Abosar

কীট

উস্রি দে

কাজকর্ম মিটে গিয়েছে দিন পাঁচেক আগে। একে একে সবাই যে যার জায়গায় ফিরে গিয়েছে। বাড়ি এখন একদম ফাঁকা। এক অদ্ভুত শূন্যতা যেন হাঁ করে গিলতে আসছে সুধাময়কে। নাতি-নাতনিদের চিৎকার হুল্লোড়ে তবু বাড়িটায় একটা প্রাণ ছিল। এক এক সময় যদিও বিরক্ত লাগত সুধাময়ের। যে চলে গেল, একান্তে তার কথা যে একটু ভাববেন, তার উপায় নেই। এত দুষ্টু হয়েছে বাচ্চাগুলো যে ওদের বাবা-মায়েরাও হিমশিম খেয়ে যায় সামলাতে। কিন্তু এখন যেন বড় বেশি নৈঃশব্দ্য। একটা মানুষ থাকা আর না থাকার মধ্যে কত তফাত! অথচ মালিনী চিরকালই খুব শান্ত স্বভাবের, কথাও বলত নিচু স্বরে। অনেক সময়ে ও যে বাড়িতে আছে, টেরই পাওয়া যেত না। তবু রোজকার বিভিন্ন পর্যায়ে ওর নীরব উপস্থিতি, কখনও কখনও পরোক্ষ স্পর্শ তো উপলব্ধি করা যেত!

আচ্ছা, মালিনীর দেহের ভিতর যে অসুখটা বাসা বেঁধেছিল, তার কিছুই কি আঁচ পায়নি ও‌? সুধাময়ের তো তেমন কিছু মনে হয়নি কোনও দিন ওকে দেখে। হঠাৎ করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কত বড় বিপর্যয় ঘটে গেল, চিকিৎসার সুযোগটুকুও পাওয়া গেল না ঠিক মতো। এখন সুধাময় একা, পুরো একা। তপোময় অবশ্য ফিরে যাওয়ার আগে বাবাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। বাবার পক্ষে এই বয়সে বাড়িতে একা থাকা যে ঠিক হবে না, রাত-বিরেতে নানান সমস্যা হতে পারে— এই সব যুক্তি দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সুধাময় সে সব উড়িয়ে দিয়েছেন এক ছক্কায়, ‘‘কপালের লেখা খণ্ডাবার ক্ষমতা কারও নেই রে তপু, তোর কাছে থাকলে কি আর ভবিতব্যকে এড়ানো যাবে?’’

চিরকাল একই রকম থেকে গেলেন সুধাময়। একরোখা, জেদি। নিজে যা মনে করেন সেই মতো চলা। মালিনী ছিল একেবারে বিপরীত মেরুর। শান্তিপ্রিয়, মিষ্টভাষী। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, মানিয়ে চলার মানুষ। ফলে ঝগড়া-বিবাদের সুযোগই বিশেষ ছিল না।

শীতের সকাল। আজ ভোরে বেশ কুয়াশা ছিল। ভোলার মা জলখাবার দিতে সুধাময় বললেন, ‘‘বাসন্তী এসেছে?’’

ঘাড় কাত করে সম্মতিসূচক মাথা নাড়ল ভোলার মা।

‘‘শোনো, রান্না হয়ে গেলে তুমি আর বাসন্তী মিলে তোমাদের মায়ের আলমারিটা খালি করে দিও তো।’’

ভোলার মা হতবাক।

‘‘খালি করবেন কেন, বাবু?’’

‘‘মেয়েটা তো এ বারে সময় পেল না, অফিস জয়েন করতে হবে, তাই তাড়াতাড়ি ফিরে গেল। বলে গিয়েছে ওর মায়ের শাড়ি, শালটালগুলো বার করে এক বার রোদ্দুরে দিতে। পরে এসে ও সব গুছিয়ে ঠিকঠাক করবে। কিছু হয়তো নিজে ব্যবহার করবে, বৌমার জন্য কিছু, আর বাকিটা...’’

‘‘কিন্তু বাবু, মায়ের আলমারিতে এখনই হাত দেওয়া কি...’’

‘‘কিচ্ছু হবে না, আমি বলছি!’’ ধমকে উঠলেন সুধাময়।

ভোলার মা বাসন্তীকে নিয়ে আলমারি খুলে থাকে-থাকে রাখা মালিনীর শাড়িগুলো বার করে খাটের এক পাশে গুছিয়ে রাখছে। সঙ্গে শাল, গরম চাদর। ব্লাউজ আর টুকিটাকি একটা নতুন টাওয়েলের মধ্যে বেঁধে রাখা। দোতলার ঝুলবারান্দায় এক কোণে চেয়ারে বসে খবরের কাগজের পাতা ওল্টাচ্ছিলেন সুধাময়। হঠাৎ ভোলার মায়ের ডাক কানে গেল, ‘‘বাবু, একবারটি এ দিকে আসুন তো!’’

সুধাময় কাগজ হাতে নিয়েই তড়িঘড়ি উঠে এলেন ঘরের ভিতর। আসতেই ভোলার মা একটা সুন্দর রঙিন কাগজে মোড়া বাক্স ধরিয়ে দিল ওর হাতে।

‘‌‘বাবু, এইটে ছিল আলমারির ভিতরে। আপনি রাখুন। মায়ের কোনও গয়না হবে হয়তো।’’

‘‘গয়না!’’ আশ্চর্য হলেন সুধাময়। গয়না তো সব লকারেই থাকে। আর মালিনীর গায়ে যে এক-আধটা গয়না ছিল, সে তো মন্দাকিনী মায়ের মরদেহ থেকে আগেই খুলে নিয়েছিল। বাবাকে দিতেও চেয়েছিল পরে। কিন্তু সুধাময় ওগুলো আপাতত নিজের কাছেই রাখতে বলেছেন মেয়েকে। তা হলে?

সন্ধে ঘনিয়ে এসেছে। ভোলার মা এবেলার কাজ সেরে চলে গিয়েছে। হট পটে রুটি-তরকারি রাখা আছে। কিন্তু কিছুই মুখে তুলতে ইচ্ছে করছে না সুধাময়ের। শীতের রাত বড় দীর্ঘ! টিভির পর্দায় চোখ রাখলেন। চল্লিশ বছরের সঙ্গিনী। ফাঁকা তো লাগবেই! আচ্ছা, মালিনীকে কি তিনি পুরোপুরি চিনতেন? এক জন মানুষকে খুব কাছ থেকে দীর্ঘ দিন ধরে দেখেও সবটুকু চেনা যায় কি? কারও মনের গভীরে তো আর ডুব দিয়ে দেখা যায় না। সেখানে কার জন্য কে কতটা কী সঞ্চিত রাখে, সে খবর শুধু সেই-ই জানে।

টেবিলের উপর রাখা রঙিন কাগজে মোড়া বাক্সটার দিকে চোখ গেল সুধাময়ের। হয়তো মালিনীর মনেও অন্য কারও জন্য কিছু... নাহ্‌, আর ভাবতে পারেন না সুধাময়। সব কেমন গুলিয়ে যায়। কী এমন আছে যা এত দিন ধরে সযত্নে লালন করে এসেছে মালিনী, সবার অলক্ষে? কোনও গোপন চিঠি? কোনও বিশেষ উপহার? ভিতরে ভিতরে এক অসহ্য অস্থিরতা তাড়িয়ে বেড়ায় সুধাময়কে। এক-একটা মুখ স্মৃতির আড়াল ভেঙে উঁকি দিয়ে যায়। কে সে? সুধাময়ের অফিসের কলিগ সুধাংশু চট্টোপাধ্যায় এক সময় প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন সুধাময়দের বাড়িতে। মালিনীকে সুধাংশু বেশ পছন্দ করত। সেটা প্রকাশ পেত হাবেভাবে। মালিনীও ওর উপস্থিতিটা বেশ উপভোগ করত। চা, জলখাবার, এটা-সেটা গল্প। অনেক বেশি উচ্ছল হয়ে উঠত যেন মালিনী। দু’চার বার এক সঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছিল দুটি পরিবার। ভোরে ওঠার অভ্যেস মালিনীর চিরদিনের। সুধাময় আবার সম্পূর্ণ বিপরীত। সে বার উত্তরবঙ্গের লোলেগাঁওয়ে সকালে ঘুম ভাঙতেই আটটা, চায়ের কাপ হাতে কটেজের বারান্দায় বসতেই চোখে পড়ল, দূর থেকে মালিনী আর সুধাংশু হেঁটে হেঁটে আসছে জঙ্গলের পথ ধরে। কাছে এসেই মালিনী কলকল করে উঠল, ‘‘তুমি খালি ঘুমোও! কী দারুণ লাগল ভোরবেলাটা, দেখতেই পেলে না!’’

‘‘সত্যি, তুই যে কী মিস করলি!’’ বারান্দায় চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলেছিল সুধাংশু। উত্তরে হেসেছিলেন সুধাময়। তবে কোথায় যেন একটা সূক্ষ্ম কাঁটা বিঁধেছিল। স্মৃতি হাতড়ে ভেসে ওঠে আর একটা মুখ— রজতেন্দ্র! মালিনীর মাসতুতো দাদার বন্ধু। ওর দাদার সঙ্গেই এক বার এসেছিল এ বাড়িতে। তার পর থেকেই ঘন ঘন যাতায়াত। সেও মালিনীতে মুগ্ধ ছিল। তার দৃষ্টিতেই ধরা দিত সেই আবেগ। নজর এড়ায়নি সুধাময়ের। যদিও মালিনী পোশাকি ভদ্রতাটুকু বজায় রাখত তার ব্যবহারে। তার পর এক সময় সেই রজতেন্দ্র কাজের জন্য বদলি হল। অন্য রাজ্যে যেতে হল তাকে। সেই থেকে আনাগোনার বিরতি। না কি অন্য কেউ? যার খবর জানা নেই সুধাময়ের?

এক বার পূর্ণিমার রাতে শান্তিনিকেতনের খোয়াই যাওয়া হয়েছিল। তাও মালিনীর পীড়াপীড়িতে। না হলে ঘুমকাতুরে সুধাময়ের পক্ষে এই সব পাগলামি কল্পনারও বাইরে। তবে ওখানে পৌঁছে সেই রাতে প্রকৃতির রূপে বিমোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর। অপূর্ব! কাছে টেনে নিয়েছিলেন মালিনীকে।

‘‘আমায় পেয়ে তুমি সুখী হয়েছ, মালিনী?’’

কোনও উত্তর না দিয়ে ঠোঁট টিপে একটু রহস্যময় হেসে পাল্টা প্রশ্ন করেছিল মালিনী, ‘‘তোমার কী মনে হয়!’’

এই রকমই ছিল মালিনী। কখনও নিজের মনের ভাব অকপটে ব্যক্ত করেনি কারও কাছেই। নিজের শারীরিক বা মানসিক কোনও কষ্টই বুঝতে দেয়নি কখনও কাউকে। অন্তর্মুখী মালিনীকে বোঝা তাই খুব সহজ ছিল না।

টেবিলের উপর পড়ে রয়েছে মোড়কসুদ্ধ বাক্সটা। আপাত-নিরীহ, নির্জীব ওই বস্তুটার দিকে সুধাময় তাকিয়ে রয়েছেন এক দৃষ্টে। হাত বাড়িয়েও হাত সরিয়ে নিয়েছেন কয়েক বার। পাশেই একটি ফ্রেমে মালিনীর ছবি, সদ্য বাঁধানো। চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে, যেন শুধু সুধাময়কেই লক্ষ করছে একভাবে। সুধাময়ের ভিতরটা তোলপাড় হচ্ছে। এক-এক বার মনে হচ্ছে, থাক, ওটা আর খুলে কাজ নেই। জীবনের এতটা দিন যে ভাবে মালিনীকে চিনেছেন, জেনেছেন, কাছে পেয়েছেন— সেটুকুই সত্যি হয়ে থাক। কী দরকার আর খোঁড়াখুঁড়ি করার? শেষে সাপ বার হলে! এত দিনের বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা—  যা তিল তিল করে গড়ে উঠেছে একটা মানুষকে কেন্দ্র করে— নিমেষে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। না না, সে সহ্য হবে না সুধাময়ের! বেডসাইড টেবিল থেকে জলের গ্লাসটা নিয়ে ঢকঢক করে সবটা জল এক নিশ্বাসে খেয়ে ফেললেন সুধাময়। ঠিক এই সময় মোবাইল বেজে উঠল।

‘‘হ্যালো,’’ কাঁপা কাঁপা গলায় সুধাময়।

‘‘হ্যালো, বাবা? তপু বলছি। তুমি ঠিক আছ তো?’’

‘‘হুমম্‌ ... হ্যাঁ।’’

‘‘কী হল? শরীর খারাপ না কি?’’

‘‘ন্‌... না ... না না।’’

‘‘তা হলে, তোমার গলাটা ও রকম শোনাচ্ছে কেন?’’

‘‘ও কিছু না, ফোনের গন্ডগোলে বোধহয়, বুঝলি।’’

এ বারে বেশ স্পষ্টভাবে বললেন সুধাময়, নিজেকে যতটা সম্ভব সংযত করে। ও প্রান্তে তপুুও নিশ্চিত হল বাবার স্বাভাবিক গলার আওয়াজ পেয়ে।

কথা শেষ হলে আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়লেন সুধাময়। কম্বলটা ভাল করে জড়িয়ে নিলেন। শীতটা আজ বেশ জাঁকিয়েই পড়েছে। নিঃস্তব্ধ রাত। মাথার কাছে টেবিল ঘড়িটার টিকটিক শব্দ ছাড়া আর কোনও আওয়াজ নেই। বালিশে মাথা রেখে শুয়ে আছেন ঠিকই, তবে চোখে ঘুম নেই। অদম্য কৌতূহল ভিতরটা কুরে কুরে খাচ্ছে। অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন সুধাময়। অফিসের কাজে প্রথম জীবনে মাঝে মধ্যেই টুরে যেতে হত তাকে। দিন কয়েকের জন্য। তার অনুপস্থিতিতে যদি কিছু ঘটে থাকে সেই সময়! এই ঠান্ডাতেও ঘাম হচ্ছে সুধাময়ের। নাহ্‌, আলো জ্বালালেন ঘরের। উঠে বসলেন। বিছানা থেকে নেমে বেসিনে গিয়ে ঘাড়ে-মুখে জল ছেটালেন। চোখ চলে যাচ্ছে বারবার ওই মোড়কটার দিকে। টেনশন আর ধরে রাখতে পারলেন না সুধাময় শেষ পর্যন্ত। উত্তেজনার বশে কাগজের মোড়কটা একটানে খুলে ফেললেন।

আরও একটা মোড়ক। আশ্চর্য! এ ভাবে দু-দুটো কাগজের মোড়ক খুলতে খুলতে অবশেষে অভীষ্ট বস্তুতে পৌঁছনো গেল। ছোট্ট একটা নকশা-করা কাঠের বাক্স। আগেকার দিনে ওগুলোকে জুয়েলারি বক্স হিসেবে ব্যবহার করা হত। সামনের দিকে একটু চাপ দিতেই বাক্সের ডালাটা খুলে গেল। রুদ্ধশ্বাস সুধাময়ের বিস্ফারিত দৃষ্টি বাক্সের ভিতরে। একটা অতি সাধারণ পুঁতির মালা, সাদা আর গোলাপিতে মেশানো। দেখতে বেশ! তার সঙ্গে মানানসই ছোট্ট ছোট্ট দুটো কানের দুল, একটু ঝোলানো। ভুরু দুটো কুঁচকে গিয়েছে সুধাময়ের। ও, তা হলে এই সেই অমূল্য রতন, যা সযত্নে রক্ষিত এত কাল ধরে! কী এমন দুর্লভ যে ওটাকে এতগুলো মোড়কে মুড়ে রাখা হয়েছে! তা হলে এত ক্ষণ যা ভাবছিলেন, সেটাই সত্যি! মালিনীর গোপন প্রেম! অভিসারও ছিল নিশ্চয়ই তার অগোচরে!

উফ্‌, মাথাটা ঘুরছে! খাটের বাজুটা খামচে ধরলেন সুধাময়। সারা জীবন ধরে যে মানুষটাকে ভালবেসে, বিশ্বাস করে, সুখী করতে চেয়েছিলেন, সেই মালিনীই কিনা... মালিনীর অভাব, তার একাকীত্ব— সব তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে আজ এই মুহূর্তে। বাক্সটা ধরে টান মেরে ফেলে দিতে চাইলেন কী এক প্রচণ্ড আক্রোশে। মেঝেতে ছিটকে পড়ল পুঁতির মালা। তার সঙ্গে একটা ভাঁজ করা ছোট্ট কাগজ। চোখে পড়তেই সুধাময় কাগজটা ছোঁ মেরে তুলে নিলেন মেঝে থেকে। এই তো! এই তো মালিনীর প্রাণভোমরা! এতেই পাওয়া যাবে সেই অজানা প্রেমিকের দিশা। হাতেনাতে ধরা পড়বে মালিনী। সুধাময়ের ঠোঁটের কোণে নিষ্ঠুর হাসির ঝিলিক। বিবর্ণ কাগজের টুকরোটার ভাঁজ খুলতেই— ‘ওঁর দেওয়া প্রথম উপহার— একান্ত অমূল্য!

৭ মার্চ, ১৯৮০, বারাণসী।’

এক লহমায় স্মৃতির জানালা গেল খুলে। বারাণসী। থরে থরে পসরা সাজানো হরেক দোকানে। এই মালা ও দুলের সেট নতুন বৌয়ের বেশ পছন্দ। কিন্তু গুরুজনেরা সঙ্গে রয়েছেন। তাই মুখ ফুটে বলা গেল না। অনুভব করেছিলেন সুধাময় মালিনীর চোখের চাহনিতে। সবার নজর এড়িয়ে এক ফাঁকে কিনে নিলেন দুল দুটো আর মালাটা। সেই রাতেই স্ত্রীকে সারপ্রাইজ় গিফ্‌ট দিয়েছিলেন বারাণসীর হোটেলে। আদরে সোহাগে ভরা ছিল সেই রাত। সমস্তটাই যে এখন ভীষণ জীবন্ত! উত্তেজনার অবসানে শ্রান্ত সুধাময় তাকালেন মালিনীর দিকে। ছবির মালিনীর ঠোঁটে আজও সেই এক টুকরো হাসি— রহস্যময়!