Abosar

মৃগাঙ্কর ছবি

অমিতাভ মৈত্র

চোখের মণির উপর গাঢ় রঙের তুলির ছোঁয়া দিয়েই মৃগাঙ্ক বুঝতে পারল, ছবিটা এ বার মনের মতো হয়েছে। ওর ছবিতে সব সময় চোখ একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওর বন্ধুরা বলে, ‘‘ছবিতে শুধু চোখের এক্সপ্রেশনের জন্যই তুই এক দিন বড় শিল্পী হবি।’’ ছোটবেলা থেকে অনেক সময় নিয়ে মৃগাঙ্ক রাফায়েল, লিওনার্দোর বিখ্যাত ছবিগুলো স্টাডি করেছে। এই মহান শিল্পীদের শিল্পকর্ম মৃগাঙ্কর কাজে বিশেষ প্রভাব ফেলে। আজকের ছবি এক ইউরোপীয় মহিলার আবক্ষ চিত্র। মহিলা মাথাটা সামান্য নিচু করে বাঁ-দিকে চেয়ে আছেন।

রাত এখন আড়াইটে। শীতের রাত। ছবি আঁকতে বসলে মৃগাঙ্ক নাওয়া-খাওয়া, ঘুম ভুলে যায়। শুতে যেতে দেরি হলেও সকালে উঠতে দেরি হয় না। ছবিকে মনের মতো করে ফুটিয়ে তুলতে তার শরীর মন উত্তেজনায় বিভোর হয়ে থাকে। ছবিটার চোদ্দো আনা কাজ শেষ করে এ বার সে শুতে যাবে। ছবির মুখোমুখি বসে নিজের ছবিকে শেষ বারের মতো দেখছে মৃগাঙ্ক। রাতের নিস্তব্ধতা মাঝে মাঝে ভেঙে চলেছে একদল কুকুরের ডাকে।

মহিলার চোখের পাতাটা একটু কি নড়ল? মৃগাঙ্ক বুঝতে পারল, বেশ কয়েক রাত না ঘুমিয়ে, ও ভুল দেখছে। না, এ বার সে উঠবে। আলো নেভাতে সুইচের দিকে হাত বাড়াল। “চাও”, এক বিদেশিনির কণ্ঠ। মৃগাঙ্ক পিছন ফিরে তাকাল। ছবিটা একই রকম আছে কি? মুখে যে বিষণ্ণতা সে ফুটিয়ে তুলেছিল সেটা যেন কম! একটু মৃদু হাসি ঠোঁটের কোনায় মনে হচ্ছে কি? না… এটা অসম্ভব, মৃগাঙ্ক ভুল দেখছে। এ বার তাড়াতাড়ি দরজার দিকে এগোল সে। আবার সেই কণ্ঠস্বর, “চাও। কোমে স্তাই?’’ মৃগাঙ্ক এত শীতেও ঘামছে। ছবির মহিলা বাঁ-দিকে চেয়েছিলেন, এখন মৃগাঙ্কর দিকে চেয়ে আছেন। চোখের মণিদুটো চকচক করছে। “কোমে স্তাই?’’ ঠোঁট নড়ে উঠল ছবির নায়িকার। এই ভাষার সঙ্গে মৃগাঙ্কর সামান্য পরিচয় আছে। ইতালিয়ান বলছেন ছবির মহিলা। চিৎকার করতে গিয়ে বুঝতে পারল, গলা দিয়ে স্বর বেরচ্ছে না মৃগাঙ্কর।

সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে ওঠার সময়ও ঘরের মধ্যে থেকে মেয়েলি হাসির শব্দ শুনতে পেয়েছিল সে। স্টুডিয়োর দরজাটা বন্ধ করতে পারেনি তাড়াহুড়োতে। 

সেই রাতে আর কোনও ঘটনা না ঘটলেও দু’চোখের পাতা এক করতে পারেনি সে।

সকালে সে স্টুডিয়োয় এল বেশ দেরিতে। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ভিতরের অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করল মৃগাঙ্ক। অন্য রকম কিছুই তো মনে হচ্ছে না। দরজা ঠেলতেই সরাসরি উল্টো দিকে ইজেলের উপর ছবিটা দেখা যাচ্ছে। যেমনটা সে এঁকেছিল, ঠিক তা-ই আছে… মাথাটা সামান্য নিচু করে বাঁ-দিকে চেয়ে আছেন ছবির মহিলা। কী করবে ভাবছে মৃগাঙ্ক। ছবিটা এখনও শেষ হয়নি। সামান্য কাজ বাকি আছে। চোখটা অসম্ভব জীবন্ত করে তুলেছে সে। চুলের কাজটাই বা কম কী! এতটা না হলেই বোধহয় ভাল হত। কয়েক ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, কিন্তু তুলির ছোঁয়া অসমাপ্ত ছবির মুখে লাগেনি। তুলি ক্যানভাসের কাছে আনতেই হাত কাঁপছে তার। উত্তেজনা কমাতে স্নানঘরে গিয়ে শাওয়ারের নিচে দাঁড়াল মৃগাঙ্ক। 

স্নান করে একটু ভাল লাগছে তার। ছবির মেয়েটি যে ভাষায় যা বলেছে তার অর্থও সে জেনে নিয়েছে। ‘চাও’ মানে হ্যালো। আর ‘কোমে স্তাই’ মানে ‘কেমন আছ?’। গতকাল রাতের ঘটনাটা দুঃস্বপ্নের মতো। মন বিশ্বাস করতে চাইছে না, যা কিছু ঘটেছে। কোনও ভুল হচ্ছে না তো! দিনের পর দিন না ঘুমিয়ে অথবা কম ঘুমিয়ে তার মাথা কি ঠিকমতো কাজ করছে না? এটা কি ভ্রম? বুঝে উঠতে পারছে না সে।

কিন্তু মৃগাঙ্কর উপায় ছিল না। ও অনেক টাকা আগাম নিয়েছে দীনেশ আগরওয়ালের কাছ থেকে, আগামী দু’দিনের মধ্যে ছবি ডেলিভারি করতে হবে। সাধারণত ওর কথার খেলাপ হয় না। দীনেশবাবু বিকেলের দিকে এলেন ছবি কেমন এগিয়েছে দেখতে। ছবি দেখে তাঁর এত ভাল লেগেছে যে মৃগাঙ্ক রাজি হলে আজই এই অবস্থাতেই তিনি নিয়ে যেতেন। কোথায় ছবিটা অসম্পূর্ণ সেটা তাঁর চোখে ধরাই পড়ছে না। 

মৃগাঙ্ক অনেক চেষ্টায় কাজে মন দিল এবং সামান্য কথার খেলাপ করে তিন দিনের মাথায় ছবিটা ডেলিভারি করল। 

এর মধ্যে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র একটি ঘটনা ছাড়া। পাশের বাড়ির বিমলবাবু মর্নিংওয়াক সেরে মাঝে মাঝে তাঁর পোষা কুকুর ভুলুকে সঙ্গে নিয়ে মৃগাঙ্কর স্টুডিয়োয় আসেন। কোনও খবর না দিয়েই আসেন এবং এক কাপ চা না খেয়ে ওঠেন না। কাজের যখন বেশ চাপ থাকে, তখন এই লৌকিকতাগুলো মৃগাঙ্কর ভাল লাগে না। কিন্তু বয়স্ক মানুষ, কিছু বলা যায় না। উনি আবার মৃগাঙ্কর ছবির খুব সমঝদার। 

ছবি ডেলিভারির আগে সে দিনও বিমলবাবু ভুলুকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। ইজেলের উপর সদ্য-সমাপ্ত ছবিটা দেখে ভুলু হঠাৎ ডেকে উঠল। ছুটে যেতে চাইছিল ছবির দিকে! বিমলবাবু না আটকালে ছবিটার কী হাল হত কে জানে!

এর দু’দিন পরে। সকাল আটটায় মৃগাঙ্কর মোবাইল বেজে ওঠে। দীনেশ আগরওয়ালের উত্তেজিত কণ্ঠস্বর, “তাজ্জব কি বাত মৃগাঙ্কবাবু। আপনার ছবির মধ্যে জরুর ভূত ঘুসে আছে!’’ তার পরে দীনেশবাবু যা বললেন তা মৃগাঙ্ককে খুব অবাক করল না। দীনেশ আগরওয়ালের বাড়িতেও একটা পোষা কুকুর আছে। এমনিতে সে খুব শান্ত এবং নিরীহ প্রকৃতির। কিন্তু ছবি নিয়ে বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তার স্বভাব গিয়েছে বদলে। সারা ক্ষণ চিৎকার করে যাচ্ছে, তাকে বেঁধে রাখা যাচ্ছে না। 

এর পরের ঘটনা আরও রোমাঞ্চকর। ছবিটা দীনেশবাবু টাঙিয়েছিলেন তাঁর শোওয়ার ঘরে। তিনি ছবিটা পেয়ে এতটাই খুশি ছিলেন যে পাশে ওঁর স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়ার পরেও একমনে দেখছিলেন… কী আশ্চর্য জীবন্ত একটা ভাব মেয়েটির মুখে। হঠাৎ মনে হল, ছবিতে মেয়েটির চোখের পাতা দুটো নড়ে উঠল। তার পরেই সে মাথাটা সামান্য ঘুরিয়ে দীনেশবাবুর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘চাও’। দীনেশবাবু এই ভাষার এক বর্ণ বুঝতে না পেরে বোকার মতো তাকিয়ে থাকায় ছবির মহিলা নাকি মুচকি মুচকি হাসছিলেন। 

কুকুরটা রাতে বাড়িতে ছাড়া থাকে। সে শোওয়ার ঘরের দরজায় চিৎকার করতে করতে আঁচড়াচ্ছিল। ছবি আরও কিছু কথা বলেছিল, দীনেশবাবু যা বুঝতে পারেননি। রাতেই স্ত্রীকে ডেকে তুলে কোনও রকমে ঘর থেকে পালিয়ে যান। সকালে তিনি মৃগাঙ্ককে অনুরোধ করলেন, এখনই এক বার তাঁর বাড়িতে যেতে।

মৃগাঙ্ক দীনেশবাবুর বাড়িতে পৌঁছে দেখল, সেখানে অনেক লোক। তার মানে এরই মধ্যে তিনি ব্যাপারটা বেশ রাষ্ট্র করে ফেলেছেন। মৃগাঙ্ককে দেখতে পেয়ে দীনেশবাবু হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন। কোনও লোকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মৃগাঙ্ককে একটা ঘরে ঢুকিয়ে নিলেন। 

ঘরের দেওয়ালে মৃগাঙ্কর আঁকা ছবিটা ঝুলছে। বোঝা গেল, এইটাই দীনেশবাবুর শোওয়ার ঘর। দেওয়ালে টাঙানো ছবিতে কোনও পরিবর্তন মৃগাঙ্কর চোখে পড়ল না। দীনেশবাবু গতকালের অভিজ্ঞতা সবিস্তারে বিবরণ দেওয়ার পর  বললেন, “আপনি বহুত কষ্ট করে পেন্টিংটা আমার জন্য বানালেন। কিন্তু আমার ব্যাড লাক, এই ছবির মধ্যে ব্যাড স্পিরিট ঘুসে বসে আছে। আমি রোপিয়া ওয়াপাস চাই না। কিন্তু এ ছবি আপনি ফিরৎ লিয়ে আমাকে রিলিফ দিন। এ ছবি আমার ঘরে এত ক্ষণ থাকবে তো আমার সব বরবাদ হয়ে যাবে।’’ 

ছবিটাকে ফ্রেম সমেত কাগজে মুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিল মৃগাঙ্ক। একটা অশুভ ঝড় বয়ে চলেছে, কখন থামবে এই ঝড়— মৃগাঙ্ক জানে না। ছবিটা কাগজের মোড়ক থেকে বার করতে হাত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে মৃগাঙ্কর। 

ছবিটাকে নিয়ে দৌড়ে ছাদে উঠে গেল। কাগজের মোড়ক থেকে ধীরে ধীরে বার করে আনল। জল রঙে আঁকা বিদেশিনি মেয়ে, যেমন চেয়ে ছিলেন সেই রকমই চেয়ে আছেন বাঁ-দিকে। 

ছাদের বাগানে জল দেওয়ার জন্য যে কলটা আছে, তার সামনে এসে দাঁড়াল মৃগাঙ্ক। কী যেন ভাবছে সে। কিন্তু ভাবার বেশি সময় নেই। সন্ধে নামছে। ছবির বিদেশিনির জেগে ওঠার সময় এগিয়ে আসছে। কলটা খুলল মৃগাঙ্ক। ঝরঝর করে জল পড়ে তার পা ভিজে যাচ্ছে। ছবিটাকে মেলে ধরল জলের ধারায়। সব রং ক্রমশ ধুয়ে যাচ্ছে… একটা হালকা ছাপ শুধু গিয়েও যেতে চাইছে না। একটা কান্না বুকের কাছে এসে যেন আটকে আছে।  চিলেকোঠার ঘরের দরজা খুলে ছুড়ে ভিতরে ফেলে দিল ছবির ফ্রেম সমেত বোর্ডটা।  তার পর দরজা  বন্ধ করে কিছু ক্ষণ ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখল সে। অন্ধকার নেমে এলে ছাদের দরজা বন্ধ করে সিঁড়ি বেয়ে মৃগাঙ্ক নীচে নেমে এল তাড়াতাড়ি।

আজ প্রায় দু’মাস হল মৃগাঙ্ক এক বারের জন্যও তুলি ধরেনি। ঠিক করেছে ছবি আঁকার স্টাইলটা ও বদলে ফেলবে।  সেই নিয়েই রাত-দিন ভেবে যাচ্ছে সে। এ বার সে ছবি আঁকবে মোটা ব্রাশে। 

রিয়েলিস্টিক ফিনিশ না হলেও ছবিকে মনের মতো ফুটিয়ে তোলা যায়। এত ডিটেলের প্রয়োজন হয় না। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পালা শেষ করে মৃগাঙ্ক পরের তিন মাসে আধুনিক স্টাইলে ছবি আঁকল সাতটা। সেগুলো বিক্রিও হল অনেক দামে। স্টাইল বদলে ফেলায় তার ছবি বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি। পকেট ক্রমশ মোটা হচ্ছে। কিন্তু  মন ভরছে না তার। তার মন বারবার বলছে পুরনো স্টাইলে ফিরে যেতে। কিন্তু বন্ধ চিলেকোঠার দিকে তাকিয়ে সে মত বদলেছে বারবার। সেই রাতের কথা ভাবলে বা  দীনেশবাবুর বাড়ির ঘটনার কথা ভাবলে তার গলা শুকিয়ে যায় এক অজানা ভয়ে। 

বিমলবাবু এক দিন এলেন। মৃগাঙ্কর সাম্প্রতিক কালের ছবি দেখে হতাশা ব্যক্ত করলেন। বললেন, “এগুলো কী আঁকেন বলুন দিকিনি? ওই যে সব গাছপালা, বাড়ি, গরু, ছাগল, মানুষের মুখ, ও সব তো আমার নাতিও আঁকে, নাতির ছবির মাথামুন্ডু কিছু বোঝা যায় আর আপনারটা বোঝা যায় না, এই শুধু তফাত। এই ছবি আঁকার জন্য কোনও ট্যালেন্টের দরকার হয় না মশাই। এই যদি আপনি চালিয়ে যান তা হলে আপনাকে লাল, নীল, সাদা চকখড়ি নিয়ে ফুটপাতে ছবি আঁকতে হবে, এই আমি বলে দিলুম। আপনার কী হল বলুন তো? খাসা হাত ছিল মশাই আপনার। সব ছেড়ে কী সব কাগের ঠ্যাং, বগের ঠ্যাং আঁকতে শুরু করলেন। শনি চেপেছে না কি ঘাড়ে?” 

মৃগাঙ্কর কানের কাছে গলা নামিয়ে প্রায় ফিসফিস করে বললেন, “আমার সন্ধানে ভাল গুনিন আছে। চলুন দিকি, এক বার হাতটা দেখিয়ে নেবেন। একটা মন্ত্র বাতলে দেবে, ও সব শনি-টনি পালাবার পথ পাবে না।” মৃগাঙ্ক দেখল, কথা বাড়ালেই বিপদ। ওঁর কোনও কাজ নেই, সুযোগ পেলে বকেই যাবেন। তার চেয়ে যা বলছেন বলুন, চুপ করে সায় দিয়ে যাওয়াই ভাল। 

এই ক’মাসে কাজের চাপে আর আধুনিক স্টাইলটা কব্জা করতে গিয়ে ছাদের চিলেকোঠার ঘরটার কথা মৃগাঙ্ক ভুলতে বসেছিল। আজ মনে পড়ছে তার সেই ছবিটার কথা। কিন্তু কী আশ্চর্য, আজ তার ভয় করল না তো ভেবে! বরং একটু মন খারাপই হল।  ছবিটা চিলেকোঠার ঘরে হেলায় পড়ে আছে। 

এক বার যাবে না কি চিলেকোঠার ঘরে? সিঁড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে ছাতে উঠে এল সে। এক পা এক পা করে এগিয়ে গেল ওই ঘরের দিকে। দরজাটা খুট করে খুলে ফেলল। পুরনো দরজার কব্জার শব্দে বুকটা তার ধড়াস করে উঠল। 

আলো-আঁধারির মধ্যে ময়লা মেখে মাটিতে পড়ে আছে ফ্রেমটা। ওটা হাতে তুলে নিল মৃগাঙ্ক। কিন্তু এ কী! ধুলোর পর্দা হাত দিয়ে সরাতেই বেরিয়ে আসছে একটা ছবি। চোখের জায়গায় কোটরে ঢোকা দুটো গর্ত সমেত যেন হাসছে একটা কঙ্কালের মুখ… মাথাটা সামান্য নিচু করে বাঁ-দিকে চেয়ে আছে সে।