স্কুলে ভর্তি হইনি তখনো।
লেখাপড়ার যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান কলম নামক অস্ত্রটি তখনো আমার কাছে বাহারি খেলনামাত্র!রং-বেরঙের গুটিকয়েক কলম হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে নাড়াচাড়া করা, এদিক-সেদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পুনরায় গোছানোর আনন্দ আমাকে প্রভাবিত করত ভীষণ।
কাঠির মতো দণ্ডটি, যা খাতার ওপর বসিয়ে এপাশ ওপাশ ঘোরালে কীসব আঁকাবাকা সরু দাগের সৃষ্টি হয়, যেটাকে লেখা বলা যায় না।
মামাবাড়িতে সেদিন একটা শোরগোল বেধে গেল, জরুরি কাগজ সাক্ষর করতে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো কলম। বাড়িতে পাঁচজন স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রী, অথচ কোথাও একটি কলমও নেই।
আমি সবার দৃষ্টি থেকে চোখ সরিয়ে নিচ্ছি। যেন আমি কি জানি কলমের খোঁজ?দেখলাম, মা ঘরের দিকে গেল। ফিরে এল আমার গুনে গুনে রাখা রং-বেরঙের লেখা না-লেখা সতেরোটি কলম আর একটি পেনসিল, যা আমি আমাদের কাপড়ের ব্যাগে যত্ন করে লুকিয়ে রেখেছিলাম।লজ্জা পাইনি, শুধু মায়ের রাগী চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝেছিলাম: আমার মা সব জানে।
[নিয়ম: ১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্য আলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট্যাশগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্য আলোডট কমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক…। কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন: [email protected] [email protected]]