কক্সবাজার মেরিন ফিশ ওয়ার্ল্ডে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটছে। দুটো বিরল ফ্ল্যাশলাইট ফিশ প্রথমে নিজেদের কাচের বাক্স ছেড়ে ফিঙ্গার ড্রাগোনেটদের বাক্সে কেমন করে জানি চলে গেছে। আশ্চর্য হলেও কাউকে কিছু না বলে ম্যানেজার নেটে ধরে আবার ও দুটোকে নিজেদের বাক্সে ফিরিয়ে আনে। দুদিন পর দেখা গেল, একটা নতুন টুকটুকে লাল মাছ রিফ মাছেদের বাক্সে সানন্দে সাঁতরে বেড়াচ্ছে। এবার বাধ্য হয়ে মেরিন বায়োলজিস্ট ডক্টর রুনাকে ডাকতে হলো। তিনি মহা অবাক—‘ওমা, এ তো রেড হ্যান্ডফিশ! তাসমানিয়ান সাগর ছাড়া কোথাও মেলে না। এখানে এল কী করে?’
কদিন পর থেকে সৈকতে এসে দলে দলে মারা পড়তে লাগল বিরল ডলফিন আর তিমিরা। এল লাল কচ্ছপ, স্টিংরে আর হাঙর। পত্রপত্রিকা আর মিডিয়ায় তোলপাড়। বিশ্বের সব বড় বড় বায়োলজিস্টকে ডাকা হলো। নিজের বাক্সে সারা দিন চুপচাপ বসে বড় বড় চোখে সব লক্ষ করছিল একটা অক্টোপাস। সবাই জানে সেফালোপডদের আটটি শুঁড়েই আছে মস্তিষ্ক, প্রাণিজগতে এরা আশ্চর্য বুদ্ধিমান, কিন্তু অজানা কারণে পিছিয়ে পড়া প্রাণী। মোটে এক মস্তিষ্কের বেকুব মানুষের ওপর আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন তাদের। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্বের দীর্ঘতম বৈচিত্র্যময় সৈকতই তাদের প্রথম টার্গেট। এখান থেকেই সেফালোপডদের জয়যাত্রা শুরু।