এই যে দুটো কাঁটা দেখছিস, সংসারে এ রকমই দুটো কাঁটা হল স্বামী-স্ত্রী। আর এই যে সব হরেক রঙের উল, এগুলো সংসারের মানুষগুলোর মতো। আলাদা আলাদা নাম, সম্পর্ক, অবস্থানও। সোয়েটার বুনতে গেলে যেমন এই বিভিন্ন রঙের উলকে তাদের জায়গা আর প্রয়োজন অনুযায়ী নকশা মিলিয়ে-মিলিয়ে বুনতে হয়, সংসারের পাঁচমিশেলি সম্পর্কগুলোকেও ঠিক তেমনই তাদের রংঢং মিলিয়ে মিলিয়ে জুড়ে রাখতে হয়, ভালবেসে। উষ্ণতা যে দু’জায়গাতেই মেলে দিদিভাই… সবটাই কিন্তু তোমার হাতে, বুঝলে?”
দিদুনের ছবিটা বিহু সুটকেসে ঢুকিয়ে নেয়। আর একটা ছোট্ট লাল টুকটুকে পোলোনেক সোয়েটার। দিদুন বুনে দিয়েছিল পাবলোকে। তার পাঁচ বছরের জন্মদিনে।
“সরি দিদুন, আই ট্রায়েড মাই লেভেল বেস্ট… কিন্তু তোমার মতো করে বুনতে পারলাম না। আই মিসড দ্য প্যাটার্ন…”মনে মনে বিহু বার বার এই কথাগুলোই বলে চলেছে গতকাল থেকে।
বেডরুমের দরজাটা আধখোলা। পাবলোটা যথারীতি হাত-পা ছড়িয়ে অকাতরে ঘুমোচ্ছে। ঘুমনোর সময় ওর মুখটা হাঁ হয়ে যায় বাচ্চাদের মতো। ইশ, গায়ের চাদরটা অবধি মেঝেতে লুটোচ্ছে কেমন দেখো, সারারাত তো বিহুই টেনেটুনে ঠিক করে দেয়।
আগলে রাখতেই তো চেয়েছিল, এ ভাবে তার কেটে যাবে টের পায়নি মোটেই।
কিন্তু এত রাতে এখন সে যাবেই বা কোথায়? বাড়ি ফেরার রাস্তা বন্ধ। বছর দুয়েক আগে পাবলোর সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে ও বাড়ির সবাই তাকে এক রকম ত্যাজ্য করেই রেখেছে। কত আদরের ছিল বিহু। বাড়ির একমাত্র মেয়ে। সবার সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল সে এক ঝটকায়।
একটা বছর পঁচিশের ছেলে। একটা ছিন্নভিন্ন শৈশব। দিদুন ছিল পাবলোর মায়ের দূর সম্পর্কের মাসি। পাবলোর মা-বাবা দু’জনেই অবশ্য বর্তমান খাতায়-কলমে। সাত বছরের বাচ্চাটাকে ফেলে বাবা অরুণাভ বসু প্রথমে চলে যান অস্ট্রেলিয়া। প্রেমিকা মিশেলকে নিয়ে সেখানে তাঁর সুখী পরিবার। একটি মেয়েও আছে তাঁদের। পাবলোর বারো বছরের জন্মদিনের রাতে তার মা মনীষা ঘোষণা করেন যে, তিনি দ্বিতীয় বার গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন। পাত্রের নাম সন্দীপ পুরী। সিঙ্গাপুরে হোটেল চালান। নাহ্, পাবলোর জায়গা হয়নি কোথাওই। দু’তরফ থেকেই অনেক অনেক টাকা আসত তার জন্য প্রতি মাসে। এ ছাড়া ছিল বছরে বারদুয়েক গুচ্ছের গিফট নিয়ে এসে ভালবাসার শোবিজ়!
পাবলোর জন্য শুধু এই দিদুন ছিল। অবিবাহিতা ছিলেন। ভাগ্যিস! বাচ্চাটা বেঁচে গেল সে কারণেই।
বিহুর সঙ্গে পাবলোর আলাপ রনিদের ঠেকে। রনি বিহুর পিসতুতো ভাই। প্রায় সমবয়সি। নিউ ইয়ার্স পার্টি চলছিল। সবাই যেখানে খাচ্ছেদাচ্ছে, হইহই করছে, এই একটা ছেলেই সেখানে কেমন যেন পাল-ছেঁড়া নৌকোর মতো। ভিড় এড়িয়ে ইউকুলেলে-তে সুর তুলছিল ব্যালকনিতে বসে। সুরটা খুব চেনা ঠেকছিল বিহুর। গুনগুন করতে করতে এগিয়ে গেছিল ও দিকেই…
‘প্লিজ় ফরগিভ মি, আই কান্ট স্টপ লাভিং ইউ…’
মুখ তুলে তাকাতেই বিহু থেমে গেছিল। গভীর চোখ, নরম ঠোঁট, গালে বেশ কয়েক দিনের না কামানো দাড়ি আর হালকাগোঁফ। জিজ্ঞেস করেছিল, “ব্রায়ান অ্যাডামস ভালবাসো?”
বিহু হেসে বলেছিল, “চুলটা আর-একটু বড় করলে তোকে জিশুর মতো দেখাবে অনেকটা।”
চোখ কপালে তুলে পাবলো বলেছিল, “জিসাস ক্রাইস্ট!”
“না, অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর কথা বলছি…”
দু’জনেই খুব হেসে উঠেছিল এক সঙ্গে।
সেই রাতেই ফোন আসে বিহুর কাছে। গভীর নেশায় আচ্ছন্ন ছিল ছেলেটা। কখনও গান গেয়েছে একটার পর একটা, কখনও কেঁদেছে, কখনও বিহুকে অদ্ভুত অদ্ভুত সব প্রশ্ন করে গেছে, যেগুলোর কোনও উত্তর তার কাছে ছিলই না কার্যত। এক সময় খুব ক্লান্ত হয়ে ডুবে যেতে যেতে পাবলো বলেছিল, “মাথা রাখতে দিবি একটু তোর কোলে? কেউ দেয় না… কেউ না। আই হ্যাভ বিন লেফট আউট… বাই এভরি ওয়ান। বাবা… মা… এমনকি অনিন্দিতাও…”
বিহুর আর ফেরা হয়নি। রাতভর কোল পেতেই বসেছিল। শুনছিল আর ভাবছিল, একটা নরম মনকে এ ভাবে বার বার দুরমুশ করার পেছনে ওপরওলার ঠিক কতটা দুরভিসন্ধি থাকতে পারে!
কথা আর থামে না সে রাতের পর। কথায় কথায় দু’জনের জীবন অনেকটাই স্পষ্ট হয় দু’জনের কাছে। বিহু পেশায় আর্কিটেক্ট। পাবলো… হতে পারত অনেক কিছুই, কিন্তু কিছুই ঠিক গুছিয়ে হওয়া হল না তার। অসম্ভব ভাল রেজ়াল্ট নিয়ে ছেলেটা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়। কিন্তু চাকরি করা তার পোষায় না। বাঁধাধরা কোনও ছকেই তার নিজেকে মানিয়ে নেওয়া হয়ে ওঠে না। গান… সেও কিছুটা ইচ্ছে-অনিচ্ছের দোলাচলে দিশেহারা। মাঝে-মাঝে এখন শব্দ নিয়ে কাটাকুটি খেলে, বেশির ভাগই দিনের শেষে ফরফর শব্দ তুলে পাখার ব্লেডের তালে উড়তে থাকে ঘরময়। প্রতি মাসে নিয়মমাফিক তার অ্যাকাউন্টে অনেক অনেক টাকা জমা পড়ে। হিসেবনিকেশ রাখার কেউ নেই। এক অদ্ভুত নির্মোহ ভঙ্গিতে জীবনটা কাটিয়ে দেওয়ার পণ করেছে যেন এই ছেলে!
পাবলো যে দিন প্রথম নিয়ে আসে বিহুকে এই বাড়িতে, সে দিনই দিদুন তার কাছে পাবলোর ছেলেবেলা তুলে ধরেছিল, একটু একটু করে গল্পের ছলে। আর শুনতে শুনতে বিহু বুনতে শুরু করেছিল একটা প্যাটার্ন… যাতে বাঁধা পড়ে যায় এই বোহেমিয়ান ছেলেটা, ভালবেসে।
‘সাইবার এসপ্রেসো’-র আইডিয়াটা বিহুরই। এত বড় বাড়িটার নীচতলার ঘরগুলো ফাঁকাই পড়ে আছে কত বছর ধরে। একটা সাইবার কাফে কাম কফি শপ। বিহু নিজে ডিজ়াইন করে সবটা নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছিল। খুব ঘরোয়া। আর সেই কারণেই স্পেশ্যাল।
“এখানে কফির মৌতাতে গিটারের টুংটাং জুড়ে যায়। ঝাল ঝাল পকোড়া আর স্যান্ডউইচের সঙ্গে খুচরো আদর জমে ওঠে। এখানেই সকালবেলা একটা ছেলের সঙ্গে ঘুম থেকে উঠতে চাই রোজ। কে আগে বাথরুমে ঢুকবে, তা নিয়ে যুদ্ধ করতে চাই। মাছের বাজারের থলি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে চাই, আজ ইলিশ নিয়ে আসিস কিন্তু। সর্ষে দিয়ে ভাপা… জমে যাবে লাঞ্চ। বিছানার চাদরে অসভ্য ভাঁজ জমবে ছুটির দুপুরে, রাতে জাপ্টে ধরে বেহায়া ক্লান্তিতে নাক ডাকব। পাবলো, তোর এই জীবনটা শেয়ার করবি আমার সঙ্গে? তোর ঘরটার প্রেমে পড়ে গেছি রীতিমতো।”
বিহু হাঁটু গেড়ে বসে পাবলোর সামনে। পাবলো কী করবে কী বলবে বুঝতেই পারছে না।
“এই ড্রামাকুইন, ওঠ শিগগিরি! এ সব কী শুরু করলি বল তো!” বলে ওঠে পাবলো।
ধাক্কা লাগে বুকে। লাগাটাই স্বাভাবিক। বিহু তবুও আলগা স্মার্টনেস টাঙিয়ে রাখে মুখে… মুচকি হেসে বলে, “তোকে একটু ভয় দেখাচ্ছিলাম। বাব্বা, মুখটা তো শুকিয়ে কিসমিস পুরো। প্রপোজ়েই এই হাল, বিয়েটা করেই ফেললে তো না জানি…”
হাসির দমকে বুক মুচড়ে আসা কান্নার দলাটা তখনই গিলে ফেলে বিহু। বাড়িতে তাদের সম্পর্কটা নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে। সবাই চায় বিয়েটা হয়ে যাক। কিন্তু পাবলো কোনও সামাজিক বন্ধন চায় না জীবনে। তবু ওই… সংসার করার বস্তাপচা স্বপ্নটা একটা বয়সে গিয়ে সব মেয়েই যেমন দেখতে শুরু করে, বিহুও তেমনই আর কী। যাকগে, ভোরের স্বপ্ন তো নয়, যে সত্যি হবে!
*****
বিহুও তা হলে শেষমেশ তাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এত ক্ষণ গভীর ঘুমে থাকার ভান করে সব দেখেছে সে লুকিয়ে লুকিয়ে। দিদুনের ছবিটা আর তার লাল সোয়েটারটা অবধি নিয়ে যাচ্ছে লুকিয়ে… হাউ ডেয়ার শি…!
কান্না পাচ্ছে খুব। কিন্তু কাঁদলেই ধরা পড়ে যাবে। সে তো প্রথম থেকেই একদম ক্লিয়ারলি তার জীবনের সব কিছু বিহুকে বলে এসেছে। বিয়ে বিয়ে করে শি হ্যাজ় জাস্ট গন ম্যাড। আরে বাবা, বিয়ে হয়নি তো কী হয়েছে! আফটার অল তারা তো এক সঙ্গেই রয়েছে…অ্যাজ় আ কাপল। এই গালভরা সোশ্যাল ট্যাগের জন্য কেন এত মরিয়া হয়ে উঠল মেয়েটা?
বিছানার চাদরটা জুড়ে বিহু লেগে আছে। বালিশে ওর উঠে যাওয়া দু’-একটা চুল… পাবলো নাকমুখ ডুবিয়ে রেখে গন্ধ নেয়। গত দু’বছরে বিহু এক দিনের জন্যও তাকে ছেড়ে কোথাও যায়নি। দিদুন মারা যাওয়ার পর তো আরও বেশি করেই জড়িয়ে রেখেছিল পাবলোকে। হঠাৎ এই মাস তিনেকের মধ্যে এমন কী ঘটল যে, বিয়ের জন্য একেবারে মরিয়া হয়ে উঠতে হল?
‘বিয়ে’ শব্দটা খুব সাফোকেটিং তার কাছে। মনে এলেই বাবা-মার মধ্যে সেই চরম অশান্তির দিনরাত যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। পর্দার ও পারে ভয়ে জড়সড় ছোট্ট পাবলো শুনছে সব। দিদুন এসে টেনে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। একে একে সবাই চলে গেল সেই ছোট্ট ছেলেটাকে ছেড়ে। সেই মেয়েটাও তো… অনিন্দিতাকে খুব আঁকড়ে ধরেছিল সে ভালবেসে। আশ্রয় খুঁজেছিল। বুঝতে পারেনি কোথায় ভুল হয়েছিল। অনিন্দিতা উড়তে চেয়েছিল স্বাধীন আকাশে। পাবলোর এই অতিনির্ভরতা নাকি অসহ্য ঠেকছিল তার। যাওয়ার আগে তাকে বলে গেছিল, “ইউ আর প্যারাসাইটিক বাই নেচার ইউ নো… অন্যের উপর ভর দিয়ে বাঁচো তুমি… ফিনানশিয়ালি, অ্যাজ় ওয়েল অ্যাজ় ইমোশনালি। তোমার সঙ্গে সারা জীবন চলা অসম্ভব পাবলো। সরি।”
সরি! কত সহজে একটা শব্দেই ভেঙে ফেলা যায় সব, আবার চাইলে জুড়েও ফেলা যায়… হাঃ!
কিন্তু এত রাতে কোথায় গেল মেয়েটা? শরীরটাও তো ক’দিন ধরেই ভাল যাচ্ছে না। বেশ কয়েক বার জিজ্ঞেস করেছে পাবলো কী হয়েছে, কিন্তু এত জেদ, কিছুতেই উত্তর দেয়নি।
নাঃ, আর এ ভাবে শুয়ে থাকা সম্ভব নয়। বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে পাবলো। হুডিটা গলিয়ে নেয়। চশমাটা কোথায় গেল… এই তো, আরে এটা কী! একটা মেডিক্যাল রিপোর্ট। তার ওপর রাখা এক জোড়া কাঁটা আর একটা লাল উলের গোলা। বিহুর নামই তো লেখা মনে হচ্ছে… কী হয়েছে মেয়েটার! পাবলো ঝটপট চশমা গলিয়ে রিপোর্টটা মেলে ধরে চোখের সামনে…পজ়িটিভ!
কাগজটা হাতে নিয়ে খানিক ক্ষণ বোকার মতো বসে থাকে পাবলো। কোথায় খুঁজবে এখন সে বিহুকে? ওর বাড়িতে? না না, ওখানে এত রাতে কিছুতেই যাবে না এই অবস্থায়। কোনও বন্ধুর বাড়ি… কাউকেই তো চেনে না সে, দিদুন থাকলে হয়তো বলতে পারতো। পুলিশের কাছে যাওয়াটাই বেটার হবে মনে হয়।
বাইক আর বাড়ির চাবিটা নিয়ে তক্ষুনি বেরোতে গিয়েও মুহূর্তের জন্য থমকে দাঁড়ায় পাবলো।
মেডিক্যাল রিপোর্ট আর উলকাঁটা সঙ্গে নিতে ভুলেই যাচ্ছিল সে।
বাইকটা স্টার্ট দিতে গিয়ে চোখ পড়ে কাফেটার দিকে। আলোটা নেভাতে ভুলে গেছিল মনে হয়। বিহু এই ক্যাফেটাকে তার চেয়ে কিছু কম ভালবাসেনি।
আলোটা নিভিয়ে দিতে গিয়ে চমকে ওঠে পাবলো। বিহু!
একটা টেবিলে মাথা রেখে অঘোরে ঘুমোচ্ছে। সুটকেস মাটিতে পড়ে দিব্যি গড়াগড়ি…
হাসি-কান্না-রাগ-অভিমান ঠিক কী আসা উচিত মনে, এই মুহূর্তে সে নিজেও জানে না। চুপচাপ পাশে গিয়ে চেয়ারটা টেনে বসল পাবলো। শব্দে তন্দ্রা কেটে গেছে বিহুর। হুড়মুড় করে উঠতে যেতেই পাবলো তার হাতটা টেনে ধরে। রিপোর্টটা দেখিয়ে বলে, “এটা আমায় আগে বলিসনি কেন?”
বিহু চুপ করে থাকে।
“বল!”
“তোকে বাধ্য করতে চাইনি। বাচ্চাটা আমার। আমি মা হতে চেয়েছি। তোর এতে কোনও
দায় নেই। তুই কখনও কিছু কমিট করিসনি পাবলো। দিস ইজ় এন্টায়ারলি মাই ডিসিশন।”
“মারব টেনে এক থাপ্পড়… আর একটা পাবলো আসুক এই পৃথিবীতে কখনও চাইনি
আমি। ইউ স্টুপিড গার্ল, সেটাই করতে যাচ্ছিলি।”
বিহু ফুঁপিয়ে ওঠে।
“উফফ! আবার শুরু হল… কাম অন বিহু, এই নাকি তুই মা হবি!”
পাবলোর বুকে ঝাঁপিয়ে এসে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে বিহু।
“উলকাঁটা ফেলে চলে যাচ্ছিলি যে খুব…” পাবলো হাসতে হাসতে বলে বিহুকে জড়িয়ে নিতে নিতে। মুখ গুঁজে প্রিয় গন্ধ নিতে নিতে মনে মনে বলে বিহু, ‘প্যাটার্নটা এতটা কঠিনও ছিল না। লাভ ইউ দিদুন, তাড়াতাড়ি ফিরে এসো। উই আর ওয়েটিং…’