Abosar

জলপরি

বিজলী ঘোষ

জলে সোনার কিছু একটা পড়লে পাঁচকান হতে বেশি সময় লাগে না।  কথাটা ছোটদের মুখ থেকে বড়দের কানে গিয়ে যখন আছড়ে পড়ে তখন পুকুরঘাট বড় শুনশান। বড় পুকুরের জলে তখন বিকেলের ছায়া নিঃশব্দে ঘন হয়ে ওঠে।

বিধুভূষণ এ সময় বাড়ির সামনে ছোট্ট মাঠের এক প্রান্তে চেয়ারে বসে শেষ হয়ে যাওয়া দিনটাকে মন দিয়ে দেখেন। আজও তাই করছিলেন। পড়ন্ত বিকেলে জলে সোনা পড়ার কথাটা বিধুভূষণের কানে এল।

বিধুভূষণ বড় নাতি মনুকে এক বার ডাকতেই, মনুর পিছন পিছন বাকি সব নাতিনাতনি এসে হাজির। দাদুকে ঘিরে ধরল তারা। কিছু ক্ষণ আগেও বিকেল শুরু হওয়ার মুখে সব ক’টা মিলে বড় পুকুরের জল তোলপাড় করেছে। সেই হুল্লোড়ের লেশমাত্র নেই ছোটদের মুখে। বিধুভূষণ এ বার সবাইকে খুঁটিয়ে দেখে নিলেন। সেই দেখার মধ্যে ছোট ছেলের বড় মেয়ে, তার আদরের নাতনি আলতাবুড়িও ছিল। তার চোখ আটকে গেল আলতাবুড়ির মুখে। ছোট্ট মুখে বিষাদের ছায়া। বুঝতে পারলেন, যা শুনেছেন 

তা ঠিক। আলতাবুড়ির নাকের প্রজাপতি নাকছাবিটা নেই।  জলে নেমে খেলতে গিয়ে পুকুরের গর্ভে ওটা তলিয়ে গিয়েছে।

আলতাবুড়িকে কাছে ডেকে বললেন, ‘‘মন খারাপ করিস না মা। মনে ভরসা রাখ।  রাধামাধবের কৃপায় ঠিক পাবি নাকছাবিটা।’’ আলতাবুড়ির মনে ভয় ছুঁয়ে গেল। বলল, ‘‘দাদু, ওটা যদি বড় মাছে খেয়ে ফেলে?’’

বিধুভূষণ স্নেহের সুরে হেসে বললেন, ‘‘আগেও তো এর ওর জিনিস জলে পড়েছে। কই, তখন কি বড় মাছে খেয়েছে?’’

দাদুর কথা একদম ঠিক। তবে আলতাবুড়ির ভয়টা রয়েই গেল। একটা চতুর বড় মাছ মনের গভীরে বুঝি ডুবে রইল। বিধুভূষণ নাতনির মনের গভীরে ভয়টা টের পেলেন। স্নেহের সুরে আবার বললেন, ‘দেখ মা, পুরন্দর দু’এক দিনের মধ্যে ঠিক এসে হাজির হবে।’’ কথাটা বলতে বলতে বিধুভূষণের চোখের সামনে পুরন্দর শিউলির চেহারাটা ভেসে উঠেছিল। বয়স চল্লিশের ধারেকাছে। পাতলা শরীর। কোমরে একটা গামছার শক্ত বাঁধন। কাঁধে বাঁশের তৈরি কলসিমুখ ঝোড়া। জলের নীচে থেকে কাঁকর, বালি তুলে আনার কাজে ভারী জুতসই।

পুরন্দর শিউলি নদীপাড়ের মানুষ। রসপুরে বাড়ি। অনেক দূরের পথ ভেঙে নানা গ্রাম  ছুঁয়ে হঠাৎ এসে হাজির হয়‌। কাজের সুলুকসন্ধানে এ দিকে এলে রাধামাধবের নাটমন্দির এক বার ছুঁয়ে যায়। তখন বিধুভূষণের সঙ্গে দু’চার কথা। সেই কথার মধ্যে আসল কাজের কথা এসে পড়লে পুরন্দর চমকে ওঠে। তার মনের ভাবনাগুলো ভারী অদ্ভুত ভাবে যে সত্যি হয়ে যায়! নদীর জলে কিছু হারিয়ে যাওয়া মানুষটাকে এক বার দু’চোখ ভরে দেখে নেয়। তার পর পুকুরঘাটে এসে যখন দাঁড়ায়, তখন মানুষটা অচেনা, অন্য কেউ। 

পুরন্দর যখন আঁতিপাঁতি করে জলের নীচে বালি, কাঁকর, মাটির আড়াল থেকে হারানো মানিক খুঁজে চলে, তখন বিধুভূষণ তাকে জলের নীচে স্পষ্ট দেখতে পান। পুরন্দর খুঁজে পায় হারানো জিনিস। আগে জলে পড়া নাকের নথ, কানের দুল বা হাতের আংটি এ ভাবেই খুঁজে পেয়েছে। তাই ছোটরা ওর নাম দিয়েছে জলপরি। হোক না জলপরি পুরুষ। কোন জাদুবলে পুরন্দর এমন কাজ করে কেউ তা জানে না।  তাই তো সে পরি। ছোটদের কাছে, বড়দের কাছেও। বিধুভূষণের মন খুব চাইছে এক বার সেই জলপরিকে দেখতে।  চোখ বন্ধ করতে তার মনে ভেসে এল পুরন্দর। চোখ খুলতেই দেখলেন দুঃখ-ভরা চোখে চেয়ে আছে আদরের নাতনি আলতাবুড়ি। তাকে  সস্নেহে বললেন, ‘‘আসবে মা। আসবে। পুরন্দর আসবে।’’

দাদুর মুখে আলতাবুড়ি জলপরির আসার কথা শুনে নেচে উঠল।  চিন্তামুক্ত হয়ে মাঠের দিকে দৌড়ে গেল, বন্ধুদের কাছে।

পুকুরের জলে কিছু একটা পড়লে পুরন্দর কি অত দূরে বসে টের পায়? মানুষটা বোধহয় পুকুরের গভীর জলের ভিতর পতনের শব্দ পায়। বিশেষ করে, কোনও সোনার জিনিস পড়লে মানুষটা তো হঠাৎ এসে হাজির হয়। কেউ জানে না, কী করে পুরন্দর বুঝতে পারে।

কিন্তু এ বারে বিধুভূষণের সব হিসেব এলোমেলো হয়ে গেল।  দুটো দিন কেটে গেল, পুরন্দর এল না।

বিধুভূষণ অনেক ভেবে থই পান না। তা হলে পুরন্দর কি অন্য কোনও সমস্যায় জড়িয়ে পড়ল? মাস চার আগে যখন এসেছিল, তখন যাওয়ার সময় নানান কথার মাঝে বলেছিল, ‘‘কত্তাবাবু, বড় ম্যাইয়াটার বিয়া নিয়ে ভারী সমস্যায় আচি‌।’’

বিধুভূষণে অবাক হয়েছিলেন, ‘‘সে কী! কী সমস্যা?’’

সে সমস্যার কথা বিস্তারিত বলতে গিয়েও আটকে যায়। মুখ আড়াল করতে গিয়ে পুরন্দর বারবার ধরা পড়ে যাচ্ছিল। বিধুভূষণ বুঝতে পেরে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘অত ভাবিস না। রাধামাধবের কৃপায় সব ঠিক হয়ে যাবে।’’

পুরন্দর যাওয়ার সময় হাসিমুখে বলেছিল, ‘‘তাই যেন হয় কত্তাবাবু।’’

বিধুভূষণের সব মনে পড়ল। অন্য এক ভাবনার মেঘ তার মন ছুঁয়ে গেল। পুরন্দর তার বড় মেয়ে চম্পারানির বিয়ে নিয়ে কোনও সমস্যায় পড়ল না তো?

বিধুভূষণ তাঁর নিজের ভাবনার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন। দুটো দিন চলে গেল পুরন্দরের কথা ভাবতে ভাবতে। ঠিক দু’দিন পরে বিকেলে পুরন্দর এসে হাজির হল। বিধুভূষণ অন্যান্য দিনের মতো মাঠের এক প্রান্তে চেয়ারে বসেছিলেন।

সামনের ছোট্ট মাঠ থেকে ছোটরা কিছুটা দূরে ষষ্ঠীতলায় বট-পাকুড়ের নীচে পুরন্দরকে আসতে দেখে হইহই করে উঠল। এই দু’দিন ধরে বড় পুকুরে ছোটরা আলতাবুড়ির নাকছাবি কি কম খুঁজেছে? পায়নি। ছোটরা পুরন্দরকে আসতে দেখে মুহূর্তে পুকুরঘাটে এসে জড়ো হল।

পুরন্দর সামনের নাটমন্দির সংলগ্ন ছোট্ট মাঠ ভেঙে বিধুভূষণের সামনে এসে দু’হাত বুকের কাছে জড়ো করে বলল, ‘‘কত্তাবাবু পেন্নাম।’’ বিধুভূষণ সব ভাবনার মেঘ উড়িয়ে দিয়ে হেসে বললেন, ‘‘এ বার এত দেরি হল যে!’’ 

বড় মেয়ে চম্পারানির বিয়ের তোড়জোড় নিয়ে বেশ ক’টা দিন খুব ঝক্কি গেছে পুরন্দরের। এখন শেষটুকু নিয়ে তার ভারী চিন্তা। এখনও কিছুটা সোনা কেনা বাকি। সে চিন্তা মনের মধ্যে বেশ পাক খাচ্ছে পুরন্দরের।

পুরন্দর কত্তাবাবুর প্রশ্ন আর নিজের একরাশ চিন্তার পাশ কাটিয়ে ছোটদের হইচই দেখে বলে উঠল, ‘‘কত্তাবাবু, তাহলি জলে কিছু পড়ল না কি?’’

বিধুভূষণ কিছু বলার আগে পুকুরঘাট থেকে ছোটদের কথা ভেসে এল। পুরন্দর ভিড়ের মধ্যে আলতাবুড়িকে দেখতে পেল। নিঃশব্দে কখন তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আলতাবুড়ির মুখের দিকে তাকাতে গিয়ে পুরন্দর চমকে উঠল। যা ভেবেছিল ঠিক তাই।

পুরন্দর আর দাঁড়ায় না। বড় পুকুরের দিকে পা বাড়ায়।

পুকুরঘাটে এখন ছোটদের ভিড়। সেই ভিড়ে বড়রাও আছে। সকলের চোখেমুখে উদ্বেগের ছাপ। ছোটদের মধ্যে অভূতপূর্ব এক উত্তেজনা। মুহূর্তে ছোটদের কণ্ঠ বড় পুকুরের জলতলে আছড়ে পড়ল, ‘‘জলপরি, হিপ হিপ হুররে... হিপ হিপ হুররে...’’ বড় পুকুরের চারপাশে ঘন হয়ে আসা বিকেলের ছায়া যেন দুলে উঠল।

পুরন্দর তার বাঁশের তৈরি কলসিমুখ ঝোড়া নিয়ে জলে নামার মুহূর্তে এক বার আলতাবুড়িকে ভিড়ের মধ্যে দেখে নিল। আলতাবুড়ির মুখ, তার নাকের পাশে নাকছাবি, উড়ে বসা বাহারি প্রজাপতি মন জুড়ে না থাকলে যে জলের গভীরে লক্ষ্যবস্তু দূরে সরে যাবে। তখন আঁতিপাঁতি করে খুঁজলেও তা অধরা থেকে যাবে।

পুরন্দর এক গলা জলে ডুব দেওয়ার মুহূর্তে সত্যি যেন অন্য মানুষ হয়ে যায়। আর ঠিক সেই সময় বড় পুকুরের ঘাট জুড়ে ছোটদের কলরব পুকুরের জলে আবার আছড়িয়ে পড়ল, ‘‘জলপরি... হিপ হিপ হুররে...হিপ হিপ হুররে...’’  জলের গভীরে বারবার ডুব দিয়ে বাঁশের তৈরি কলসিমুখ ঝোড়ায় কাঁকর, বালি, মাটি তুলতে গিয়ে পুরন্দর এক সময় বেশ হাঁপিয়ে উঠল। জলের গভীরে আঁতিপাঁতি করে নাকছাবিটা খুঁজতে গিয়ে আলতাবুড়ির মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। আলতাবুড়ির নাকছাবি খুঁজতে গিয়ে এক সময় প্রজাপতির ডানা থেকে ঠিকরে আসা আলোয় পুরন্দর চমকে উঠল। হাতে তুলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠল সেই হারানো নাকছাবি। কিন্তু তার পরেই আলতাবুড়ির মুখটা জলের গভীরে টুক করে খসে পড়ল। পুরন্দর আরও এক বার চমকে উঠল। এ বার অবাক হয়ে দেখল, আলতাবুড়ি নয়,  বড়  মেয়ে চম্পারানির মুখটা 

তার চোখের সামনে ভেসে উঠল। তার নাকের এক পাশে নাকছাবিটা জ্বলজ্বল করছে। একটা রং-বেরঙের প্রজাপতি কোথা থেকে উড়ে এসে এই বুঝি চম্পার নাকের এক পাশে বসেছে। নাকছাবিটা হাতের মুঠোয় ধরে জলের গভীরে পুরন্দর 

ভারী অস্থির হয়ে উঠল। এমন তো হওয়ার কথা নয়! দু’চোখের সামনে আবার ভেসে উঠল তার বড় মেয়ে চম্পারানির মুখটা। জলের গভীরে পুরন্দর এ বার সত্যি ছটফট করে উঠল। তার পরেই খুব দ্রুত  ভেসে উঠল জলের উপরে।

বড় পুকুরের ঘাটে উপস্থিত সবাই পুরন্দরকে দেখল। বিধ্বস্ত একটা মানুষ। দ্রুত হাঁপ ফেলছে।  ছোটরা উত্তেজনায় চিৎকার করে উঠল, ‘‘ও জলপরি, কী হল গো?’’

পুরন্দরের মুখে কথা সরে না। বিহ্বল অবস্থা। জলের গভীরে এক ক্ষণিক মুহূর্তে আলতাবুড়ি আর বড় মেয়ে চম্পারানিকে নিয়ে কী ভীষণ এক টানাপড়েন! সে কি মুখ ফুটে বলা যায়? এ তো লজ্জার কথা। লোভের আড়ালে এত দিনের চেনা মানুষটা যে এতটুকু সোনার বাঁধনে চোর হয়ে যাচ্ছিল। জলের গভীরে এত সব কিছু খুব জোরে ডানা ঝাপটানোর মতো ঝেড়ে ফেলে পুরন্দর পুকুরঘাটের চারপাশে এক বার দ্রুত  চোখ বুলিয়ে নিল। আলতাবুড়িকে দেখতে পেয়ে হেসে উঠল।

জলে দাঁড়িয়ে মানুষটাকে এ বার হাসতে দেখে ছোটরা আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল, ‘‘জলপরি... হিপ হিপ হুররে... হিপ হিপ হুররে...’’

ছোটদের সে কলরব বিকেলের ঘন ছায়ার গভীরে আরও দূরে ভেসে গেল।

মাঠের এক প্রান্তে বিধুভূষণ  গড়িয়ে যাওয়া বিকেলটাকে দেখছিলেন। হঠাৎ বড় পুকুরের ঘাট থেকে ছোটদের কলরব ভেসে আসতে বিধুভূষণ দেখলেন, আলতাবুড়ি 

হাসিমুখে তাঁর কাছে দৌড়ে আসছে। পিছনে ছোটদের দল। শেষে পুরন্দর। মুখে সেই চেনা হাসি।

কাছে আসতে মানুষটাকে দেখে বিধুভূষণ এ বার চমকে উঠলেন। গোটা শরীরে জলের ধারা। জলের গভীরে যুদ্ধ জয় করে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বিকেলের শেষ আলোটুকু অদ্ভুত ভাবে তার চোখেমুখে লেগে আছে।

বিধুভূষণ সেই মুখের দিকে তাকিয়ে কত দিনের চেনা মানুষটাকে নতুন করে দেখতে থাকেন।  পুরন্দর বিধুভূষণের এমন বিহ্বল দশা দেখে হেসে উঠল, ‘‘কত্তাবাবু, খুউব ভুল হয়ে যাচ্চিল। সে ভারী লজ্জা। জলের মধ্যি আলতাবুড়িমাকে নিয়ে কি কম টানাটানি?’’ তার পর একটু থেমে হাসিমুখে বলল, ‘‘কত্তাবাবু আর এট্টুকুন হলি জলের মধ্যি আলতাবুড়িমার মুখটা টুক করে হাত ফসকে যাচ্চিল। আর উই নাকছাবি থেইক্যে ঠিকরে আসা আলোয় সব ক্যামুন এলোমেলো হচ্চিল। কিন্তু...’’

বিধুভূষণের আর শোনা হয় না। পুরন্দরের বড় মেয়ে চম্পারানির মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠল। তার নাকের এক পাশটা বড় ফাঁকা। বিধুভূষণ নিজের মগ্নতা ভেঙে বললেন, ‘‘আমি সব জানি। আর বলতে হবে না। চম্পারানির নাকছাবিটা তুই জলে ফেলে এসেছিস।’’ তার পর একটু হেসে বললেন, ‘‘দু’এক দিনের মধ্যে একটা নাকছাবি আনিয়ে রাখছি। চম্পাকে বেশ মানাবে। নিয়ে যাস।’’ বিধুভূষণের কথায় পুরন্দর তার চোখের সামনে একটা ছবি ভেসে উঠতে দেখল। যে নাকছাবিটা টুক করে জলের গভীরে পড়ে যাচ্ছিল ঠিক অবিকল দেখতে সে রকম একটা নাকছাবি এখন বিয়ের কনে বড় মেয়ে চম্পারানির নাকের এক পাশে জ্বলজ্বল করে উঠল।

পুরন্দর এত ক্ষণ বুঝি এক ঘোরের মধ্যে ছিল। কিন্তু সে ঘোর কাটতে মাঠের চার পাশ থেকে ছোটদের কলরব তার কানে ভেসে উঠল, ‘‘জলপরি, হিপ হিপ হুররে...’’

বিধুভূষণ দেখলেন, সামনে দাঁড়িয়ে এক জলপরি তার দুই ডানার শেষ জলবিন্দু আর এক বার ঝাপটিয়ে কত কালের চেনা কোন‌ও এক পুরন্দর শিউলির মতো হেসে উঠল। তার দু’চোখে জলের ধারা। দিনের ম্লান আলোয় দু’চোখের কোল চিকচিক করে উঠল।