Abosar

গানপাখি

শাশ্বতী নন্দী

দক্ষিণের এই জানলাই আমার আকাশ। কিন্তু টানা দশ দিন জানলা বন্ধ। আসলে এই দশ দিনে আমাদের জীবন পাল্টে গিয়েছে। এই আলো হাওয়া ভরপুর দক্ষিণের ঘরটা ক্রমশই দমচাপা, একটা গ্যাস চেম্বার হয়ে উঠেছে। তবু সবাই মিলে এখানেই দলা পাকিয়ে বসি, ফিসফিস কথা বলি। একটু দূরে টিউলিপ, শুয়ে থাকে খাটে, চোখ বন্ধ, পা দুটো বুকের কাছে ভাঁজ করা। বেশি কথা আর আলো সহ্য করতে পারে না এখন। অস্বস্তি হলেই চোখের ওপর হাতের বেড় দিয়ে চেঁচিয়ে ডাকে, ‘‘মা... মা...’’ 

আজকাল ওর বিরক্তি, কপালের ভ্রু কোঁচকানো, রাগ, কথার ধরন, কান্না, সব পাল্টে গিয়েছে। আমি তবু আঁতিপাঁতি খুঁজি আমার সেই চার বছরের ফুটফুটে টিউলিপকে।    

পাশের ঘরে ল্যান্ডলাইন বাজছে, ইচ্ছে না থাকলেও, রিসিভার তুলি। ঘ্যানঘেনে ফোনের শব্দটা অসহ্য।  

‘‘আপনি কি ম্যাডাম, টিউলিপ সিন্‌হার মা বলছেন?’’ 

‘‘বলছি।’’

‘‘আমরা ‘বীরাঙ্গনা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাই। একটা কর্মশালা শুরু করতে চলেছি কিছু দিনের মধ্যেই। ১২ থেকে ৪০ বছর মহিলাদের আত্মরক্ষার পাঠ দেওয়া হবে সেখানে, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আপনি কি ইন্টারেস্টেড? আসবেন এক বার?’’  

ঢোক গিললাম, কিছু বলতে যাওয়ার আগেই মেয়েটি বলে, ‘‘আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করি আমরা। এক জন যৌন লাঞ্ছিত শিশুর মানসিক স্বস্তি কিসে এবং লাঞ্ছনার পরে ঘরে-বাইরে কী ধরনের শিশুবান্ধব পরিবেশ তার দরকার ... ’’   

কথাগুলো শুনতে শুনতে জিভের ভিতরটা তেতো লাগছে, কানে আর কিছুই ঢুকল না। হঠাৎ টিউলিপ নামটা শুনেই আবার সজাগ হলাম। 

‘‘...জানি, টিউলিপ এখন ট্রমার ভিতর, এই ওয়ার্কশপে আসতে পারবে না।  কী যে একটা স্যাড ব্যাপার ঘটে গেল। ভাবতেও লজ্জা লাগে, শিক্ষক দিবসের দিনই ... ছিঃ! দিনটাকে কলঙ্কিত করে দিল ওই গেমস টিচার।’’    

খুব সাবধানে রিসিভার নামিয়ে রাখলাম। শরীরে অস্থির ভাব। ঘাড় ঘোরাতেই দেখি, দূরে দাঁড়িয়ে শ্বশুরমশাই, অপলক দেখছেন আমায়।    

প্রেস, টেলিভিশন, সব ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাড়িতে, একের পর এক ধারালো প্রশ্নে ক্ষতবিক্ষত করে গিয়েছে। তখনই এগিয়ে এসেছেন সত্তর ছুঁই-ছুঁই শ্বশুরমশাই। মনে, চেতনায়, এখনও তিনি বলিষ্ঠ। একা মিডিয়াওলাদের সামলেছেন তাঁর শান্ত জবাবে।

সংসারে এত বড় ঝড় বয়ে গেল, তিনি কিন্তু স্থির, নিশ্চল। তুলনায় শ্যামল, শিকড় উপড়ে পড়া একটা গাছ যেন। মেয়ের কাছ ঘেঁষে না এখন বড় একটা। তবে এক দিন ঘুম ভেঙে দেখি, টিউলিপের মাথায় আলতো হাত বুলিয়ে চলেছে, ওর বাসি দাড়ির খরখরে গাল বেয়ে অবিরাম কান্না। দীর্ঘশ্বাস চেপে মনে মনে ভেবেছিলাম, মেয়ের বাবা না হলে পুরুষের জীবন বোধহয় অপূর্ণ থাকে।  

 

******

দক্ষিণের এই বক্স জানলাটা, আমার মতো টিউলিপেরও বড় প্রিয়। রাজ্যের খেলনাপাতি সাজিয়ে বসবে, খেলতে খেলতে আকাশে উড়াল দেওয়া কোনও পাখির উদ্দেশে হাত নেড়ে বলবে, টা-টা। ওরা দুই ভাইবোনই পাখিপ্রিয়। কাব্য তো দিন দিন 

পাখি-বিশারদ হয়ে উঠছে, কত পড়াশোনা তার পাখি নিয়ে। কার্শিয়াংয়ের হোস্টেল থেকে যখন শীতের ছুটিতে বাড়ি আসে, বোনকে পাখি চেনাতে নিয়ে যায় এ দিক-সে দিক। আমাদের বাগানেও আজকাল প্রচুর পাখির ভিড়। 

বিছানায় শুয়েই আজ জানলায় তাকিয়ে আছে টিউলিপ। আমি উৎসাহিত হয়ে ডাকি, ‘‘আয়, দু’জন জানলায় গিয়ে বসি। তোর লাল পাখি, নীল পাখিরা ডেকে ডেকে তো রোজ ফিরে যাচ্ছে।’’

‘‘লাল পাখি, নীল পাখিরা আর আসে না,’’ বিড়বিড় করে টিউলিপ। ‘‘দুটো কাক আসে, বিচ্ছিরি গলা। তাড়িয়ে দাও না, ওই তো ডাকছে,’’  ও পাশ ফিরে শুল। 

আমি অদৃশ্য কোনও কাককে হুস হুস করে উড়িয়ে দিলাম। মেয়েটা কখন যে কী বলে। দোষ নেই, যা যাচ্ছে ওর ওপর। সেই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়েছে... প্রথমে ফরেনসিক পরীক্ষা, এক বার নয়, দু-দু’বার। ঘুম পাড়িয়ে ওর ভ্যাজাইনাল সোয়াবের নমুনা নিয়ে, উফ্‌ মাগো! তার পর ভিডিয়ো কনফারেন্সে কয়েক জন অভিযুক্তকে চেনানো। আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল টিউলিপ। তার পর থেকে জ্বরে বেহুঁশ টানা ক’দিন। পরে জেনেছিলাম, আইন-বহির্ভূত কাজ হয়েছে আমার টিউলিপের সঙ্গে। লাঞ্ছিত শিশুর দায়িত্ব নেই, অপরাধী শনাক্তকরণে। 

 

******

আজকাল মেয়েকে যখন জাপটে ধরে শুই, বোবা আর্তনাদে বুক ফেটে যায়। একটা রাগ ভিতরটা পুড়িয়ে ছারখার করে। কেন, ফুলের মতো একটা শিশুর সঙ্গে এমন হল? কেন সেই ধর্ষককে বাঁচানোর জন্য মাঠে নেমে পড়েছে কিছু লোক? কেন তারা বোঝে না, এতে আবার একটা শিশু বলি হওয়ার দিন গুনছে?       

শ্বশুরমশাই সে দিন জোর করেই কাছে টেনে বসালেন। আমার মাথায় ওঁর  হাত। বলেন, ‘‘এত ভেঙে পোড়ো না। মনে রাখবে, টিউলিপ একটা ফুলের নাম।  যেখানে যত যুদ্ধই হোক, ফুলেরা ঠিক সময় ফুটে ওঠে।’’ 

এ সব ভারী ভারী কথা শুনতে ইচ্ছে করে না আজকাল, বিড়বিড় করে বলি, ‘‘আমার টিউলিপ আর ফুল হয়ে ফুটবে না কখনও, ও কুঁড়িতেই শেষ।’’  

‘‘ছিঃ, এটাকে দুর্ঘটনা ভাবো, আ মিয়ার অ্যাক্সিডেন্ট।  দুর্ঘটনায় হাত-পা কাটে না, রক্ত ঝরে না, কিছু দিন শারীরিক কষ্ট, তার পর আবার সেরেও তো ওঠে।’’ 

চোখের কোল উপচে পড়া জল নিয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকাই। হয়তো ভরসা পেতে। 

ল্যান্ডলাইনে আবার এক দিন ফোন, আবার একটি কর্মশালার ঘোষণা। শিশুদের নানা রকম স্পর্শ শিক্ষা দেওয়া হবে— ভাল স্পর্শ, 

মন্দ স্পর্শ, নিরাপদ স্পর্শ, বিভ্রান্তিমূলক স্পর্শ ... 

আমি ফোন ছেড়ে দিই, ভাল লাগে না এত কথা, এত কোলাহল।

শ্বশুরমশাই কাছে এসে বলেন, ‘‘শিশু নিরাপত্তার উদ্যোগ খুবই ভাল। তবে সচেতনতার প্রথম পাঠ হওয়া উচিত শিশুবেলা থেকে। আমার মতে, এক জন মা-কেই এর দায়িত্ব নিতে হবে। মা-ই শিশুর প্রথম ভালবাসা, প্রথম আশ্রয়, তাঁর কথা শিশুমন শুনবেই।’’ 

‘‘ব্যস, তা হলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে বাবা?’’   

‘‘রাতারাতি কোনও কিছুই হয় না। ছেলেরা মেয়েদের তুলনায় মায়ের সান্নিধ্য কম পায়। মেয়ে সম্বন্ধে তাদের যে কৌতূহল, তা মেটানোর বিশেষ কেউ থাকে না। ধীরে ধীরে যৌনতা বিষয়টাকে তারা নিজেদের মতো জানতে চেষ্টা করে। তাই বলছি, এখন থেকে মা-কেই বোঝাতে হবে মেয়েরা কোনও রহস্যময় বস্তু নয়, প্রতিহিংসা বা লালসারও নয়, সকলের মতো তাদেরও হাত, পা, চোখ, নাক, গোপন অঙ্গ আছে,’’ একটু থেমে ঢকঢক জল খেলেন শ্বশুরমশাই, ‘‘এ ভাবেই ধীরে ধীরে যদি শিশুকে বোঝানো যায়, এক জন ধর্ষক পৃথিবীতে ঘৃণ্য জীব, আর ধর্ষকের মা, আরও ঘৃণ্য সকলের চোখে, কথাটা চাবুকের মতো আঘাত করবে শিশুমন।’’   

 

******

শরতের পর শীত যেন বড্ড তাড়াতাড়ি চলে এসেছে এ বার। দু’দিন ধরে টিউলিপ দক্ষিণের জানলায় এসে দাঁড়াচ্ছে। আজও দাঁড়িয়েছে।  আকাশের দিকে চোখ, কিছু খুঁজছে, না পেয়ে বোধহয় মন খারাপ। আমি পাশে এসে দাঁড়াই। ঘাড় ফিরিয়ে আমায় দেখেই ফিসফিস করে, ‘‘দাদাভাইকে নিয়ে এসো না। বাগানে কত নতুন পাখি এসেছে, চিনতে পারছি না কাউকে।’’ 

কাব্যকে ক’দিনের জন্য নিয়ে আসার কথা আমিও ভেবেছি। কিন্তু শীতের ছুটির এখনও দেরি। স্কুল 

কি ছাড়বে? আমি ওর গালে গাল ঠেকিয়ে আদর করতে করতে বলি, ‘‘কোন পাখিটা চিনতে পারছ না? আমায় বল।’’  

‘‘তুমি পাখি চেনো? আচ্ছা বল তো, ফায়ারথ্রোট বার্ড কেমন দেখতে? বলো, বলো। পারলে না তো? আমি জানি, দাদাভাই ছবি দেখিয়েছে। বলব কেমন দেখতে?’’ টিউলিপ হাসছে। 

আমি দু’চোখ ভরে দেখছি। কত দিন পর আমার টিউলিপ হাসছে, খুদে খুদে সাদা দাঁতের পাটি। এই তো সেই আগের টিউলিপ, টলটলে 

চোখ, ফর্সা কপাল, কোঁকড়া চুল, গোলাপি ঠোঁট...  

চোখের শুকনো দিঘিটা ক্রমে ভরে উঠতে চাইছে। প্রাণপণে আটকাই নিজেকে, না, না, কিছুতেই না। মেয়ের সামনে কাঁদব না। ও কষ্ট পাবে, ভয় পাবে। আর কোনও ভয়, কষ্ট, যন্ত্রণা ওকে ছুঁতে দেব না। নিজের শেষ শক্তি দিয়ে আগলে রাখব মেয়েকে।  

মনে মনে গড় হলাম... ‘‘আপনি ঠিক বলেছেন বাবা, টিউলিপ একটু একটু করে ফুটে উঠছে আবার।’’ মেয়ের ছোট্ট বুকটা নিজের বুকে চেপে ধরে ওর গালে, চোখে, ঠোঁটে, চুমুর পর চুমু দিয়ে চলি। কোন ফাঁকে এক ফোঁটা চোখের জল ঠিক পড়ে গেল টিউলিপের চোখের পাতায়।  

ও ঘাড় তুলে তাকায়, মুখটা সঙ্গে সঙ্গে ঘুরিয়ে নিই। ও ফিসফিস করে বলে, ‘‘গানপাখিটা কি হারিয়ে গেল মা? ও আর আসে না কেন?’’ 

থমকে গেলাম একটু, গানপাখি! সেটা কোন পাখি? আমি চিনি না তো। মুখে যদিও বলি, ‘‘আসবে। দাদাভাই এলেই আসবে।’’

‘‘তা’লে দাদাভাইকে শিগগির নিয়ে এস।’’    

শ্যামলের তোড়জোড়েই কর্তৃপক্ষ কাব্যর ছুটি মঞ্জুর করেছে। ও আসছে, তিন দিন পরে। সবাই খুশি, ছায়া ছায়া ঘরগুলো আবার আলো আলো হয়ে উঠছে। যদিও পুলিশের আসা যাওয়া, উকিলের হাজারটা তথ্য তল্লাশি, স্কুল কর্তৃপক্ষের  হুমকি, সব চলছে বিরামহীন। মাঝে মাঝে উড়ো ফোন— হ্যাঁ তাও আসছে। তবু এক দিন এই বাড়িতেই বেজে উঠল বিসমিল্লার সানাই, রাগ ভৈরবী। শ্বশুরমশাইয়ের প্রিয় রাগ। শ্যামল হাসতে হাসতে বলে, ‘‘সিডিটা অনেক দিন পরে চালালাম। বাবা আগে খুব শুনতেন।’’ 

কাব্য এখন তেরো, লম্বায় বাবাকে ছাড়িয়েছে, টকটকে রঙ। মায়ের নজর খারাপ, তবু চুরি করে দেখছি, কী অপূর্ব হয়েছে ছেলেটা! আসার পথেই শ্যামল হিন্ট দিয়েছিল নিশ্চয়ই। ও এসেই সোজা বোনের ঘরে। প্রথমে একটু আড়ষ্ট ছিল টিউলিপ, গলার জোর একটু একটু বাড়ছে, এক সময় হাসিও শুনতে পেলাম। শুনছি কাব্য বোনকে চেনাচ্ছে, ‘‘আরে, আমাদের বাগানে তো দেখছি পাখির মেলা। ওমা, ওটা যে আইব্রাওড থ্রাশের মতো দেখতে।’’ 

‘‘অ্যাঁ, বল কী দাদুভাই! সে তো সাইবেরিয়ায় ...’’ শ্বশুরমশাই কখন যে গুটিগুটি এসে দাঁড়িয়েছেন। ‘‘তা হলে কি সাইবেরিয়ার জঙ্গলটা উঠে এল আমাদের বাগানে?’’ 

তুমুল হাসি উঠল ঘরে, আমি শুধু কান পেতে হাসির প্রতিধ্বনি শুনে যাই। মন ভরে ওঠে।   

আজ দক্ষিণের ঘরে ভাইবোনের বিছানা পাতা। টিউলিপের বায়না, দাদার কাছে শোবে। শুয়ে শুয়ে আইব্রাওড থ্রাশের গল্প শুনবে। তবে ওই কঠিন নাম চলবে না, টিউলিপ নতুন নাম দিয়েছে, কটকটি পাখি।   

রাত বাড়ছে। মিউজ়িক প্লেয়ারে এখন বাজছে দরবারি কানাড়া। শ্বশুরমশাই ধ্যানস্থ হয়ে শুনছেন। আজ কি ঘুমোবেন না? তবে শ্যামল অনেক দিন পরে আজ নিশ্চিন্ত ঘুমে। ভাইবোনের কথার আওয়াজ আসছে, টুকটাক খুনসুটিও। কিন্তু আমাকে  এমন অস্থিরতায় ঘিরে ধরছে কেন? শীতেও ঘাড়, গলা ঘামছে।

রাত প্রায় শেষের দিকে, ওদের ঘরে আলো নেভানো। আর পারলাম না, ছুটে যাই ওদের দরজায়। ভিতরটা শব্দহীন। অস্থিরতা আরও বাড়ল। আচ্ছা, কাব্যর শৈশব তো আমার কাছে কাটেনি, বহু বছর হোস্টেলে, ওকে কি দেওয়া হয়েছে সেই মূল্যবান পাঠগুলো? নারী পুরুষের সম্পর্ক... না, না।  টিউলিপকে এখনই নিয়ে আসতে হবে নিজের কাছে। কী করব তা হলে? দরজায় ধাক্কা দিয়ে ওদের জাগিয়ে দিই, দেব?

হঠাৎ শুনি একটা পাখি, বাঁশির মতো শিস দিয়ে উঠল। চমকে ঘাড় ফেরাই, ভোর হয়ে গেল? পাখিটা আবার শিস দিল, একটু থেমে থেমে। এ বার শুনি টিউলিপের উত্তেজিত গলা, ‘‘গানপাখি এসেছে দাদাভাই, গানপাখি। শিগগির ওঠো।’’ কাব্য ঘুম ঘুম গলায় কী বলছে আর হাসছে। 

গানপাখিটা এ বার তুমুল শিসে ভরিয়ে দিচ্ছে চারপাশ। আমি এক পা এক পা করে সরে আসছি ওদের দরজা থেকে। ও দিকে মিউজ়িক প্লেয়ারে এখন আহির ভৈরব। বাইরে গানপাখি, ভিতরে আহির ভৈরব। সারা বাড়ি সুরে সুরে তোলপাড়। আমি বুঝতে পারছি না, এত সুরেও আমার চোখে কেন এত জল?