কী হচ্ছে কী এখানে? সরকারি পয়সা আসছে, খাচ্ছে আর গলার জোর বাড়াচ্ছে। আমি কিন্তু এখানে এ সব মানব না।’’
আমার পাশ দিয়ে তিন-চারটে বারো-চোদ্দো বছরের মেয়ে প্রায় ছিটকে বেরিয়ে গেল। অফিস ঘরের দু’টো পাল্লার দরজা আধ-ভেজানো। ওইটুকু ফাঁক দিয়েই বুঝতে পারলাম ভিতরে বসে আছেন হোমের ইনচার্জ। সাহস করে দরজার ডান পাল্লাটা একটু সরিয়ে ইতস্তত ভঙ্গিমায় জিজ্ঞেস করি, ‘‘আসব?’’
‘‘একটু দাঁড়ান।’’
তীব্র উচ্চারণে মাথা থেকে পা অবধি দুলে উঠল। এই যদি ইনচার্জের অন্য লোকের সঙ্গে কথা বলার নমুনা হয় তা হলে তো গিয়েছি!
ইংলিশ অনার্সের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শেষ হয়েছে মাসখানেক হল। তার পরেই এই অভাবনীয় সুযোগ। অন্তত আমার কাছে। ফুটবল খেলার সূত্রে লোকাল ক্লাবে যাতায়াত আছে, সেখানকারই এক হোমরা-চোমরা নেতৃত্বস্থানীয় আমাকে হঠাৎ করে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘অ্যাই, তুই ইংলিশে অনার্স না?’’ ঘাড় নেড়েছিলাম।
‘‘বাহ্! গঙ্গার ধারে ‘অরবিন্দ নিকেতন’ চিনিস?’’
‘‘মেয়েদের হোস্টেল?’’
‘‘হোস্টেল না, হোম। হোস্টেল বলতে আমরা যা বুঝি, হোম ঠিক সে রকম নয়। সরকারি সাহায্যে চলা প্রতিষ্ঠান। কাঠামোটা একটু অন্য রকম। সমাজের যত সব উলটোপালটা দিকের মেয়েরা আসে।’’
হাঁ করে, জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিয়ে ওঁর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
উনি বলে গিয়েছিলেন, ‘‘যেমন ধর, কারও বাবা-মা সেপারেট হয়ে গিয়েছে। অথচ তাদের বাচ্চা আছে। তারা বাচ্চাটাকে নিজেদের কাছে রাখতে পারছে না। তখন বাচ্চাটা কোথায় আসবে? এই হোমে। তার পর ধর...’’ উনি স্বর একটু নিচু করে আবার বললেন, ‘‘কোনও মেয়ের সঙ্গে রেপ, গড়বড় কেস। মেয়েটাকে কোথায় পাঠানো হবে! এই হোমে।’’
মিনমিন করে বলে উঠেছিলাম, ‘‘আমার ওখানে কী কাজ?’’
‘‘হ্যাঁ, সেটাই বলছি। সরকার তো আর চায় না যে এই মেয়েগুলো জীবনের মূল স্রোত থেকে সরে যাক। সেই জন্য এদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে, থাকার ব্যবস্থাও হয়েছে। তার পর ধর শিক্ষার ব্যবস্থা, হাতের কাজ শেখানোর ব্যবস্থাও হয়েছে। এক কথায় যাকে বলে পুরোদস্তুর পুনর্বাসন। স্কুলে গেলেও এদের আলাদা করে টিউটর লাগে।’’
খেয়েছে! প্রাইভেট টিউশনি ব্যাপারটা আমার একদম পছন্দ নয়। পুরো ব্যাপারটার মধ্যেই যেন একটা শনিগ্রহ লেগে থাকে। আমার মুখে বোধহয় সেই রকমই কিছু ফুটে উঠেছিল। সেটা বুঝে নিয়েই উনি বলেছিলেন, ‘‘ব্যাপারটা যে রকম ভাবছিস সে রকম নয়। পুরো ব্যাপারটাই একটা স্কুলের মতো। ক্লাসরুম, ব্ল্যাকবোর্ড পাবি, ক্লাসে পঞ্চাশ-ষাট জনের মতো মেয়ে। তোকে অ্যাটেনডেন্সের খাতায় সই করতে হবে, স্কুলের মতোই মাইনে তোলার ব্যাপার এবং সেটা সরকারি টাকা! ওই স্কুলই হল।’’
তখনও হাঁ করেই তাকিয়ে ছিলাম। ভিতরে অলরেডি ভয় ভয় করতে শুরু হয়েছে। কাজ এই সময় একটা দরকার ছিল। তাই বলে আনকোরা হয়ে...
‘‘একটা কাজ কর। তোর একটা বায়োডাটা তৈরি করে হোমের ইনচার্জ যে বড়দি আছেন, তাঁর সঙ্গে তাড়াতাড়ি দেখা কর।’’
আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘‘গেলেই কি চাকরিটা হয়ে যাবে?’’
‘‘দেখ ভাই, গ্যারান্টি দিতে পারছি না। ইন্টারভিউ একটা তো নেবেই। আমি ফোন করে বলে রাখতে পারি।’’
‘‘তা হলে তো খুব ভালই হয়।’’
রবিবারে সকাল এগারোটায় আসতে বলা হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা বলছে, সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই আমি হোমের মূল অফিসের সামনে চলে এসেছি।
‘‘হ্যাঁ কে এসেছেন, ভিতরে আসুন,’’ কর্কশ স্বরের অধিকারী পুরুষ হলেই ভাল হত।
হালকা পদক্ষেপে ঢুকে পড়লাম ঘরের ভিতরে। তিনটে আলমারি, একটা শেলফ-এ গোটানো ম্যাপ, দু’-একটা পয়েন্টার, কয়েকটা ডাস্টার, চার-পাঁচ বাক্স চকখড়ি। ঘরের সরঞ্জাম স্কুলের অফিসের মতোই। টেবিলের ওপরে একটা মোটা কাচ আটকানো। তার নীচে নানা রকম ছবি, এমনকী ক্লাসের রুটিনও চোখে পড়ল।
টেবিলের উলটো দিকে যে মহিলা বসে আছেন, এ পদের জন্য তিনি সত্যিই বেশ মানানসই। মনে হচ্ছে বিবাহিতা নন। মাথায় সিঁদুর নেই।
‘‘বসুন।’’
বুঝতে পারলাম, উনি সব সময়ই উচ্চস্বরে কথা বলেন। হালকা ভাবে দেহটা চেয়ারের উপর ছেড়ে দিয়ে নিজের বায়োডেটার ফাইলটা ধীরে ধীরে এগিয়ে দিলাম। মিনিট খানেক তাতে চোখ বুলিয়ে সেটাকে বন্ধ করে দিয়ে বড়দি মানে ইনচার্জ প্রশ্ন করলেন, ‘‘আগে কোথাও পড়িয়েছিলেন?’’
‘‘না, এই পরীক্ষা মিটল...’’
‘‘রেজাল্ট কবে বেরোবে?’’
‘‘আরও দু’মাস।’’
তিন-চার সেকেন্ড খোলা জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে উনি কিছু ভেবে নিলেন। তার পর একটু নরম করে বললেন, ‘‘তোমার বয়স কম। আমি তোমাকে ‘তুমি’ই বলছি। মেয়েগুলো এখানে বিশ্বফাঁকিবাজ। তোমাকে কিন্তু ওদেরকে দিয়ে পড়িয়ে নিতে হবে। পারবে তো?’’
উত্তর দেওয়ার আগেই ঘরের বাইরে থেকে কমবয়সি গলা ভেসে এল, ‘‘আসব দিদি?’’
বড়দি হাতঘড়িটার দেখে নিয়ে বেশ কঠিন গলায় বললেন, ‘‘আয়।’’ তিনটে মেয়ে ঘরের ভিতরে এল। বড়দি জিজ্ঞেস করেন, ‘‘কী হয়েছে মালতী?’’
বড়দির দিকে মুখ করে বসে আছি বলে মালতীকে নজর করতে পারলাম না। কানে এল তার প্রশ্ন, ‘‘আমাদের কোনও চিঠি আছে?’’
দু’পাশে ঘাড় নেড়ে বড়দি জানিয়ে দিলেন উত্তরটা। মালতি নিজেই নিজের সঙ্গে কথা বলে উঠল, ‘‘ওহ্, তা হলে মা বোধহয় সময় পায়নি।’’
বড়দি বললেন, ‘‘তোরা তাড়াতাড়ি অধৈর্য হয়ে পড়িস। তোদের কোনও চিঠি থাকলে আমাকে দিয়ে যা, পোস্ট করে দেব।’’
আর কথা না বলে মালতী তিনটে ছোট ছোট খাম টেবিলের ওপর নামিয়ে রাখে। মুখে বলে, ‘‘আসছি।’’
‘‘হ্যাঁ, যা বলছিলাম তোমাকে...’’ বড়দি আমার দিকে মনোযোগ ফেরান, ‘‘তোমাকে কিন্তু একটু বাড়তি চাপ দিতে হবে। গ্রামারে এরা খুব কাঁচা। কিচ্ছু জানে না বললেই হয়। একটু ধরে ধরে ওদেরকে শেখাতে হবে। আমাকে অবশ্য সৈকত ফোনে জানিয়েছে, তুমি পড়াশোনায় খুবই ভাল।’’
চুপ করে থাকি। বড়দি বললেন, ‘‘তোমাকে এখন দু’টো ক্লাস দেখতে হবে, নাইন আর টেন। মেয়েদের হোম তো, তোমাকে কিন্তু আসতে হবে সকালে। এদের প্রার্থনা শেষ হয়ে যায় ছ’টার মধ্যেই। তুমি কখন আসতে পারবে?’’
একটু ভেবে উত্তর দিলাম, ‘‘যদি সাতটায় আসি?’’
‘‘তাই এস। সাতটা থেকে ন’টা। তার পর ওদের রেডি হতে হবে, স্কুল থাকে তো। তোমাকে কিন্তু সপ্তাহে চার দিন আসতে হবে। দু’দিন নাইন, দু’দিন টেন।’’
******
তিন মাস হল এই হোমে ক্লাস নিতে আসছি। হোমের নিয়মকানুন কিছুই জানতাম না। অনেকটাই শিখে ফেলেছি। ঘড়ি ধরে ক্লাস নিতে হয়। সরকারি বিধিনিষেধও প্রচুর। তবে বাচ্চা মেয়েগুলোকে দেখে বেশ কষ্ট হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছি। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে এদের জীবনের প্রতিবন্ধকতাগুলো দেখলে মনে হয়, নিজের কষ্টটা বোধহয় কমই।
অনার্সের রেজাল্ট বেরিয়ে গিয়েছে মাস দু’য়েক। এম এ’র ক্লাস শুরু সকাল সাড়ে দশটায়। হোমের ক্লাস শেষ করতে করতে হয়ে যায় ন’টা পনেরো। ক’দিন ধরেই নিজের মধ্যে দোনামোনা চলছিল।
যে ভাবে শেখাচ্ছিলাম তাতে বেশ কয়েক জনের ইউনিট টেস্টের রেজাল্ট চোখে লাগার মতো হয়েছে। বড়দি তো বটেই, হোমের সমস্ত স্টাফের কাছেই আমার একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। সাধারণ টিউশনির চেয়ে এখানে টাকাও বেশি পাচ্ছি। ভিতরে–ভিতরে এই ক’মাসে একটা দিব্যি সমাজভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এটাও বুঝতে পারছি, আমার মতো মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলের পক্ষে ব্যাপারটা টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বিশেষত রেজাল্ট ভাল হওয়ার পর একটা অন্য জীবন হাতছানি দিয়েই চলেছে।
ছিলাম টেনের ক্লাসে। লিপিকার খাতায় পর পর দু’টো ন্যারেশন চেঞ্জ ভুল দেখে মেজাজটা গরম হয়ে গেল। দাঁড় করিয়ে বেশ চড়া গলায় জানতে চাইলাম, ‘‘কী করছিস এই সব! এই নিয়ে তোকে তিন দিন একই কথা বললাম। ইনডায়রেক্ট ন্যারেশন-এ প্রেজেন্ট কন্টিনিউয়াস টেন্স পাস্ট কন্টিনিউয়াস হয়ে যায়। তাও সেই একই ভুল। তোর সমস্যাটা কী?’’
মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে লিপিকা। মাথা আরও গরম হতে থাকে আমার। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। বলি, ‘‘আমার তো অবাকই লাগছে রে। ভয়েস চেঞ্জ আর্টিক্ল, প্রিপোজিশন, জয়েনিং তুই তো কত সুন্দর করছিলিস। হঠাৎ ন্যারেশনে এসে তোর হলটা কী!’’
সুপর্ণা আগ বাড়িয়ে বলে ওঠে, ‘‘ওর মনটা ভাল নেই স্যর।’’
‘‘কেন, কী হয়েছে?’’
সুপর্ণাই উত্তর দেয়, ‘‘ওর মা তো দূরে কাজে গিয়েছে। মাস দুয়েক হয়ে গেল ও মায়ের কোনও চিঠি পায়নি।’’
আমি একটু নরম করি নিজের স্বর, ‘‘ঠিক আছে তুই নিজে চিঠি লেখ। মাকে ফোন কর।’’
‘‘করেছিলাম। বেশ কয়েক বার। নম্বর লাগে না। কেবলই বলে, এই নম্বরের কোনও অস্তিত্ব নেই।’’
ক্লাসরুমে এ বার বেশ নিস্তব্ধতা। সামনে পুজো। মা দুর্গা আসছেন। ক্লাসরুমের জানলা দিয়ে বাইরে তাকাই। সামনে একটা পুকুর। পাশে বেখাপ্পার মতো উঠেছে একটা খেজুর গাছ। জলে অল্প তরঙ্গ। আর তাতে তিরতির করে কাঁপছে খেজুর গাছের ছায়াটা।
দৃষ্টি জানালা থেকে সরিয়ে নিয়ে ওদের বলি, ‘‘দেখ, তোরা বড় হয়ে গিয়েছিস। পড়াশোনা শিখছিস। বুঝিস তো, সব কিছু সব সময়ে নিয়ম মেনে হয় না। এখন পোস্ট-অফিসে খুব গোলমাল হয়।’’ কথা শেষ করে ফের ব্যাকরণের নিয়ম বোঝাতে শুরু করি। আমাদের জীবনটাও যদি ব্যাকরণের মতো নিয়ম মেনে চলত, তা হলে সত্যিই কত সুন্দর হত...
ক্লাস থেকে বেরিয়েই বড়দির ঘরে চলে আসি। উনি একটা বড় ফাইল খুলে মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলেন।
বড়দিকে বললাম, ‘‘আপনার সঙ্গে আমার একটু দরকার ছিল।’’
‘‘অনেক সময় লাগবে?’’
‘‘হ্যাঁ, একটু লাগবে।’’
‘‘তা হলে তো আজকে হবে না। রবিবার বিকেল চারটের সময় আমার বাড়ি চলে এস। পারবে?’’
‘‘পারব।’’
******
বড়দির বাড়ি যেতে লাগবে মেরেকেটে পাঁচ মিনিট। এ দিকে বেরিয়ে পড়েছি অনেকটা আগেই। কোথায় যাব বুঝতে না পেরে বড়দির বাড়ির দিকেই সাইকেল ছুটিয়ে দিলাম। গিয়ে দেখি, বাড়ির গেটের ভিতর বেশ কতকগুলো জেন্টস আর লেডিজ সাইকেল দাঁড় করানো। তার মানে লোক আছে। সামনের দরজা একটু ঠেলতেই বুঝতে পারলাম, ওটা ভেজানো। ঢুকে আবার ভেজিয়ে দিয়ে এগিয়ে গেলাম। এ বাড়িতে বড়দি কোন ঘরে বসে লোকজনের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করেন, আগে থেকেই জানা ছিল। আগে এক বার এসেছিলাম।
ঘরের ভিতর ঢুকতে গিয়েও দাঁড়িয়ে গেলাম। অদ্ভুত গলায় বড়দি হোমের আর এক টিউটর তপতীদিকে নির্দেশ দিচ্ছেন, ‘‘তাড়াতাড়ি লেখ তপতী। তুই তো লিপিকার মায়ের হাতের লেখাটা হুবহু নকল করিস। চিঠিগুলো কালকেই অমলকে দিয়ে হাওড়া থেকে পোস্ট করাতে হবে।’’
তপতিদি কী বললেন তা শোনা গেল না। কিন্তু আর এক শিক্ষিকা অরুণাদির স্পষ্ট গলা শুনতে পেলাম, ‘‘দিদি, এ ভাবে আর কত দিন! এক দিন তো ওরা ঠিকই জানতে
পারবে সব।’’
‘‘সে হয়তো পারবে, কিন্তু যত দিন করতে পারি আর কী! আমি তো মেয়েগুলোর মা-ই আসলে। চিঠিগুলো হাতে পেয়ে ওরা যে কী আনন্দ পায়, তা তো তোরা জানিস।’’
বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলাম। দরজাটা যেমন ভেজানো ছিল ঠিক তেমনই ভেজিয়ে দিয়ে। বুকের ভিতরটা কেমন যেন ফাঁকা-ফাঁকা লাগছিল। ইউনিভার্সিটির রুটিন অ্যাডজাস্ট করতে পারব কি না জানা নেই। তবে আপাতত যা বলতে এসেছিলাম, বড়দিকে তা না বললেও চলে।
‘রবিবাসরীয়’ বিভাগে ছোটগল্প পাঠান, অনধিক ১৫০০ শব্দে।
ইমেল: rabibasariya@abp.in সাবজেক্ট: rabibasariya galpa
ডাকে পাঠানোর ঠিকানা:
‘রবিবাসরীয় গল্প’,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
যে কোনও একটি মাধ্যমে গল্প পাঠান। একই গল্প ডাকে ও ইমেলে পাঠাবেন না। পাণ্ডুলিপিতে ফোন নম্বর বা ইমেল আইডি জানাবেন। ইউনিকোড ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।