Abosar

ভাল থাকার রেসিপি

মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস

মুখী কচুটা রান্নাই করে ফেলল আজ প্রণীতা। নিজেরই খেতে ভাল লাগে, তাই বাজারে দেখেই এনেছে। এখন তো বাজার গেলেই উচ্ছের খোঁজ করতে হবে। পেঁপেও আনতে হবে। চন্দ্রমুখী, লাল আলু, জলপাই আলু, সব জিভে-জল-আনা স্বাদ মনে করিয়ে দেয়। আর তেমনই রান্না। কিন্তু সব বন্ধ। ছেলে-মেয়ে কাছাকাছি থাকতে রকমারি আলুর পদের বন্যা বইয়ে দিত প্রভাস। আর রান্নার লোকের কল্যাণে আলুপোস্ত, আলুর দম, মাংস আলু, ফুলকপি আলু কত রকম হত! টেস্ট করত এসে প্রণীতা ফি হপ্তা। চাকরি সামলাতে তখন দূরে দূরে থাকা, একা থাকার অভ্যেস আর বাজার চেনা। বিভিন্ন শহরের রকমারি বাজারদর মুখস্থ হয়ে যেত ওর। তাই সে ফিরে আসায় নিষ্কৃতি পেয়েছে প্রভাস। প্রণীতা জানে, প্রভাস বাজারে গেলেই ইচ্ছে করেই প্রণীতার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ভুলে বসবে। এখন আর সে সবের জো নেই। প্রণীতা যা-যা ভালবাসে, যা তার বাপ-মা মুখে তুলে দিয়ে আনন্দে তাকিয়ে থাকত, সে সব বিভিন্ন পদে কোনও দিন আপত্তি ছিল না প্রণীতার, আর ওজনও হয়েছিল তেমনি! গোলগাল প্রণীতার ফরসা রং একেবারে ফেটে পড়ত। কেউ হয়তো মাকেই বলে বসেছে, “…দেখুন দিদি, প্রণী কিন্তু ওয়েট গেন করছে। বিয়েটিয়ে দিতে হবে তো!” আসলে উপকারী বন্ধুটন্ধুর তো আর অভাব নেই সংসারে। মা রেগে গেলেও আস্তে করে বলতেন, “দেখো বাপু, মেয়ে তো আমার। সে পরের ঘরে গিয়ে  নিজে করেকম্মে কী খাবে না খাবে, তার ঠিক নেই, আমরা ও যা ভালবাসে সব খাওয়াব বাছা। আর মেয়েমানুষের শরীর। আজ মোটা তো কাল হাড়জিরজিরে। দুটো-একটা বাচ্চা হতে গেলেও তো শরীরে জোর দরকার রে বাবা।” ব্যস, অন্য পক্ষ এক্কেবারে চুপ। প্রণীতার বাবাও দু’-একবার মেয়েকে বলতে গিয়ে মা-র ধমকে চুপ করে গেছে। 

“আরে, নজর লাগাচ্ছ কেন? জানো বাপ-মায়ের দৃষ্টি কত খারাপ!” সঙ্গে সঙ্গে থুতু ছিটিয়ে, কড়ে আঙুল কামড়ে দেওয়া। প্রণীতা আহ্লাদে আর ভালবাসায় তখন গলে জল। আসলে তখন কি মা জানত, ওই মাছবাজার থেকে তরকারি, মায় জামাকাপড়ের গুচ্ছের দোকান, জুতোর দোকান, হালে সার সার মলে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর বোকাসোকা আহ্লাদি মেয়ে বেশ ওস্তাদ এখন। লেখাপড়াও কুড়িয়ে-বাড়িয়ে টায়-টায়ে পাশ। গ্র্যাজুয়েট তো হতেই হবে যে-করেই হোক, তার পর মাস্টারি। 

ওই ফুলো ফুলো ফরসা সুন্দরী কন্যেটির জন্য আশপাশের বাড়ির ঠাকুমা-দিদিমারা তাদের নাতির জন্য ইট পেতে রাখত। ওই রকম করেই পাত্রটি জুটে গেল ভাল। প্রণীতা এক মেয়ে, বাবা-মা দেবে-থোবে বেশ, সুতরাং ভাল ছেলে প্রভাসের মা-বাবা এক কথায় রাজি। প্রণীতা তো আর দেখতে খারাপ নয়। প্রফেসর প্রভাস তখন সদ্য কলকাতা থেকে একটু দূরে মফস্সলের কলেজে চাকরি পেয়েছে। আর সদ্য বিএ পাশ প্রণীতার বাবা-মা-ঠাকুমার প্রণীতাকে নিয়ে আদর আবদারের শেষ নেই।

শ্বশুরবাড়িতে এসে ভালমানুষের মতোই আদবকায়দা রপ্ত করেছে প্রণীতা। বাপের বাড়ি থাকতেই বইপত্র, ম্যাগাজ়িন পড়ার নেশা ধরিয়েছিল ঠাকুমা। বাবাও। এ বাড়িতে বেশ বড় লাইব্রেরি পেয়ে সময় কেটে যেত প্রণীতার। বিধিবদ্ধ লেখাপড়ার ঝকমারিতে পড়তে না চাইলে হবে কী, প্রথম দিন ফুলশয্যের রাতে আদরটাদর করার আগেই প্রভাস গম্ভীর গলায় জানিয়েছিল, বিএডটা করে নিতে হবে কিন্তু। আজকাল কেউ ঘরে বসে থাকে না। দুজন মিলে উপায় করলে মন ভাল থাকে, পরিবারও সচ্ছল থাকবে। বাধ্য মেয়ের মতো ঘাড় নেড়েছিল প্রণীতা। তখন থেকেই ভাল বৌয়ের তকমা। শ্বশুরমশাই যত দিন বেঁচে ছিলেন, ইচ্ছে করেই চা-জলখাবারের পর খবরের কাগজটা বৌমাকে দিয়ে জোরে-জোরে পড়াতেন। রান্নাঘর থেকে শাশুড়িও শুনতেন! কাজের ফাঁকে-ফাঁকে জিজ্ঞেস করে নিতেন‌… “কী কী বললে বৌমা… ওই জায়গাটা, দক্ষিণ কলকাতায় কী কলেজটার নাম বললে, ভর্তি নিয়ে কী হয়েছে?” কিংবা, “কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী? এ বার নির্বাচনে নতুন কী নিয়ম…ওটা আর এক বার পড়ো।”

তবে এদের বাড়ি এসে যা চাই, তাই পাই, তাই খাই— ভূতের রাজার বরের মতো সে পাট চুকেছে। শ্বশুর-শাশুড়ি দুজনেই বেশ নিয়ম করেন। একবারে বেশি না খাওয়া, নিয়মিত স্যালাড, শসা-লেবু-জল বেশি করে, এ সবে অভ্যেস সেই থেকে প্রণীতারও। স্কুলের চাকরিটাও বিয়ের দু’বছরের মধ্যেই হয়ে গেল। সেই থেকেই ছুটছে। তবে অন্য সব কোলিগের মতো শ্বশুরবাড়ির নিন্দেমন্দ নিয়ে বসার স্বভাব প্রণীতার নেই, ছিলও না। সত্যি বলতে শাশুড়িই তো মানুষ করে দিলেন ছেলেটাকে। লেখাপড়া শেখানোটাও ভালবেসেই নিয়েছেন শ্বশুরমশাই। কষ্ট হল যখন মেয়ে জন্মাল। শ্বশুরমশাই ততদিনে চলে গেছেন। শাশুড়ির বয়স বেড়েছে। সুতরাং একজন আয়াগোছের লোক সর্বক্ষণের জন্য রাখতে হয়েছে। পুজো এলেই দুগ্গাঠাকুরের মতো ছেলে-মেয়ে কাঁখে ন’মাসে-ছ’মাসে বাপের বাড়ি এসে থেকে যেত। এখন সে-পাটও চুকেছে। বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। মাঝে-মাঝে পরান হু হু করে ওঠে মা-র হাতের আড়মাছের রাঁধুনির ঝোল কিংবা ইলিশ-সর্ষে অথবা শোলমাছের ডুমো-ডুমো কালিয়া আর ঠাকুমার হাতের ফুলকপির রসার কথা মনে করে। আহা! চোখ বুজে ভাবে প্রণীতা। ‌এখন বাজার মানেই গুচ্ছের উচ্ছে, শসা, পেঁপে। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর প্রভাস গুপ্ত সকালে এককাপ গ্রিন টি খেয়ে প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন। ফিরে এসে হাল্কা শরীরচর্চা। খাওয়াতেও মাছের ঝাল কিংবা শুক্তো। সঙ্গে স্যালাড, শাক। মেয়ে কলেজ থেকে ফিরেই চালিয়ে বসবে রান্নার শো, আর মা-কে জ্ঞান দেবে— “দেখো, একটু ধনেবাটা, সামান্য চারমগজ বাটা না দিলে তোমার দমটা কি জমছে, বলো? দেখো, ওখানে দেখাচ্ছে কী ভাবে সাঁতলে নিতে হয়, আহা! আমি করব আমার একটা নতুন মডিউলার অর্ডারি কিচেনে। তোমার ঝুলকালির রান্নাঘরে মোটেও যাব না।”

এই হল প্রণীতার মেয়ে। কথা বেশি। কাজ কম। দুবেলা প্রণীতার রান্না করা খাবার খেতে খেতে ওর আর পোষাচ্ছে না। আর একমাত্র ছেলে ডাক্তার, থাকে চেন্নাই। ছুটিছাটা প্রায় নেই, আর এলেই প্রণীতার রান্না খাওয়ার জন্য পাগল। খুশি হয়ে প্রণীতা আজ একটু বেশিই বাজার করে ফেলে। রিটায়ার্ড প্রফেসরকে সব দেওয়া যাবে না। আজ টিভির রান্নাঘরের মশলাপাতির নানা নাম মেয়ের কাছ থেকে লিখে এনেছে। জিরে, আদা, ধনের সঙ্গে চারমগজ, কাজু, পেস্তা, কাবাবচিনি, জাফরান, পার্সলে, স্প্রিং অনিয়ন কিনে নেয়। এ বার ধরাবে মেয়েকে। নে, করে খাওয়া দেখি! টিভির সামনে বসে শুধু রান্নার শো দেখে লাভ কী! আর নিজের খাওয়ার বেলাতেও এই একটু ভেঙে নেওয়া, চিমটি কেটে তুলে নেওয়া, ভাত তুলে রাখা, কি না, “ওজন বেড়ে যাবে!” বাবার নির্দেশে ফলটল সব ডাইনিং টেবিলে সাজানো। প্রণীতা কেটে ধুয়ে সাজিয়ে দেবে, আঙুলে তুলে নেবে দু’টুকরো ব্যস। এই তো খানেওয়ালার দল! তার জন্য আবার ভারী ভারী সব মশলাপাতি। প্রণীতারও খাওয়ার ইচ্ছেও মরে গেছে। মেয়েও ফিরেছে এম এ-র পাট চুকিয়ে দিল্লি থেকে। একেবারে হাড়গিলে। লেখাপড়া আর শুধু টিভি-র রান্নাঘর দেখার অভ্যেস।

 

আজ প্রভাসের জন্যই মুখী কচু রসুন দিয়ে কষে ঝাল-ঝাল করে রেঁধেছে প্রণীতা। মুখ ফুটে যখন বলেছে কাল রাতে, “তোমার মা সেই একবার কচুর কী যেন একটা রেঁধেছিলেন না, মুখে লেগে আছে…”

“বাব্বা! নিয়ম থেকে বেরিয়ে খাবে তুমি? বেশ করে দেব কাল। আমার প্রিয় খাওয়াগুলো তো ভুলেই গেছি।” এ কথা দিনে বারকয়েক শুনতে হয় প্রভাসবাবুকে। বিয়ের পর থেকে প্রণীতা নিজের পছন্দে কিছুই খায়নি শুনতে শুনতে আজ ইচ্ছে করেই প্রাতর্ভ্রমণের পর বড় একখানা শোলমাছ কাটিয়ে এনেছে প্রভাস। আর ছেলে-মেয়ের জন্য মাংস। প্রণীতার খুশি-খুশি মুখে হেলেদুলে সোজা রান্নাঘরে ব্যাগ হাতে ঢুকে পড়ার দৃশ্য দেখতে ভাল লাগে প্রভাসের। দু’দিন হল ছেলে ফিরেছে চেন্নাই থেকে‌। প্রতি বারের মতো এবারও ব্লাড টেস্ট করিয়েছে বাবা-মার। প্রণীতার অনিচ্ছেতেই রক্ত নিয়ে যায় মিত্র ল্যাবের প্রদীপ। গত বছরও প্রভাস-প্রণীতা দুজনেরই ব্লাড রিপোর্টে গোলমাল পাওয়া যায়নি। কোলেস্টেরল, প্রেশার, শুগার নিয়ে টেনশন করতে হয়নি। তার পর বছর পার। প্রভাস যে দু’বার মাথা ঘুরে দোতলার ঘরে পড়ে যেতে গিয়ে ধরা পড়েছে প্রণীতার কাছে, সেটা আর ছেলেকে বলেনি প্রণীতা। নিজেই ডাক্তার দেখিয়ে এনেছে। ডাক্তার সেন প্রেশারের ওষুধ দিয়েছেন। 

এও কি সম্ভব, সারাজীবন নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা সত্ত্বেও? শ্বশুরমশাইও হার্ট অ্যাটাকেই গেছেন। এ বাড়ি এসে ইস্তক বেনিয়ম কিচ্ছু দেখেনি প্রণীতা। কোন নেশাও নয়। প্রভাসও এ বাড়ির মতোই। তারও প্রেশার! আর প্রণীতার বাবা একরাশ বাজার দু’হাতে দু’পাশের থলেতে ঝুলিয়ে আনতেন। হাসতে হাসতে বলতেন, “যাবজ্জীবেৎ সুখং জীবেৎ, ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ…” বয়স বাড়তে অবশ্য মানুষজনকেই বেশি খাওয়াতেন, নিজে খেতেন কম। বাবা, জ্যাঠা, অন্য ভাইয়েদের গড় আয়ু সত্তর থেকে পঁচাত্তর। কাউকে না ভুগিয়ে দুম করে চলে গেছেন। প্রেশার-শুগারের মাপামাপি, মাথায় চাপ, দুর্বল লাগা এসব শোনেইনি কোনও দিন প্রণীতা। ঠাকুমা তো ঘরের ভিতর মেঝেয় আছাড় খেয়ে বিছানা নিলেন, তার পর চার মাস। চলে গেলেন। সুতরাং কাকে কী ভাবে চলে যেতে হয়, তার হিসেব আর প্রণীতা করে না। তবে বাপের বাড়ির জন্য মন কেমন করে বইকী!

 

অনেক দিন পর একসঙ্গে খেতে বসা‌… “মুখী কচু কী দিয়ে রেঁধেছ গো… দারুণ হয়েছে!”

আজ প্রশংসা যেন একটু বেশি বেশি। ওদিকে ছেলের আনন্দ মা-র হাতে মাংস খাচ্ছে বলে। নাক উঁচু মেয়েও আঙুল চাটছে… হল কী!

“ও মা! বলেছিলাম না চারমগজে ঝালটা দারুণ কষে। পরিণীতাদি তো মিক্সিতে আগে থেকেই তৈরি করে রাখা স্যাফরন, স্প্রিং অনিয়ন, পার্সলে এগুলো করে রাখেন প্রতিটি নিরামিষ রান্নার টেস্ট বাড়াতে।”

“অ্যাই, তুই থামবি! মা জয়িত্রী, চারমগজ দিচ্ছে বা দিচ্ছে না, ও সব বাদ দে। চেন্নাই থেকে উড়ে এসেছি মা-র মশলার গন্ধ দিয়ে ভাত মেখে খাব বলে… তুই ও সব তোর রান্নাঘরে গিয়ে করিস, বুঝলি? মা-কে আর শেখাতে হবে না।” 

মেয়ের মুখখানা তখন দেখতে হয়। দাদাকে এই মারে তো সেই মারে।

প্রণীতাও তার খাওয়ার ধরন বদলে ফেলেছে। খুব কমই খায় সে। খাওয়ার ইচ্ছেটাই যে চলে যাচ্ছে! তবে মুখে এ সব আর বলে না। শোলমাছ-প্রীতিও তেমন নেই।

তবে আজ খাওয়াদাওয়ার পর বেশ ফুরফুরে হাওয়া। প্রভাসও ভাবছে নিয়ম ভেঙে একটু গড়িয়ে নেবে কি না। 

ছেলে এবার রান্নাঘরে টাঙিয়ে দেয় চার্ট। বলে, “বুঝলে, দু’জনেরই সিক্সটি আপ। শুগার একটু উপরে দু’জনেরই। ফাস্টিং পিপি হাই হাই। বাবার একটু বেশি। তাই মা রান্নাগুলো তোমার মতোই, একটু রয়েসয়ে। কাল ফ্লাইট আমার। আবার কয়েক মাস। নিয়ম মেনে চলতে হবে দু’জনকেই।”

চলে যাওয়ার কথায় একটু যেন নির্জনতা নেমে আসে। কেমন ফ‍্যাকাশে লাগে বিকেলের আলো।

“ও কালই চলে যাবি?” 

তার পর সেই আবার ট্যালটেলে ঝোল শুক্তো, শাক, স্যালাড… আর ভাল লাগে না প্রণীতার। কী হবে! সেই তো একদিন… কোন রেসিপিতে কে কতটা ভাল থাকবে, কত দিন থাকবে, তা কি কেউ বলতে পারে!

প্রণীতা জোরেই বলে, “এ বার ভাবছি রঘুনাথপুর যাব। মা-বাবা না থাকুন, কাকু-কাকিমা, দাদা-দিদিরা তো আছে। আমিও ওই শারদীয়ার আকাশ ধরতেই যাব। আর বাপু তোমাদের তিন পুরুষের নিষেধের ঠেলা আর ঠেলতে পারছি না। নিজের মতো বাঁচব ভাবছি। নিয়ম করো তোমরা। তোমাদের মতো থাকো…”

আঁচলে কি ঘাম মুছল প্রণীতা, নাকি দেয়ালে টাঙানো ছেলের চার্ট ভাল করে দেখে নিতে নিতে ভিজে চোখ দুটো মুছে নিল আড়ালে! মনে মনে প্রণীতা ভাবে, সবাই যে-যার নিজের মতো করেই ভাল-মন্দ ভাবে। তাই ভাল থাকার রেসিপি সহজ। ভাল রাখার রেসিপি ততটা নয়।

 

ছবি: দীপঙ্কর ভৌমিক