রবিবারের সকালটা বিষিয়ে গেল মনোজের। বিষিয়ে দিল একটা বাতাবি লেবু গাছ। মনোজদের নয়, প্রতিবেশী সুশীল বসাকের। মনোজ আর সুশীলদের বাড়ির সীমানা বরাবর পাঁচিলের গা ঘেঁষে বেড়ে উঠেছে গাছটা, ও দিকে বিরাট তিনতলা বাড়ি থাকায় যত ডালপালা মেলে দিয়েছে এ দিকে, মানে মনোজদের বাড়ির উঠোনের দিকে। তাতে অবশ্য এমনিতে অসুবিধে কিছু নেই, উঠোনটায় একটু ছায়া পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা বাধে এই ফাল্গুন-চৈত্র মাসে এসে। এই সময় বাতাবি লেবু গাছ পুরনো পাতা ঝরিয়ে নতুন পাতা ছাড়ে। ঝরা পাতায় উঠোন বোঝাই হয়ে যায়। সে সব রোজ সকালে ঝেঁটিয়ে ঝুড়ি করে ফেলতে হয়। কাজটা এ বাড়ির কাজের মাসি বীণাই করে। কিন্তু গোল বেধেছে বীণার শাশুড়ি মারা যাওয়ায়। গতকাল বিকেলেই সে খবর পাঠিয়েছে, শাশুড়ির কাজ না মেটা পর্যন্ত কাজে আসতে পারবে না। সকালে উঠেই তাই বাড়ির বাসি কাজ করতে লেগেছে সুমনা। এখন পনেরো-কুড়ি দিন বীণা আসবে না, সব কাজ একা হাতে করতে হবে বলে এমনিতেই সুমনার মেজাজ খিঁচড়ে ছিল, উঠোনে জমা ঝরা পাতার স্তূপ দেখে সে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠল। হাতের ঝাঁটাটা টান মেরে ফেলে দিয়ে সটান এসে দাঁড়াল মনোজের সামনে। মনোজ তখন ঘরে বসে গরম কাপের চায়ে আয়েশ করে চুমুক দিচ্ছে। সুমনা কোনও ভূমিকা না করেই বলে উঠল— “আজই তুমি ওই লেবু গাছের ব্যবস্থা যদি না করো তা হলে আমিই দা দিয়ে ও গাছের সব ডালপালা কেটে দেব। লোকে লেবু খাবে আর ঝুড়ি ঝুড়ি পাতা ফেলতে হবে আমাকে।”
সুমনার স্বর যথেষ্ট চড়া। মনোজ প্রমাদ গুনল। সুশীলদের বাড়িতে না চলে যায় কথাগুলো। সে নিচু গলায় বলল, “চিৎকার করছ কেন? আস্তে বলো, ওরা শুনতে পাবে যে।”
“পাক, এখন শুনছে, এর পর দেখতে পাবে। তুমি ব্যবস্থা করতে পারলে ভাল, নইলে…”
কথাটা সুমনা শেষ করল না বটে, কিন্তু ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। সুমনাকে ভাল করেই চেনে মনোজ। রাগের মাথায় সে সব কিছুই করতে পারে। যদি সত্যিই সে গাছের ডাল কাটতে যায়, তা হলে বড় রকম গোলমাল বাধার আশঙ্কা। সুশীল বসাক লোক সুবিধের নয়। তার দুটো তাগড়াই জোয়ান ছেলে আছে। মনোজ নিরীহ ছাপোষা মানুষ। সামান্য সরকারি চাকুরে। সব রকম গোলমাল ঝামেলা থেকে সে শতহস্ত দূরে থাকে। তার ওপর যত অন্যায়ই হোক, মেনে নেয় মুখ বুঁজে। রাগ যে তার হয় না তা নয়, রাগ হয়, খুবই হয়। কিন্তু সাহস, শক্তি আর পাশে দাঁড়ানোর লোকের অভাবে রাগ সে মনেই চেপে রাখে। বিকল্প যুক্তি খাড়া করে মনকে প্রবোধ দেয়। রাগারাগি করার চেয়ে ঠান্ডা মাথায় সমস্যার মীমাংসা করে নেওয়াই ভাল, তাতে অনেক ঝামেলা কমে। ভদ্রলোকেরা ঝগড়াঝাঁটি করে না, কম্প্রোমাইজ় করেই চলে। সে তো আর ছোটলোক নয়, আগাপাশতলা ভদ্রলোক।
এ ক্ষেত্রেও মনোজ সেই পথটাই নিল। সুমনাকে বুঝিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলাটাই ভাল। খুব শান্তভাবে বলল, “ফলন্ত গাছটা কেটে দিতে বলব?”
মনোজের শান্ত স্বরে রাগ আরও বেড়ে গেল সুমনার। সে দ্বিগুণ উচ্চ স্বরে চেঁচিয়ে উঠল, “তিন বছর ধরে ফলন্ত গাছের কথা শুনছি। তোমার সাহসে না কুলোয় বলো, আমিই যাচ্ছি ওদের বাড়ি।”
হাজার হোক পুরুষমানুষ। সাহসের অভাবের কথা বললে আঁতে ঘা লাগবেই। মনোজ আধখাওয়া চায়ের কাপটা টেবিলে নামিয়ে রেখে গায়ে জামা গলাতে গলাতে বলল, “তোমায় যেতে হবে না। আমিই যাচ্ছি। আজ একটা হেস্তনেস্ত করেই ফিরব।”
উঠোনে বেরিয়ে লেবুগাছটার দিকে এক বার তাকিয়ে দেখল মনোজ। গাছের গোড়াটাই শুধু সুশীল বসাকদের দিকে, ফাঁকা পেয়ে পুরোটাই বেড়েছে এ দিকে। একটা বিরাট ছাতার মতো তাদের ছোট্ট উঠোনের পুরো আকাশটাই ঢেকে রেখেছে গাছটা। গত বারের তুলনায় গাছটা আরও অনেক ঝাঁকড়া হয়েছে। পুরনো পাতা অনেক ঝরে গিয়েছে, তার জায়গায় নতুন কচি পাতা গজিয়েছে। গাছ জুড়ে প্রচুর লেবু ঝুলছে, লেবুগুলো সাইজ়ে ক্রিকেট বলের মতো। ফলের ভারে ডালগুলো নেমে এসেছে অনেকটা। লেবুগুলো আরও বড় হলে ডালপালা নেমে এসে চোখেমুখে লাগাও বিচিত্র নয়। পরিস্থিতি দেখে ওদেরই তো উদ্যোগ করে গাছটা না হোক, অন্তত কিছু ডালপালা কেটে দেওয়া উচিত। তাকে বলতে হবে কেন? নিজেদের জায়গা নেই যেখানে, সেখানে গাছ লাগানোই বা কোন বিবেচনায়? মানুষের বিবেচনাবোধ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ভাবতে ভাবতে মনে মনে খুব রাগ হয়ে গেল মনোজের। কিন্তু রাগ প্রকাশ হতে দেওয়াটা তার ধর্ম নয়। সে মাথা ঠান্ডা করেই ঢুকল সুশীল বসাকের বাড়ি।
সুশীল বড়লোক মানুষ। তার নানা রকম ব্যবসা। বাজারে একটা বিরাট গোডাউন আছে, সেখানে ভুসিমালের কারবার চলে। ইদানীং জমি কেনাবেচার ব্যবসাও শুরু করেছে। তার চেহারাটাও জাঁদরেল। মনোজ ঘরে ঢুকে দেখল, সুশীল বসাক একটা গদি-আঁটা সোফায় ডুবে রসিয়ে রসিয়ে লিকার চা খাচ্ছে। মনোজকে ঢুকতে দেখে সুশীল বলল, “আরে মনোজ যে, এস, এস। সকালবেলা হঠাৎ কী মনে করে?”
“একটু দরকার ছিল। একটা কথা বলতাম।” বলল মনোজ।
“কথা তো নিশ্চয়ই বলবে, বোসো আগে। চা খাবে?”
মনোজ সুশীল বসাকের সামনের চেয়ারটায় বসতে বসতে বলল, “না, না, চা খাব না, এই খেয়ে এলাম।”
“তা হোক, আমার বাড়িতেও খাও একটু,” বলে ঘরের ভিতরের দিকে মুখ করে চেঁচিয়ে চা দিতে বলে আবার মনোজের দিকে ফিরে বলল, “বলো কী কথা?”
মনোজ ঝোঁকের মাথায় চলে এসেছে। কী বলবে, ঠিক কী ভাবে বলা উচিত, সে সব কিছু ঠিক করে আসেনি। সে সুশীল বসাকের মুখের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে সারা ঘরে চোখ বোলাতে বোলাতে মনে মনে ঠিক করে নিল কী বলবে। তার পর দু’বার গলা ঝেড়ে একটু কেশে ঈযৎ কম্পিত স্বরে বলল, “আপনাদের লেবু গাছটা নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছি।”
“কোন লেবু গাছ?”
“ওই বাতাবি লেবু গাছটা, যেটা আমাদের বাড়ির দিকে আছে।”
“ওটা আবার কী সমস্যা করল?”
“ফলের ভারে নেমে এসেছে, ঢুকতে বেরোতে গেলে চোখেমুখে লাগে। তা ছাড়া প্রতিদিন এত পাতা পড়ে, আমাদের বাড়ির দিকে ডালগুলো কাটিয়ে দিলে ভাল হত।”
সুশীল বসাকের কণ্ঠস্বর গম্ভীর হল। সে সামান্য উষ্মার সঙ্গে বলল, “ফলন্ত গাছের ডালপালা কাটতে আমি পারব না। ওতে সংসারের অমঙ্গল হবে। খুব অসুবিধে হলে তুমি কাটিয়ে দাও।”
কাটিয়ে দেওয়ার কথা বলল বটে সুশীল, কিন্তু তার বলার ধরনে গাছের ডাল কাটার অনিচ্ছেটা প্রকট হয়ে পড়ল। সেটা ধরতে পেরেই মনোজের মেজাজটা আবার একটু চড়ে গেল। সে বলতে চায়নি, তবুও মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, “গাছ আপনার, ডালও আপনার কাটা উচিত। আমি কেন কাটতে যাব? আমার অসুবিধে হচ্ছে তাই বলতে আসা।”
কথাগুলো বলার সময় মনোজের কণ্ঠস্বরে একটু ঝাঁঝ মিশে গিয়েছিল। সেটা ধরতে পেরেই বোধহয় সুশীল বসাকের বড় ছেলে ভিতরের ঘর থেকে বাবার সোফার পাশে এসে দাঁড়াল। প্রায় ছ’ফুট লম্বা, সুগঠিত চেহারা। পুলিশে চাকরির চেষ্টা করছে। নিয়মিত শরীর চর্চা করে। তার মুখমণ্ডলে কাঠিন্য। মনোজ পাশে দাঁড়ানোর মতো একটা ছেলের অভাব অনুভব করল। তার ছেলে নেই, একটাই মেয়ে। সামনের বছর উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। বাড়িতে উপযুক্ত বয়সের মেয়ে থাকলে সাহস বাড়ে না, ভয় বাড়ে। অকারণেই মনোজের একটু ভয় ভয় করতে লাগল। সে মিইয়ে যাওয়া দৃষ্টিতে সুশীল বসাকের মুখের দিকে তাকাল। সুশীল বসাক ছেলের দিকে এক বার তাকিয়ে নিয়ে ঠান্ডা গলায় চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, “পাশাপাশি থাকতে গেলে সবাইকেই অনেক কিছু মানিয়ে চলতে হয়। আমিই কি লোকের কম ঝামেলা সহ্য করি! গাছের দু’টো পাতা পড়া তো সামান্য ব্যাপার। তবু তোমার অসুবিধে যখন বলছ, পুরো গাছটাই কেটে দেব।”
“না, না, পুরো গাছ কাটার দরকার নেই। দু’-চারটে ডাল কেটে দিলেই—”
কথাটা তাকে শেষ করতে না দিয়েই সুশীল বসাকের বড় ছেলে বেশ রূঢ়ভাবে বলে উঠল, “গাছে সবে ফল ধরেছে, এখন ডাল-টাল কাটা যাবে না। ফল উঠুক, তার পর দেখা যাবে।”
ছেলেটির কথার ভঙ্গি শুনে মাথায় আগুন জ্বলে উঠল মনোজের। বাবা-কাকাদের সঙ্গে কী ভাবে কথা বলতে হয় শেখেনি। তার মেয়ের চেয়ে কতই বা বড় হবে ছেলেটা, বড়জোর বছর ছয়েকের। মনোজ তো প্রায় তার বাবার বয়সিই, অথচ কী মেজাজ দেখিয়ে কথা! ভিতরে ভিতরে ভীষণ রাগ হল মনোজের, কিন্তু পাল্টা মেজাজ দেখানোর সাহস হল না। এই ছেলেটা বড্ড গোঁয়ার। সে সুশীল বসাকের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখল, সেখানে ছেলের কথায় প্রশ্রয়ের ছাপ স্পষ্ট। রাগটা ভিতরে পুষে রেখে মনোজ ঠান্ডা গলায় বলল, “আমিও ফল ওঠার পরে কাটার কথাই বলেছি। ফলন্ত গাছ কাটতে বলব এমন আহাম্মক আমি নই।”
বলেই সে উঠে পড়ল। আর কথা বলার ইচ্ছে নেই তার।
বাড়ি ফিরে সুমনাকে অর্ধসত্য বলল মনোজ, “বললাম আজ আচ্ছা করে। আজকেই গাছ কেটে দিতে চাইছিল সুশীলদা। আমি বললাম ফল উঠে গেলে কেটে দেবেন। ফলন্ত গাছ কেটে সংসারে অমঙ্গল ডেকে এনে লাভ নেই।”
সুমনা কথাটা পুরোপুরি বিশ্বাস করল না। নিজের স্বামীকে সে চেনে। এত ক্ষণে তার রাগও খানিকটা পড়ে এসেছে। সে আর কোনও কথা বলল না। রেগে গেলে জ্ঞান থাকে না বটে, কিন্তু গোলমালকে সে-ও ভয় পায়।
রবিবারের দিনটা একেবারে বিষিয়ে গেল মনোজের। মনটা কেমন বিমর্ষ হয়ে গেল। খাওয়াদাওয়া কাজকর্ম সব করল বটে, কিন্তু মনের মধ্যে একটা খচখচানি, একটা অস্বস্তি সব সময় লেগেই রইল। রাতে শোওয়ার পর খচখচানিটা আরও বেড়ে গেল, কিছুতেই আর ঘুম আসে না। সুশীল বসাকের ছেলেটার রূঢ় ভাবে বলা কথাগুলো মাথার ভেতর পাক খেয়ে যাচ্ছে। ছেলেটাকে কষে একটা চড় মারতে পারলে অথবা তার ওপর মেজাজ নিতে পারলে মনটা একটু শান্ত হত।
বিছানায় বেশ কিছু ক্ষণ এ পাশ-ও পাশ করে মনোজ উঠে বসল। মোবাইলটা সে মাথার কাছে নিয়েই শোয়। মোবাইলের সুইচটা অন করতেই সারা ঘরে হালকা আলো ছড়িয়ে পড়ল। সেই আলোয় সে দেখল, অঘোরে ঘুমোচ্ছে সুমনা। মনে মনে খুব রাগ হয়ে গেল সুমনার ওপর। দু’টো পাতা ফেলার ব্যাপার। কাজের লোকেই তো ফেলে রোজ। এক দিন ফেলতে গিয়েই মেজাজ সপ্তমে। নিজে না ফেলতে পারে মনোজকে বললেই হত! তা না, চিৎকার চেঁচামেচি। সুমনার জন্যই আজ এত অপমানিত হতে হল তাকে। মনোজ উঠে বাথরুমে গেল, তার পর ঢকঢক করে খানিকটা জল খেয়ে শুয়ে পড়ল।
কিন্তু ঘুম এল না কিছুতেই। একটু করে তন্দ্রা আসছে, আবার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। সামান্য তন্দ্রা এলেই আবছা স্বপ্নের মতো দেখা যাচ্ছে, কাদের সঙ্গে খুব ঝগড়া হচ্ছে তার। সে একা, ও দিকে তিন-চার জন। ঘুম ভাঙলেই সকালের ঘটনাটা মাথার মধ্যে ঘুরছে। ভ্যাপসা গরমও খুব, আকাশে মনে হয় মেঘ জমে আছে। আজ রাতে আর ঘুম হবে না। মোবাইলটা জ্বেলে টাইম দেখল মনোজ। রাত একটা। সুমনা নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। সে নিঃশব্দে দরজা খুলে বাইরের বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে দেখল, অস্পষ্ট চাঁদের আলোয় বিরাট একটা ঝোপের মতো লেবুগাছটা নিস্পন্দ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যেন একটুও শব্দ না হয় এমন ভাবে গেটের তালা খুলে একটা প্লাস্টিকের চেয়ার আর ব্যাগ নিয়ে বাইরে বেরোল। চেয়ারটা রাখল গাছের নীচে। তার পর সুশীল বসাকের বিরাট তিনতলা বাড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখল, কোথাও কোনও আলো বা শব্দ নেই। কেউ জেগে আছে বলে মনে হয় না। মনোজ চেয়ারটার ওপর উঠে দাঁড়িয়ে হাতের নাগালে যতগুলো লেবু পেল, পটপট করে ছিঁড়ে ব্যাগের মধ্যে রাখল। লেবুগাছের সদ্যগজানো ডালগুলো খুব নরম। হাতের কাছে থাকা ডালগুলোও সে মুচড়ে ভেঙে ব্যাগে ভরল। হাতে সামান্য দু’-একটা কাঁটা ফুটল বটে, তবে তেমন কিছু নয়। চেয়ার আর ব্যাগটা নিয়ে বারান্দায় ঢুকে গেটে তালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখল, গাছটা আগেকার মতো নিস্পন্দ হয়েই দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাগটা আলমারির পিছনে লুকিয়ে রেখে বিছানায় শুয়ে পড়ল মনোজ। এ বারে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘুম এসে গেল তার।