মানুষের পিছনে কাঠি দিতে গোরাপদর বড় আনন্দ। কাঠি দিতে গেলে ক্ষমতা থাকতে হয়। গোরাপদরও ক্ষমতা আছে। বিশাল ক্ষমতা।
সমাজের সব তলার মানুষের সঙ্গে গোরাপদর যোগাযোগ। রিভলভিং চেয়ারটা ঘুরিয়ে জানালা দিয়ে তাকাল সে। নীচে রাজপথে চলমান মানুষের স্রোত। শহরে গাড়ি-ঘোড়ার সংখ্যা লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে ট্রাফিক জ্যামও। গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টির কণা বাতাসে পর্দার মতো দুলছে যেন এখন। আকাশ কালো। বৃষ্টি আসি-আসি করলেও, এখনই হুড়মুড়িয়ে নামবে না। এই সময়টা মানুষের বড় উৎকণ্ঠার সময়। এই বুঝি ঝমঝম করে বৃষ্টি নামবে। ছাতা বা রেনকোট না-নিয়ে বেরনো মানুষ হাঁপাতে-হাঁপাতে ছুটবে এখন। ঠোঁটের কোণে হাসি ছড়িয়ে পড়ে গোরাপদর।
“চা দেব?”
অর্জুনের প্রশ্নে চমকে চেয়ার নিয়ে ঘুরে গেল গোরাপদ, “এডিটরের রুমে দিয়েছিস?”
“হ্যাঁ।”
“ডেস্কে কে-কে এসেছে?”
“প্রকাশদা, অভিমন্যুদা, সবাই প্রায়।”
“নতুন যে জয়েন করল, প্রুফরিডার মেয়েটা, ওকে পাঠিয়ে দিস তো।”
“দেব,” চায়ের কাপটা রেখে অর্জুন চলে গেল। পায়ের উপর পা তুলে নাচাচ্ছে এখন গোরাপদ। মনে আনন্দ হলে তার পায়ের উপর পা আপনা-আপনিই উঠে যায়। কখন যে পা নাচানো শুরু হয়, সে নিজেও বলতে পারে না।
“স্যর, ডেকেছিলেন?” সুইংডোর ঠেলে রুমে ঢুকল নতুন প্রুফরিডার। উপেক্ষারও একটা স্টাইল আছে। একটু উপেক্ষা, একটু দূরত্ব বজায় রাখলে সম্ভ্রম আদায় করা সম্ভব। সে দিন এক ঝলক দেখেই গোরাপদ বুঝেছে, মেয়েটির পার্সোনালিটি আছে। শ্যামলা, দোহারা মেয়েটির একটু আলাদা চটকও আছে।
মেয়েটি এখনও দাঁড়িয়ে।
কয়েকটা মিনিট দাঁড়িয়েই থাকুক। এতে আনুগত্য বাড়ে। নতুন নতুন স্যর-স্যর করবে, ভয়ে-ভয়ে নিউজ় এডিটরের রুমে দাঁড়িয়ে থাকবে। এই সময়টাই তো রেলিশ করার। এর পর চোখ-মুখ ফুটে যাবে। সহকর্মীদের সঙ্গে একটা বৃত্ত গড়ে উঠবে। ধীরে-ধীরে রাশ আলগা হতে থাকবে।
“বসুন।”
“থ্যাঙ্ক ইউ...”
বাহ্! সুললিত কণ্ঠস্বর। গোরাপদর মুখের রেখার কোনও পরিবর্তন হল না।
“কী নাম?”
“অন্তরা।”
“হুম। বাংলায় এমএ?”
“হ্যাঁ স্যর।”
“কত পার্সেন্টেজ?”
কিছু ক্ষণ পর উত্তর এল, “সিক্সটি ফাইভ।”
“টুকলি করে?”
“স্যর! কী বললেন?”
“কিছু নয়। দুর্গা কি খড়্গ নিয়ে ঘোরেন?”
“বুঝলাম না স্যর।”
“দুর্গা বানানে দীর্ঘ-ঊকার হবে কেন?”
“ভুল হয়ে গিয়েছে স্যর।”
“ডিটিপি অপারেটর ভুল করতে পারেন। আপনি দেখবেন না? অরুন্ধতী কি ধুতি পরেন?”
“স্যরি স্যর।”
“অরুন্ধুতী হবে না। অরুন্ধতী। মনে থাকবে তো? বানানের দিকে যত্নবান হতে হবে। আরও অনেক ভুল নজরে পড়েছে। ‘মন্ত্রী’ যখন ‘সভা’র সঙ্গে যুক্ত হবে তখন দীর্ঘ-ঈ কার হবে না। যখন ‘সহযোগী’র সঙ্গে ‘তা’ যুক্ত হবে, তখন হ্রস্ব-ই কার হবে। মনে থাকবে তো?”
“হ্যাঁ স্যর।”
“মুখ্যমন্ত্রী বানানে ম-য়ে দীর্ঘ-ঊকার নয়। সিলি মিসটেক নজর এড়িয়ে যায় কেন? মন দিয়ে কাজ করুন।”
অন্তরা বসে রইল। প্রথম দিনে এতটুকু ডোজ় যথেষ্ট।
আড়চোখে তাকাল গোরাপদ। মাথা নিচু করে বসে আছে মেয়েটি। প্রথম দিনই এমন ঝাড় কপালে জুটবে ভাবতেই পারেনি সে। চোখ ছলছল।
আপন খেয়ালেই যেন পা নাচানোটা বেড়ে গেল গোরাপদর। আজ বেশি ক্ষণ সময় হাতে নেই। থাকলে মেয়েটার সঙ্গে খেজুরে আলাপ করা যেত। এখন মোক্ষম সময়। মাছ ছিপে গাঁথার জন্য ভাল চার তৈরি করাই যথেষ্ট নয়। ফাতনার দিকে নজর রাখার মতো ধৈর্য যেমন চাই, তেমনি টোপ গেলা মাত্র সঠিক সময় ছিপ হ্যাঁচকা টানে তোলার আর্টও জানা চাই।
কিন্তু আজ প্রাকৃতিক গ্যাস ও সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা। একটা এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ চাই। আজকাল যা কম্পিটিশন! খবরটা জানাজানি হবেই। মাটির নীচ থেকে যখন তখন লাভা বেরিয়ে আসছে, বিষয়টা কি হেলাফেলার না কি! কেউ কেউ ভাবছেন সুপ্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ভূমিকম্পের পূ্র্বলক্ষণ কি না কে জানে! এই অঞ্চলে মাটির নীচে গ্যাস আছে। ওএনজিসি-র ড্রিলিং সাইটও কাছেই।
ফোনটা বাজার আর সময় পেল না। রিং হতে না-হতেই যেন চমক ভাঙল অন্তরার।
“স্যর, আমি তা হলে আসি।”
ঘাড় নাড়ল গোরাপদ। মাথা নীচের দিকে। এখন তাকানো যাবে না।
“হ্যাঁ বল। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে কি না আজকাল?... না রে ভাই, দেখা হবে না... আচ্ছা, আচ্ছা, বলরামের কেসটা।... হা হা হা। কোনও দিন দেখা হলে বাঁশ দিয়ে দেব। হা হা।”
ফোনটা রাখার আগেই নেমে যাওয়া পা-টা আবার উঠে গেল। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে, সে-কথা তোমায় জানাব কেন বাপু!
বলরাম রায়! বিন্দাস আছ বাবা! কাঠি দেওয়া কাকে বলে টের পাবে আজ। কম জ্বালায়নি ব্যাটা। ফিচার লেখার একটা হাত তার ছিল বটে। দু’দিন পরপর বাইলাইন স্টোরি! তা সরকারের কাছের লোক ছিল বলেই কি দাপট বেশি ছিল? চাকরিটা কি শুধুই প্রতিভার জোরে? নাকি তেল ঢেলে নিউজ় করে? গাড়ি চড়ে আজকাল অফিসে যাতায়াত করে বলরাম। শরীরটা জ্বলে যায় গোরাপদর।
গোরাপদ জানে যে সে একটু বেশি মাত্রায় ড্রিঙ্ক করে। সে এটাও জানে, অনেকে সুযোগ পেলে পিছনে বলাবলি করে, বিনা পয়সায় মাল খেতে পারলে গোরাপদর জুড়ি মেলা ভার। তার পেটে খালি পিপে আছে।
‘‘আরে, মদ খাই নিজের জোরে। তাতে তোর কী? তোর বাপের কী? বিএসএফ-এর ডিআইজি স্পেশ্যাল নৈশভোজে আমাকে ডেকেছেন। আমি যা সব কভারেজ দিয়েছি, তেমন এলেম তোদের আছে? আমাকে দামি মদ খাইয়েছে। নামকরা ব্র্যান্ডের স্কচ। একটা বোতল গিফটও করল। শরীর তো তোদের জ্বলবেই!’’ আপনমনে বলছিল গোরাপদ।
কিন্তু বলরামটার সাহস যে কী করে হয়েছিল! তখন বলরামের চাকরি হয়নি। একটা পার্টিতে গোরাপদ একটু বেশিই মাল টেনেছিল। বলরাম দিব্যি বলে বসল, “গোরাপদদা এত মাল খাবেন না, লিভারটা ড্যামেজ হয়ে যাবে।”
মনে-মনে কথা বলতে দারুণ লাগে গোরাপদর। বলরামের নাম শুনলে এখনও ধাঁ করে রাগ চড়ে যায়। ড্যামেজ করা কাকে বলে আজ দেখবি... শালা! ‘জনতার দাবি’ পত্রিকার রিপোর্টার নরেন্দ্র সত্য-মিথ্যাকে বলে ‘হাঁচা-মিছা’। শব্দ দু’টি খুব পছন্দ তার। নিজে-নিজে বলে গোরাপদ, ‘‘তোর নামে আজ হাঁচায়-মিছায় কী লাগাই দ্যাখ। গাড়ি চড়ে ফুটানি? বেরিয়ে যাবে।’’
প্রাকৃতিক গ্যাস ও সম্পদ বিষয়ক দপ্তরে লাইসেন্স প্রদানে একটা ঘুঘুর বাসা যুগ-যুগ ধরে সক্রিয়। কিছু কর্মচারী এক জায়গায় মৌরসি পাট্টা জাঁকিয়ে বসার কৌশল জানে। দশ-পনেরো বছর একই চেয়ারে বসে থাকতে-থাকতে কিছু হারামজাদা লক্ষ-লক্ষ টাকা কামিয়েছে। চোরেদের কোনও দল থাকে না, নীতিও থাকে না। অনেকেই এখন জামা পাল্টে ফেলেছে দিব্যি। বলরাম এই চক্রের বিপক্ষে। তার এক সময়ের শিষ্যরা এখন বলরামকে কোতল করতে মরিয়া। এই সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। দশচক্রে ভগবানও ভূত হয়ে যায়। তাই বলরামকে ভূত বললে অবিশ্বাস করবে কে? যে মানুষটা অফিসে সততার সঙ্গে, সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলছে, তার সম্পর্কেও একটু ফিসফাস করে বললেই কী সহজে যে মানুষ খেয়ে নেয়, তা বলাই বাহুল্য। প্রাকৃতিক গ্যাস ও সম্পদ-মন্ত্রী নীতিবাগীশ মানুষ। নীতির দোহাই দিয়েই আজ রাতে বধ করা হবে বলরামকে।
গোরাপদর কথার গুরুত্ব আছে। নিরপেক্ষ কাগজ হিসেবে এই পত্রিকার সুনাম দিকে দিকে। শিক্ষানবিশ থাকাকালীনই এই পত্রিকার রিপোর্টারদের ইয়েলো জার্নালিজ়ম থেকে বিরত থাকার শিক্ষা পইপই করে দেওয়া হয়। তাঁদের এডিটর কড়া কথা বলেন না। কিন্তু নিউজ় এডিটর রতন চন্দ হঠাৎ করে কেন যে সৎ পুলিশ অফিসার সিদ্ধার্থ সিংহের বিরুদ্ধে ফ্যাব্রিকেটেড নিউজ় করে বসলেন, তা কেউ জানেন না। পাঁচ মিনিটও লাগল না, তাঁকে স্যাক করলেন এডিটর। তার পর গত চার বছর ধরে নিউজ় এডিটরের দায়িত্ব সামলাচ্ছে গোরাপদ।
কিন্তু যত ক্ষমতাবান হচ্ছে সে, তত সহজেই ধৈর্য আলগা হচ্ছে তার। আর কেন জানি না প্রতিশোধস্পৃহাও বাড়ছে! এ নিয়ে সে নিজেও চিন্তিত। কিন্তু কাঠিবাজি তাকে বড় তৃপ্তি দেয়। কারণেও। অকারণেও।
অভিমন্যু বড় চ্যাটাং-চ্যাটাং কথা বলে বলেই তাঁর চক্ষুশূল। অভিমন্যু হেল্থ বিট করে। সে বার গুয়াহাটিতে এনএইচআরএম-এর মিডিয়া সেনসিটাইজ়িং ট্রেনিং। ফাইভ স্টার হোটেলে। বিশ্ব এডস দিবসের প্রোগ্রাম কভারেজের বাহানায় অভিমন্যুর নাম প্রোপোজ় না করে জুনিয়র রিপোর্টার সুশান্তর নাম প্রোপোজ় করল গোরাপদ। অভিমন্যু কোথা থেকে ট্রেনিংয়ের খবর পেয়েছিল আগেই। দিব্যি ট্রলিও নাকি কিনে ফেলেছিল। সিলেক্ট না হওয়ার খবরটা পেয়ে হাঁ হয়ে গিয়েছিল। দেখ ব্যাটা, কেমন লাগে!
গোরাপদ সে দিন রাতে আনন্দে কয়েক পেগ বেশি টেনেছিল। মনটাই ফুরফুরে হয়ে গিয়েছিল। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে গাইছিল, “চাঁদনি রাত হো, তুম মেরে সাথ হো।”
এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউটার শেষে রাতে মনটা আনন্দে লাফাচ্ছিল যেন। হুইস্কিটাও জম্পেশ ছিল। অন দ্য রক্স সার্ভ করেছিল প্রকাশদা।
প্রকাশদাও বলরামকে পছন্দ করে না। ব্যাটা নিজেকে বড় কেউকেটা ভাবে! প্রাকৃতিক গ্যাস ও সম্পদ মিনিস্টারকে এর আগেও তিন জনকে দিয়ে বলরামের বিপক্ষে কান ভাঙিয়েছে সে।
ইন্টারিভিউয়ের পর ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীদের করাপশন নিয়ে কথা বলতে-বলতে কায়দা করে বলরামকে হাঁড়িকাঠে ঢুকিয়েছে গোরাপদ। সব শুনে রাগে থমথমে মুখে মন্ত্রীবাহাদুর বলেছেন, “তাই নাকি! আই উইল সি দ্য ম্যাটার।”
প্রকাশদা আর গোরাপদ যাকে বলে একেবারে হরিহর আত্মা। প্রকাশদা তার পিঠ চাপড়ে বলেছে, “দারুণ ভায়া। বলরামের ফুটানিটা দেখব।”
গতকাল ফিরতে-ফিরতে গভীর রাত। রাতের আনন্দের মুহূর্তগুলো এখনও যেন জড়িয়ে রেখেছে তাকে। হাতে আজকের পত্রিকা। চায়ে চুমুক দিতে গিয়ে বুঝল, বাড়িতে তাল কেটে গেছে। মান্তু আজ তার সঙ্গে চা খেতে বসেনি।
“কী হল? মুখটা থমথম করছে যে!” গোরাপদ হাত নাড়িয়ে মান্তুকে কাছে টেনে নিতে চাইল।
মান্তুর চোখ ছলছল। বলল, “কোনও খবর রাখো সংসারের?”
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল গোরাপদ। জিজ্ঞেস করল, “কী হয়েছে?”
“ইন্দ্রাক্ষীর স্কুলে কাল...”
মান্তুর কথা শেষ করার আগেই ঠক করে চায়ের কাপ টেবিলে রাখল গোরাপদ। তার এই এক অভ্যেস। ওভাররিঅ্যাকশন। ওভারএক্সাইটমেন্ট।
চট করে ঘুরে মেয়ের ঘরের দিকে তাকাল গোরাপদ, “মামণি, এ দিকে এস।”
বাবার এক ডাকে হাজির মেয়ে।
“মামণি, কী হয়েছে স্কুলে?”
জিজ্ঞেস করতে না-করতেই ফুঁপিয়ে-ফুঁপিয়ে কান্না শুরু মেয়ের। কোনও রকমে সামলে বলল, “বাবা, ব্ল্যাকবোর্ডে আমি কিছু লিখিনি। অঙ্কে এবার হায়েস্ট মার্কস পেয়েছি বলে আমাদের মনিটর তনুশ্রী কেন জানি না আমার সঙ্গে কথা বলছিল না আজকাল। সে তো প্রত্যেক বার পায়। আমি এক বারও পেতে পারি না বাবা!”
গোরাপদর ভুরু কুঁচকে গিয়েছে। ঘটনা জানার জন্য রীতিমতো উদ্বিগ্ন এখন সে।
“বাবা, ব্ল্যাকবোর্ডে ম্যামকে নিয়ে উল্টোপাল্টা লেখা ছিল। আমি ডাস্টার নিয়ে মুছতে গিয়েছিলাম বাবা। ঠিক এমন সময় ম্যাম এল। ম্যাম এক নিমেষে ব্ল্যাকবোর্ডের লেখাগুলো পড়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, কে লিখেছে এ সব। আমি উত্তর দেওয়ার আগেই তনুশ্রী বলল, ‘ইন্দ্রাক্ষী লিখেছে, ম্যাম।’ বাবা, ম্যাডাম আমার কথা বিশ্বাসই করল না। যা খুশি তাই বলে বকল আমায়!”
গোরাপদ এখন স্থাণুবৎ। পাথরের মতো শক্ত হয়ে যাচ্ছে যেন এখন সে। কাঠিবাজির কষ্টটা কী, এই মুহূর্তে বুঝতে পারছে গোরাপদ। ইন্দ্রাক্ষীর মুখের দিকে তাকাতে পারছে না এখন। সুখের যে মুহূর্তগুলো তাকে জড়িয়ে ধরে এক অদ্ভুত আনন্দের অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল, সেগুলো সরে গিয়ে যেন একটা বুকচাপা কষ্ট তাকে নিয়ে লোফালুফি খেলতে শুরু করল এখন।