বর্ষাকে ভালবাসতাম আমি। ওর প্রেমের জোয়ারে আমার নবযৌবন তখন বানভাসি। বসন্তের সন্ধ্যায় পূর্ণিমা গায়ে মেখে লোকালয় থেকে দূরে, শিলাবতী নদীর পাড়ে বসে স্বপ্ন দেখছি দাম্পত্যযাপনের। ওর প্রেমে আমি যত না ভেসেছি, আঁকড়ে ধরে থাকতে চেষ্টা করেছি তার চেয়ে বেশি। আজন্ম ভালবাসার কাঙাল আমি। শৈশব থেকে পিতৃস্নেহে বঞ্চিত হয়ে জীবন কেটেছে আমার। আমার যখন বছর দুই, তখন বাবা মা’কে ছেড়ে বিবাগী হয়েছেন অজানার সন্ধানে। চিরসংগ্রামী মা প্রথম থেকেই আমায় আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছেন। তাই আমার কাছে ভালবাসা মানে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা, গাছেদের মাটি আঁকড়ে বেঁচে থাকার মতো। জেনেছি, মাটি ছিন্ন হলে যেমন মৃত্যু ঘটে উদ্ভিদের, তেমনই ভালবাসা ছিন্ন হলে মৃত্যু ঘটে সম্পর্কের। তবুও বর্ষাকে নিয়ে সংসার পাতা হল না আমার। দোষ বর্ষার ছিল না। দোষ আমারই। বিয়ে করার তাড়া ছিল আমার। মৃত্যুশয্যায় শায়িত মায়ের ইচ্ছে পুত্রবধু দেখে যাওয়ার।
মাকে সারা জীবন কিছুই দিতে পারিনি, এটুকুও পারব না আমি? এই ভেবে বর্ষাকে বিয়ের প্রস্তাব দিই। না, বর্ষার তাতে কোনও আপত্তি ছিল না, শুধু সে সময় চেয়েছিল, তার বাবা ফিরে আসা পর্যন্ত। ওর বাবা ছিলেন সীমান্তের প্রহরী। দু’দেশের সীমান্তে উষ্ণতা বাড়ছে তখন। বর্ষার বাবার মতো সীমান্ত রক্ষা করার দায়িত্ব যাঁদের ঘাড়ে, তাঁদের সব ছুটি বাতিল হয়েছে। খবরের কাগজে প্রায় প্রতিদিনই ছাপা হয় মৃত সৈনিকের ছবি। বড্ড দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে বর্ষাদের। কবে ফিরবেন, তার থেকেও বড় চিন্তা, আদৌ ফিরবেন তো?
‘যদি কোনও দিন না ফেরেন তবে কি তুই বিয়ে করবি না?’ মোক্ষম প্রশ্নটা ছুড়ে দেন আমার আত্মীয়-পরিজনেরা। সত্যিই তো, কী করব আমি তখন, যদি ওর বাবা না ফেরেন? ‘তোর বাবা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তোর মধ্যেই সব সুখ খুঁজে পেতে চেয়েছিল তোর মা। আজ যদি তোর কারণে তোর মা’কে দুঃখ পেতে হয়, সেটা কি ভাল হবে?’ আত্মীয়-স্বজনের কথায় দিশেহারা হয়ে পড়ি আমি। পুত্রবধূ দেখার মধ্যেই সুখ লুকিয়ে আছে মায়ের, কারণ মা জানেন, পুত্রবধূই সচল রাখবে এই বংশের ধারা।
নিজের বংশ টিকে থাকবে এই পৃথিবীতে, এই স্বপ্নই তো আজন্ম লালন করে প্রতিটি জীব। আমার মা-ও এর ব্যতিক্রম নন। তাই তো আমি বিয়ে করলে নিশ্চিন্তে চোখ বুজতে পারবেন। মায়ের ইচ্ছের মর্যাদা দিতে এবং আত্মীয়-স্বজনদের চাপে পড়ে ধৈর্য হারাই আমি।
‘আর কত দিন পর তোমার বাবা ফিরবেন, বর্ষা?’
‘যুদ্ধ শেষ হলে।’
‘কবে শেষ হবে তোমার বাবার যুদ্ধ?’
‘আমার বাবার একার যুদ্ধ, অমৃত? এটা তোমাদের যুদ্ধ নয়? তোমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ নয়? দেশ কি সৈনিকদের একার, নাকি কোটি কোটি দেশবাসীর? ভেবে দেখো, যারা যুদ্ধ লাগায় এবং যাদের জন্য যুদ্ধ, তাদের উপর যুদ্ধের কোন প্রভাবই পড়ে না। যুগ যুগ ধরে যুদ্ধের ফল ভোগ করে সৈনিকদের পরিবার।’
আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে বর্ষা। ওকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলি, ‘আমি তোমাকে সে ভাবে বলতে চাইনি, বর্ষা। সত্যিই তো, তুমি কী করে বলবে, তোমার বাবা কবে ফিরবেন! তা ছাড়া, তোমার বাবা না ফিরলে আমাদের বিয়ে করাটা ঠিকও হবে না। যতই হোক, মেয়ের বিয়ে নিয়ে প্রত্যেক বাবার স্বপ্ন থাকে।’
‘তোর মায়ের স্বপ্নের কী হবে অমৃত?’ আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসায় দিশেহারা হয়ে পড়ি আমি। ‘দেশে কি অন্য মেয়ে নেই যে তোর ওই বর্ষাকেই বিয়ে করতে হবে? ওর থেকে হাজার গুণ ভাল মেয়ে এনে দেব, শুধু তুই রাজি হয়ে যা।’ আমার কাছে সাড়া না পেয়ে এ বার মোক্ষম প্রশ্নটা ছুড়ে দেয় কেউ কেউ। ‘তোর মায়ের ইচ্ছের কোনও দাম নেই তোর কাছে?’ শুধু আমার কাছে বলেই ক্ষান্ত হয় না তারা। বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা করতে থাকে, কী দিনকাল এল রে বাবা, যে মা কোলেপিঠে করে মানুষ করল, তার ইচ্ছের কোনও দাম নেই এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে! কানাঘুষোয় শুনে মন খারাপ হয়ে যায় আমার। কী করব, বুঝে উঠতে পারি না।
আমার এই সমস্যার সমাধান করে দিল বর্ষা নিজেই। শীলাবতীর ধারে বসে আছি অন্য দিনের মতোই। বর্ষা ওর শরীরটা এলিয়ে দিয়েছে আমার বুকে। বাঁ হাত দিয়ে আমি ঘিরে রেখেছি ওকে। বসার এই ভঙ্গিটা ভীষণ পছন্দ বর্ষার। ও বলে, ‘এ ভাবে বসলে আমার মনে হয়, মাটি যে ভাবে জলকে ঘিরে রাখে, আমাকে তেমন ভাবে ঘিরে রেখেছ তুমি। আমাদের কেউ কোনও দিন আলাদা করতে পারবে না।’ কথাটা মনে পড়তেই বুকটা ধক করে ওঠে আমার। কারণ, আজই আমার শেষ দিন বর্ষার সঙ্গে। আমার আপনজনেরা হৈমন্তীকে বেছে দিয়েছে আমার জীবনসঙ্গিনী হিসাবে। এ কথা আজ বর্ষাকে জানাতে হবে।
বর্ষা এত ক্ষণ চুপ ছিল। মুখ খুলেছে এখন। অনর্গল বলে যাচ্ছে ওর মায়ের কথা। ‘জানো অমৃত, যে দিন থেকে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, আমার মা মুখে কুটোটিও কাটতে পারছেন না। জোর করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। ঘরে টিভি, রেডিয়ো, খবরের কাগজ, সব বন্ধ। এত করেও ঘরে যুদ্ধ ঢোকা আটকাতে পারছি না আমরা। শুয়ে শুয়েই রাত কাটে মায়ের, চোখে ঘুম আসে না। কখনও কখনও চোখ লেগে গেলে ধড়ফড় করে উঠে বসেন কফিনের স্বপ্ন দেখে। অনর্গল ভুল বকেন: ‘দেখ বর্ষা, চারদিকে কত কফিন।’ আমি সান্ত্বনা দিই, মা তুমি ভুল দেখছ, কোথাও কফিন নেই। দেখো, আমাদের ঘরে যুদ্ধের কফিন কোনও দিনই ঢুকবে না। বাবা ফিরবেন খুব তাড়াতাড়ি। ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন মা।’ এর পর কিছু ক্ষণ থামে বর্ষা।
তত ক্ষণে অন্ধকার ঢেকে ফেলেছে শিলাবতীকে। আমরা কেউ কারও মুখ দেখতে পাচ্ছি না আর। এখন আমার ছোঁয়া বাঁচিয়ে সোজা বসেছে বর্ষা। ‘আর পারছি না জানো, কেউ যদি একটা পাশে থাকত এই সময়!’ প্রায় ফিসফিস করে কথাগুলো উচ্চারণ করে বর্ষা। জানি আমার বলা উচিত ছিল, আমি তো আছি। কিন্তু কিচ্ছু বলতে পারি না। হঠাৎ কথার বাঁক ঘোরায় বর্ষা, ‘ছাড়ো আমার কথা। হৈমন্তীর কথা বলো।’ ওর মুখে হৈমন্তীর কথা শুনে চমকে উঠি আমি। কথার জাল বুনতে শুরু করি নিজের দোষ ঢাকার জন্য, ‘দেখো বর্ষা, আমি এই বিয়েটা করতে চাইনি। বাড়ির লোকেরা জোর করে, মায়ের অজুহাত দিয়ে...’ ‘বুঝেছি,’ বলে আমাকে থামিয়ে দেয় বর্ষা। তার পর বলে, ‘ঠিকই তো, তুমি কেন যুদ্ধের ফল ভোগ করবে। আমার বাবা সৈনিক। সৈনিক পরিবারের অংশ হিসাবে যুদ্ধের ফল আমারই ভোগ করার কথা।’ তার পর অস্থির গলায় বলে, ‘এ বার বাড়ি ফিরতে হবে আমায়। নয়তো মা দুশ্চিন্তা করবেন। ভাল থেকো। হৈমন্তীকে নিয়ে সুখী হও তুমি। কাল থেকে আমাদের আর দেখা করা উচিত হবে না বোধহয়।’ কথা শেষ করে বাড়ির পথের দিকে এগিয়ে যায় বর্ষা। অন্ধকার ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে দেখেও ওকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য উঠে যেতে পারি না আমি। অন্য দিন নিজে থেকেই বলে, ‘বাড়ির সামনের গলিটা অন্ধকার থাকে। অন্ধকারে ভয় করে আমার। একটু এগিয়ে দাও না!’ আমি হেঁকে বলি, ‘বর্ষা, দাঁড়াও, খুব অন্ধকার, আমি পৌঁছে দেব।’ বর্ষা দাঁড়ায় না, দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যায় ওর জন্য অপেক্ষারত যুদ্ধের দিকে।
মেয়েরা অনেকটা লতানো গাছের মতো। ওদের জীবন আবর্তিত হয় পুরুষজীবনকে আষ্টেপৃষ্ঠে পেঁচিয়ে। আমার ঠাকুরমার বলা কথাগুলো অনুভব করি হৈমন্তীকে দেখে। হৈমন্তীর জীবনে কোনও দিন যুদ্ধের ছায়া পড়েনি। তাই এই যৌবনেও সে উচ্ছল কিশোরীর মতো। ওকে ভালবাসতে হয় না, ও জোর করে ভালবাসা আদায় করে নেয়। আমার প্রতি এক তীব্র অধিকারবোধ কাজ করে ওর, তাই জোর করে ওর ইচ্ছেগুলো আমার উপর চাপিয়ে দেয়। আমার আপত্তির কোনও দাম নেই ওর কাছে। আপত্তি করলে বলে ওঠে ‘তুমি চুপ করো তো বাপু। পুরুষমানুষ, সংসারের কী বোঝো?’ সত্যিই সংসার গড়ে ওঠে, সমৃদ্ধ হয় মেয়েদের হাত ধরেই। এর মধ্যে সন্তানবতী হয়েছে হৈমন্তী। আগামী প্রজন্মের দর্শন-আকাঙ্ক্ষা সুস্থ করে তুলেছে মা’কে। বর্ষার জীবনযুদ্ধের আবহ থেকে আমি এখন বহু দূরে বাস করি। পরিবর্তে হৈমন্তীর আগমন আমার জীবনে নিয়ে এসেছে এক অদ্ভুত সুখানুভূতি। তবুও সুখী হতে পারি না। মাঝে মাঝেই মনে পড়ে যায় বর্ষার কথা। ওর জীবনযুদ্ধের কথা শুনে মন খারাপ হয়ে যায় আমার।
সাহেবনগর ছোট জায়গা। ওর খবর পেতে আমাকে চেষ্টা করতে হয় না। না চাইলেও ঠিক কানে চলে আসে। জানি, যুদ্ধ থেমে গেলেও বর্ষার বাবা ফেরেননি। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওর বাবার খোঁজ চলছে। মৃতদেহ না পাওয়া পর্যন্ত কোনও সাহায্য তারা পাবে না। বাবা না ফিরে আসায় কথা বন্ধ হয়েছে ওর মায়ের। চরম দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছে বর্ষা। অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে টিউশনি শুরু করেছে বর্ষা। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াই। কিন্তু খুঁজে পাই না, কোন সম্পর্কের জোরে ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াব। ও যদি আমার সাহায্য নিতে অস্বীকার করে? সব কিছুকে সম্পর্কের নিরিখে বিচার করা এই সমাজ কী বলবে? এই সব ভাবনা এগোতে দেয় না আমাকে।
আমার মনখারাপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারে না হৈমন্তীর জন্য। একটু মনখারাপ হলে ও এসে বসে আমার পাশে, মোলায়েম ভাবে জানতে চায়, ‘কী হয়েছে তোমার?’
‘কই, কিছু না তো!’
‘তা হলে এ ভাবে মুখ গোমড়া করে বসে আছো কেন?’
‘কই, না তো।’ নিজেকে লুকনোর চেষ্টা করি আমি। পারি না। মেয়েদের সহজাত ক্ষমতায় হৈমন্তী পড়ে ফেলে আমার পুরুষ-মন। ও জেদ ধরতে থাকে, ‘কী হয়েছে, আমার কাছে খুলে বলো। আমি তোমার স্ত্রী,আমার কাছে কোনও কিছু গোপন করার দরকার নেই তোমার।’ তবু আমি বলতে পারি না কিছু। বরং বারবার ও জেদ করায় বিরক্ত হই, ‘আহ্, জ্বালিও না আমায়, যাও তো এখন!’ শুকনো মুখে মৃদু পায়ে আমার কাছ থেকে সরে যায় হৈমন্তী। বুঝতে পারি, কাজটা ঠিক হল না। উঠে গিয়ে আমি হৈমন্তীর গা ঘেঁষে দাঁড়াই। বলি, ‘কিছু মনে কোরো না সোনা। আমি ও ভাবে বলতে চাইনি।’ মন গলছে না দেখে বানিয়ে বানিয়ে বলি, ‘মনে হয় প্রেশারটা বেড়েছে। অফিসেও শুধু শুধু রাগ দেখানো হয়ে যাচ্ছে।’
‘সে কী গো! এ তো ভাল কথা নয়। আমি তোমার রাগ সহ্য করতে পারি, কিন্তু বাইরের লোক কেন সহ্য করবে? চলো আজই তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব আমি।’ এই ভাবে মান-অভিমানে হৈমন্তী আমাকে যতই ওর দিকে টেনে নেয়, তত দূরে সরে যেতে থাকে বর্ষা।
তবে বর্ষা পুরোপুরি মুছে গেল না আমার জীবন থেকে। সে দিন অফিস-ফেরত আমি দাঁড়িয়ে আছি স্টেশনে। আকাশ জুড়ে কালো মেঘের ঘনঘটা। গুমোট গরমে অতিষ্ঠ শরীর বৃষ্টি চাইছে আকাশ ভেঙে। হঠাৎ নজর যায়, একটু দূরে বর্ষা দাঁড়িয়ে গল্প করছে আমার অফিসে ঘোরাঘুরি-করা জমির দালাল নান্টুর সঙ্গে। ব্যাপারটা ভাল ঠেকে না আমার। জমির দালালি করা নান্টুর সঙ্গে কী দরকার থাকতে পারে বর্ষার, উত্তর খুঁজে পাই না আমি। বর্ষা চলে যাওয়ার পর জিজ্ঞেস করলাম নান্টুকেই। মুখ-ভর্তি পানের পিক ফেলে উত্তর দেয়, ‘মেয়েটার বাবা সেনাবাহিনীতে চাকরি করত। বছর খানেক হল তার কোনও খবর নেই। মা অসুস্থ মেয়েটার। চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার দরকার। টাকার জন্যই ওদের বাড়িটা বিক্রি করতে চায়। তাই খদ্দের দেখার জন্য বলছিল।’ শুনে আঁতকে উঠি আমি। ভাবি, না না, এ সর্বনাশ কিছুতেই করতে দেওয়া যাবে না বর্ষাকে। ঘর বিক্রি হলে ওরা থাকবে কোথায়! যে ভাবে হোক আটকাতে হবে ওকে। এই ভেবে ট্রেন ধরে দ্রুত পৌঁছই সাহেবনগর। তার পর বর্ষার বাড়ির পথ ধরি। তত ক্ষণে মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে। ওই বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতেই হাঁটতে থাকি। হঠাৎ পকেটের মোবাইলটা বেজে ওঠে। মায়ের ফোন! এই সময় মা! অবাক হই। কানে নিয়ে শুনতে পাই মায়ের উদ্বিগ্ন কণ্ঠস্বর, ‘তাড়াতাড়ি বাড়ি আয় বাবা, বউমার ব্যথা উঠেছে, ওকে এক্ষুনি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।’ আমি থমকে দাঁড়িয়ে পড়ি মাঝরাস্তায়। বর্ষার স্রোত তখন অঝোর ধারায় ধুয়ে দিচ্ছে আমার সর্বাঙ্গ।
‘রবিবাসরীয়’ বিভাগে ছোটগল্প পাঠান, অনধিক ১৫০০ শব্দে।
ইমেল: rabibasariya@abp.in সাবজেক্ট: rabibasariya galpa
ডাকে পাঠানোর ঠিকানা:
‘রবিবাসরীয় গল্প’,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
যে কোনও একটি মাধ্যমে গল্প পাঠান। একই গল্প ডাকে ও ইমেলে পাঠাবেন না। পাণ্ডুলিপিতে ফোন নম্বর বা ইমেল আইডি জানাবেন। ইউনিকোড ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।