্ত্রীকে বললেন, “ছানু আমাদের সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে। আমরা আর বেঁচে নেই পার্বতী!”
পার্বতী স্থবির। ঘোর কাটতেই কী যে হল তাঁর, হাউমাউ করতে করতে ছুট লাগালেন একতলার দিকে। হরনাথ দিশেহারা। স্ত্রীকে সামলাতে অগত্যা তিনিও বেরিয়ে এলেন ঘর ছেড়ে। নীচে নেমে দেখলেন সিঁড়ির মুখটায় প্রোমোটার অক্ষয় দাঁড়িয়ে। “পাষণ্ড! নরকের কীট!” রাগের আতিশয্যে ইতরটার শরীরে সজোরে এক লাথি ছুড়লেন হরনাথ। কিন্তু তাতে অক্ষয়ের তো কিছু হলই না, উল্টে তিনিই পপাত ধরণীতল!
মেঝেতে গড়াগড়ি খেয়ে ওঠার পর হরনাথ ভাবলেন, এ বার কী হবে! অর্ণবের যা মতিগতি তাতে ওর আশা না করাই ভাল। তা হলে কে করবে তাদের পারলৌকিক কাজকর্ম? পরক্ষণেই অবশ্য ভাগ্নের কথা মনে পড়ায় হাঁপ ছাড়লেন। অরুণ দায়িত্ববান ছেলে। মামা-মামিকে শ্রদ্ধা-ভক্তিও করে। সে নিশ্চয়ই…
ভাবনা শেষ হতে পারল না, দেখলেন উপর থেকে নেমে আসছে অরুণ। মুখখানা বিষাদে ভরা। নীচে নেমেই সিঁড়ির মুখটায় অক্ষয়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভূত দেখার মতো চমকাল সে। এ দিক-ও দিক তাকিয়ে চাপা গলায় বলে উঠল, “এত কিছুর পরেও… পাগল না কি আপনি! কাটুন শিগ্গিরই।”
অক্ষয় নির্বিকার মুখে হাসে, “রাস্তা ফুল ক্লিয়ার ব্রাদার! ব্যাটন এখন তোমার হাতে!”
অরুণ বিরক্ত, “এ বাড়িতে উকিলের আনাগোনা দেখে মনে হয়েছিল মামা বোধহয় অর্ণবের নামে সব লিখে দিচ্ছে। বলেছিলাম রাতবিরেতে কাউকে পাঠিয়ে চুপিসারে ব্যাপারটা ভেরিফাই করতে। তা না করে আপনি… রাবিশ!”
“আরে বাবা, তোমার মামা ছানুকে চিনে ফেলল যে! না মারলে বহুত লাফড়া হয়ে যেত বস!”
শুনেই মুখটাকে তিতকুটে করে ফেলল অরুণ, “অর্ণব যে মামার পালিত পুত্র সেই খবরটা বেশ কায়দা করেই ওর কানে আমি তুলে দিয়েছিলাম। জানতাম পাকেচক্রে এ বাড়িটা এক দিন আমারই হয়ে যাবে। কিন্তু উকিলটা এসেই সব চৌপাট করে দিল। এখন জল কোন দিকে গড়ায় কে জানে!”
“সব আমি ম্যানেজ করে নেব। কিস্যু হবে না, ডোন্ট ওরি!”
“না হলেই বাঁচি!”
বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে গেলেন হরনাথ। শেষ পর্যন্ত অরুণও! কিন্তু সব জেনেও এখন অসহায় তিনি। বদলা নেওয়ার উপায় নেই! তবু ক্রোধের বশে ভাগ্নের গলা
টিপে ধরতে গিয়ে ফের হুমড়ি খেলেন। উঠে দাঁড়াতে গিয়ে দেখলেন, সামনে পার্বতী। হাত বাড়িয়ে
দিয়ে পার্বতী বললেন, “ওঠো, হাতটা ধরো আমার।”
স্ত্রীর সহায়তায় উঠে দাঁড়াতে গিয়েই কোমরটা ঠেকে গেল অক্ষয়ের গায়ে। তাতেই জোর টাল খেয়ে গেল অক্ষয়! তার চোখে মুখে এখন ভয়-মেশানো বিস্ময়ের ছাপ। সে এ দিক-ও দিক তাকাচ্ছে!
হরনাথও বিস্মিত। এত ক্ষণ যে ছায়া শরীরে এক তিলও শক্তি ছিল না, পার্বতী হাত ধরতেই সেখানে হাতির বল! কী মনে হওয়ায় স্ত্রীর হাতটাকে শক্ত করে চেপে ধরলেন হরনাথ। বললেন, “চলো, একটা এক্সপেরিমেন্ট করি।”
পার্বতী অবাক, “কী এক্সপেরিমেন্ট?”
“আহা, চলোই না।”
অদৃশ্য ধাক্কায় ভয় পেয়ে পালাচ্ছে অক্ষয়। স্ত্রীর সঙ্গে হাত ধরাধরি করে গেটের মুখটায় গিয়ে তাকে ধরলেন হরনাথ। দিলেন বজ্জাতটার নিতম্বে সজোরে এক লাথি কষিয়ে। লাথি খেয়ে হাতকয়েক দূরে ছিটকে পড়ল অক্ষয়। পরক্ষণেই অবশ্য হোঁচট খেয়ে পড়েছে এমন একটা ভান করে দ্রুত পালিয়ে গেল। তার মুখ ছাইবর্ণ।
পরীক্ষায় সফল হয়ে হাসলেন হরনাথ। স্ত্রীকে বললেন, “দুজনে এককাট্টা থাকলে অনেক কিছুই করতে পারি আমরা। এবং আমাদের তা করতেও হবে।”
স্বামীর হেঁয়ালিতে ভ্যাবলা পার্বতী, “কী করতে চাও তুমি?”
“পুলিশ কিংবা অরুণের হাতে পড়ার আগেই আলমারির চাবিটাকে আমি সরাতে চাই। ওটা আছে দোতলার বাথরুমে। ভাগ্যিস চাবিটা ছানুর হাতে যায়নি। গেলে উইলের সত্যিটা অরুণ জেনে ফেলত।”
“উইল!” পার্বতীর চোখ ছানাবড়া, “কিসের উইল?”
“আড়াআড়ি ছিল বলে কথাটা তোমাকে বলা হয়নি। অর্ণবের উপর অভিমান করে ঘরদোর সব আমি অরুণের নামে লিখে দিয়েছি! ব্লান্ডার করেছি পার্বতী! এখন ওই উইলটাকে নষ্ট করে ফেলতে হবে!”
“কিন্তু তা কী করে সম্ভব! আমাদের যে শরীর নেই!”
“এইমাত্র দেখলে না অক্ষয়ের কী দশা হল? একতাই আমাদের শক্তি পার্বতী! দুজনে হাতে হাত রেখে আপাতত চাবিটাকে সরাব। তার পর বাড়ি ফাঁকা হলেই আলমারি খুলে বার করে আনব উইলখানা…”
**
সারাটা দিন পুলিশ আর মিডিয়ার ভিড়ে সরগরম ছিল বাড়ি। পুলিশের জেরায় বিস্তর নাটক করেছে অরুণ। ওর কাছ থেকে নম্বর নিয়ে অর্ণবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। অর্ণব জানিয়েছে, পরের ফ্লাইটেই ও কলকাতা আসছে। কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী। চরাচর অন্ধকার। রাত গভীর হতেই রায় ভিলা-র দোতলার ছাদে নিঃশব্দে এসে দাঁড়ালেন হরপার্বতী। হাত ধরাধরি করে উইলের পাতাগুলোকে ছিঁড়ে বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে হরনাথ স্ত্রীকে বললেন, “অর্ণব পুলিশকে বলেছে এ বাড়িতে একটা অনাথ আশ্রম করার ইচ্ছে ওর।”
পার্বতী উচ্ছ্বসিত, “তা হলে তো দারুণ হয়!”
“সে তো নিশ্চয়ই।” হঠাৎ আনমনা হয়ে পড়লেন হরনাথ, “কিন্তু বদমাশগুলো ফ্রিলি ঘুরে বেড়ালে সেই পরিকল্পনায় বাধা আসতে পারে।”
“কাদের কথা বলছ?”
“অক্ষয়, অরুণ এদের কথা।”
“তা হলে কী হবে?”
“জঞ্জাল সাফ করতে হবে পার্বতী, বিলকুল সাফ!” হরনাথের চোখে সহসা আগুন জ্বলে উঠল, “প্রথমে ছানুকে ধরব। হারামজাদাটার একটা গতি করে তার পর যাব বাকিদের কাছে! ধরো তো, হাতটা শক্ত করে চেপে ধরো তো আমার!”
রবিবাসরীয় বিভাগে
১৪০০-১৬০০ শব্দের মধ্যে
ছোটগল্প পাঠান। ইউনিকোড ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। পিডিএফ-এ নয়, ওয়ার্ড ফাইল সরাসরি ইমেল করুন। ইমেল: rabibasariya@abp.in সাবজেক্ট: Rabibasariya Golpo. পাণ্ডুলিপিতে ফোন নম্বর ও সম্পূর্ণ ঠিকানা থাকা আবশ্যক। সিদ্ধান্তের জন্য অন্তত সাত-আট মাস অপেক্ষা করতে হবে। মনোনীত হলে পত্রিকার পক্ষ থেকে জানানো হবে। প্রেরিত ছোটগল্পটি অবশ্যই মৌলিক ও অপ্রকাশিত হতে হবে। অনুবাদ বা অনুকরণ হলে চলবে না। অন্য কোথাও মুদ্রিত বা ডিজিটাল ইত্যাদি অন্য কোনও রূপে প্রকাশিত লেখা অনুগ্রহ করে পাঠাবেন না। এই নিয়ম কেউ লঙ্ঘন করলে তাঁর কোনও লেখাই এই পত্রিকার জন্য ভবিষ্যতে কখনও বিবেচিত হবে না।